ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে ॥ মুক্তিযোদ্ধার আর্তি

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১৭ জানুয়ারি ২০১৫

সম্পাদক সমীপে ॥ মুক্তিযোদ্ধার আর্তি

আমি একটি কৃষক পরিবারের স্বল্প শিক্ষিত সন্তান। ১৯৭১ সাল দেশ পাকি হানাদার বাহিনী আক্রান্ত করলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সদ্য বিবাহিত স্ত্রী ও পরিবার-পরিজনের মায়া ত্যাগ করে, জীবনবাজি রেখে দেশ মাতৃকার মুক্তির মানসে মুক্তিযুদ্ধের উদ্দেশ্যে ৮ ও ৯ নম্বর সেক্টরে হেমায়েত বাহিনীতে যোগ দেই। আমার গেজেট নং- ৪৭৮৮, হেমায়েত বাহিনীর ডায়েরি অনুযায়ী যোদ্ধা নং-১৪৪৫ ও মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয় সনদ নং ম-১৮৪৪৬১। যে সুস্থ সুঠাম দেহ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম যুদ্ধ শেষে দেশ স্বাধীনের পর সেই সুস্থ সুঠাম দেহ নিয়ে আমার আর বাড়ি ফেরা হলো না। বাড়ি ফিরলাম রুগ্ন জীর্ণশীর্ণ শরীর ও রক্তবমি নিয়ে। স্ত্রী আমার চিকিৎসার কথা বলে আমার শ্বশুরবাড়ি গেলেন আর ফিরে এলেন না। পরে জমি বন্ধক রেখে ১৫০ টাকা নিয়ে টরকিবন্দর হয়ে লঞ্চযোগে ঢাকায় গেলাম। ইতিমধ্যে এক লোক আমাকে মির্জাপুর কুমুদিনী হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিলেন। সেখান থেকে বক্ষব্যাধি হাসপাতালে গেলাম। হাসপাতালের বারান্দায় বসে খোদার দরবারে খুব কান্নাকাটি করছিলাম। এমন সময় মনে হলো যে আল্লাহ্ বোধ হয় আমার ডাক শুনেছেন। জনাব আইয়ুব আলী খাঁন বাঙালী নামের এক মুক্তিযোদ্ধার (এখন প্রয়াত) সাহায্যে হাসপাতালে ভর্তি হলাম। আমি সেই মুক্তিযোদ্ধার সহযোগিতায় আজও বেঁচে আছি। হাসপাতালে চিকিৎসার সময় একদিন ডাক্তার বললেন, তুমি এখন প্রায় বিপদমুক্ত। হাসপাতালে একদিন শুনতে পেলাম আমরা যারা অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধা হাসপাতালে ভর্তি আছি তাঁদের দেখতে আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আসবেন। তিনি হাসপাতালে এসে আমাদের মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন, তোমরা আমার জামাল, কামাল, রাসেল। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে যার যেমন শিক্ষাগত যোগ্যতা সেইমতো কর্মসংস্থান করে দিলেন। হাসপাতাল থেকে সোজা টেলিফোন অফিসে ঢাকায় এক বছর চাকরি করার পর অফিস আমাকে খুলনা বদলি করে দিল। ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর আমরা চাকরিচুত হলাম। বাড়ি এসে আবার কৃষি কাজ শুরু করলাম। কয়েক বছর পর আমার মনে পড়তে লাগল আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমি মারা গেলে আমার তো আর কোন স্মৃতি থাকবে না। কারণ আমি তো নিঃসন্তান, আমার কষ্টার্জিত পয়সার কাউকে যদি লেখাপড়া করিয়ে একটু মানুষের মতো মানুষ করে যেতে পারি তাহলে আমি মারা গেলে আমার স্মৃতি ধরে রাখবে এমন একজনকে পোষ্য নিলাম। আমার বড় ভাইয়ের বড় ছেলের সন্তান সাহিদুর রহমান আমার পোষ্য হিসেবে বড় হলো। বর্তমানে আমার বয়স ৬৪ বছর। বিগত দুই বছর যাবত আমি বিভিন্ন রোগে অসুস্থ। কারও সাহায্য ছাড়া চলাফেরা করতে পারি না। মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতায় এখন আর কোনভাবে জীবনসংসার চলে না। তাই জীবন সায়াহ্নে এসে অতি অসহায় বিভিন্ন রোগে রোগাক্রান্ত হতভাগ্য মৃত্যুপথযাত্রী একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার আকুতি, আমার পোষ্য মোহাম্মদ সাইদুর রহমানকে তার শিক্ষাগত যোগ্যতানুসারে কর্মসংস্থান ও আমার একটু ভাল চিকিৎসার ব্যবস্থা যেন করা হয়। তৈয়াবুর রহমান সিকদার কোটালিপাড়া, গোপালগঞ্জ। