ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

লক্ষ্মীপুরে শ্রমজীবী মানুষের হাতে কাজ নেই

প্রকাশিত: ০৭:১১, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

লক্ষ্মীপুরে শ্রমজীবী মানুষের হাতে কাজ নেই

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ১৬ জানুয়ারি ॥ হরতাল-অবরোধে উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ যেন কষ্টের শ্মশানে পুড়ছে। আয়-রোজগার না থাকায় খেয়ে না খেয়েই চলছে তাদের পরিবার। একবেলা খেলে অন্য বেলা উপোস থাকতে হয়। দেশের সহিংস রাজনীতির কারণে জমানো সামান্য সঞ্চয়টুকুও শেষ। অভাব-অনটনে কীভাবে চলবে আগামী দিনগুলো- এমন পরিস্থিতিতে দুশ্চিন্তায় বিপর্যস্ত তারা। জেলার রামগতি-কমলনগর উপজেলা মেঘনার ভাঙনে ল-ভ-। ভাংনের শিকার অসংখ্য পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে। শ্রম বিক্রি করে তাদের পেট চলে। ছেলেমেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়েই জীবন। লাগাতার হরতাল-অবরোধে ওই সব অসহায় নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনধারার ওপর প্রভাব পড়েছে। দেয়ালে ঠেকেছে পিঠ। লক্ষ্মীপুরে বেঙ্গল সু ইন্ডাস্ট্রিজ ছাড়া কোন শিল্প-কারখানা নেই। এজন্য তেমন কোন কর্মসংস্থানের সুযোগও নেই। নানামুখী কর্মসংস্থান না থাকার কারণে অসহায়-দরিদ্র মানুষ রিকশা চালানো, নির্মাণ শ্রমিক, পরিবহনে পণ্য ওঠা-নামানো, বাস-ট্রাক, লেগুনা ও পিকআপ ভ্যানে হেলপার, হোটেল-রেস্তরাঁয় কাজ করা আর বড়জোর অল্প পুঁজিতে ক্ষুদ্র ব্যবসা করে। কিন্তু অবরোধ-হরতালের কারণে রাস্তায় যানবাহন চলে না। আয়ের পথ বন্ধ যে কারণে বাড়িতে চুলায় ঠিকমতো হাঁড়িও বসে না। হোটেল-রেস্তরাঁয় তেমন বিক্রি না থাকায় কর্মরত স্টাফ ছাঁটাই চলছে। প্রতিষ্ঠানের মালিকও বেতন কমিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে। এ যেন শ্রমজীবী মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়া অভিশাপ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুরে দীর্ঘ যানজট নিজস্ব সংবাদদাতা, দাউদকান্দি, ১৬ জানুয়ারি ॥ দেশের পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দির গৌরীপুরে প্রায় ৪/৫ কিলোমিটার সড়কজুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় মহাসড়কের দাউদকান্দির বারপাড়া থেকে জিংলাতলী পর্যন্ত এ যানজট সৃষ্টি হয়। সড়কে যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা ছিল সীমিত তবে পণ্যবাহী যানবাহনের সংখ্যা ছিল ব্যাপক। গৌরীপুরে যানজটে কিছু সময় আটকা পড়েন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। এসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেষ্টায় মন্ত্রী গৌরীপুর অতিক্রম করেন। যানবাহন চালকরা জানান, মহাসড়কে পুলিশী টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করায় গাড়ি চালাতে সাহস পাচ্ছি। যানবাহনের পাশাপাশি যাত্রীদের ভিড় ছিল উপচেপড়া। মহাসড়কের দাউদকান্দির বিভিন্নস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার করা হয়েছে। ধামইরহাটে আ’লীগ বিএনপি ধাওয়া পাল্টাধাওয়া নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৬ জানুয়ারি ॥ বৃহস্পতিবার নওগাঁর ধামইরহাটে বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ধাওয়া পাল্টাধাওয়া এবং বিএনপি অফিস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার সকালে হরতালের সমর্থনে ২০ দলের নেতাকর্মীরা মাঠে নেমে মহড়া দেয়াকালে ছাত্রলীগের জনৈক কর্মীর সঙ্গে মোটরসাইকেল চালানোর বিষয়ে বাকবিত-ার সৃষ্টি এবং এক পর্যায়ে ধস্তাধস্তি হয়। এরই জের ধরে ১০ মিনিটের ব্যবধানে ৫/৭ জনের ছাত্রলীগ কর্মী আমাইতাড়ায় মহড়া দিতে গেলে অবরোধকারীদের কবলে পড়ে। অবরোধকারীরা ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া করার এক পর্যায় তারা পার্শ্ববর্তী এম এম ডিগ্রী কলেজ মাঠে প্রবেশ করে কলেজের অধ্যক্ষের কার্যালয় ভাংচুরসহ ৭টি মোটরসাইকেল ভাংচুর করে। দুপুর ১২টার দিকে আমাইতাড়ায় ২০ দলের নেতাকর্মী সমাবেশ করতে চাইলে প্রশাসন ও পুলিশী বাধায় সমাবেশ প- হয়ে যায়। সমাবেশের নেতাকর্মী ঘরে ফেরাকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে বিএনপি কর্মীদের ধাওয়া করে এবং এক পর্যায়ে উপজেলা বিএনপি অফিস ভাংচুরসহ দুই স্থানীয় সাংবাদিকের ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে পুলিশী হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে দুপুর আড়াইটায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা হরতালবিরোধী লাঠি মিছিল শেষে এক প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এদিকে নওগাঁ শহরে হরতাল চলাকালে শহরের তুলশীগঙ্গা, ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, তাজের মোড়, ব্রিজের মুখে আকন্দ মার্কেটের সামনে, মাংসহাটির মোড়, মুক্তির মোড়, রুবির মোড়, দয়ালের মোড় এবং বালুডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকা ছিল পিকেটারদের দখলে। পিকেটাররা তাজের মোড়সহ কয়েকটি এলাকায় চার্জার, সিএনজির কাঁচ ভাংচুর করে। বেশ কিছু পিকেটার সাংবাদিকদের গাড়িও আটকানোর চেষ্টা করে। হরতালের সমর্থনে বিএনপি-জামায়াত শহরের খ- খ- মিছিল করে। কাঁচাবাজার ছাড়া শহরের প্রায় অধিকাংশ দোকানপাটই বন্ধ ছিল।
×