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যা পারে সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি কলেজসমূহে স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে প্রথম বর্ষ ভর্তির জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবছরই ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করে। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে মানবিক বিভাগে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণিতে পঠিত বিষয়ের চারটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে দুইটি বিষয়ের প্রশ্ন থাকে। এর মধ্যে কৃষিশিক্ষা বিষয়ের প্রশ্ন থাকে না। এতে প্রতিবছরই হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী সবগুলো উ্ত্তর দিতে পারে না। উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণিতে সকল বিভাগের প্রায় দুই লাখ ছাত্রছাত্রী কৃষিশিক্ষা বিষয় পড়ে। এ-অবস্থায়, প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রে কৃষিশিক্ষা বিষয়ের প্রশ্ন অর্ন্তভুক্তির জন্য জাতীয় বিশ্বদ্যিালয় যেন উদ্যোগ নেয়। কৃষিবিদ ফরহাদ আহাম্মেদ ভুঞাপুর, টাঙ্গাইল। বিনাশ হোক ওরা ‘আল’ আরবী শব্দ। কিন্তু আফগানিস্তান বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর যে পবিত্র আল শব্দ ছিল তার সঙ্গে যুক্ত হলো কায়দা নামে আর একটি শব্দ। এ কায়দা শব্দটিও আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়, বাংলা ভাষায় কায়দার সাথে কানুন শব্দ সংযুক্ত হয়ে বহু পূর্বেই কায়দাকানুন হয়েছে একটি নতুন শব্দ। কিন্তু ‘আল কায়েদা’ শব্দটির অর্থ বুঝতে বড়ই কষ্ট হয়। এটার নামের সাথে কাজের মিল কিছুতেই বের করা যাচ্ছে না। কারণ ‘আল কায়েদা’ শব্দটির অর্থ হতে পারে ‘পবিত্র নিয়ম।’ কিন্তু এটাও বলা যাচ্ছে না সারাবিশ্বের মানুষ মারা পবিত্র নিয়ম হতে পারে না, বিশেষ করে পবিত্র নামাজে। এটা এখন গুটিকয়েক দেশে তাদের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে না, এটা এখন সারাবিশ্বের বিস্ময়। যারা করছে তাদের অহঙ্কার বলে মনে হচ্ছে। পৃথিবীর ছোট-বড় কোন দেশে নাই আল কায়েদা! ভারতবর্ষ তার চতুরপাশ, ইউরোপের দেশগুলো, আমেরিকা, ফ্রান্স, জার্মানি, আফ্রিকার দেশ কেউ আল কায়েদা দন্তনখরের থাবা থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। বিশেষ করে নামাজ গৃহ যেন তাদের আক্রমণের চিহ্নিত প্রথম স্থান। আল কায়েদার ধারণা যদি জন্মে থাকে ধর্মই সকল অধর্মের কারণ, তাই ধর্মকে মুছে ফেলে দিতে হবে। ধর্মকে ঝেড়ে ফেলে দিতে হবে। প্রতিটি উপাসনালয় যদি আল কায়েদার দৃষ্টিতে অন্যায় অধর্ম বিস্তারের কর্মস্থল হয়ে থাকে, তবে আমি তাদের বলব ‘পথ ভাবে আমি মূর্তি/রথ ভাবে আমি। মূর্তিভাবে আমি মূর্তি/ হাসে অন্তর্যামী। এই ভাবনাটাকে একবার অন্তরে স্থান দেন। তাহলেই আল্লাহর খোঁজ পাবেন। আল্লাহর সৃষ্টিকে নির্মমভাবে ধ্বংস করে কিছু পাওয়া যায় না। পাওয়ার জন্য সৎ কর্ম, সৎ ধ্যানের বিকল্প কিছু নেই। পৃথিবী শান্তির দেশ ছিল আদিতে, আজও তাই থাক, আল কায়েদা চলে যাক অন্য কোন গ্রহে, অন্য কোনখানে। রাধাকান্ত রায় ইস্কাটন, ঢাকা। রোডস ল্যাম্প ঢাকা জেলার দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলার মেইন রোডগুলোর দু’পাশে রোডস ল্যাম্প প্রয়োজন। ঢাকার-১ আসন দোহার নবাবগঞ্জ অথচ ঢাকার-১ আসনের প্রধান সড়কগুলোর দু’পাশে রোডস ল্যাম্প নেই, অবাক ব্যাপার হলেও সত্যি। দোহার নবাবগঞ্জ উপজেলার প্রধান সড়ক গুলোর দু’পাশে রোডস ল্যাম্প জ্বালানো হোক। আঁধারকে আলোকিত করা হোক। দিপু প্রামাণিক নবাবগঞ্জ, ঢাকা। কী চায় সন্ত্রাসবাদীরা সন্ত্রাসবাদ- এই মুহূর্তে একটা আন্তর্জাতিক শব্দ, যা মড়কের মতো ছড়িয়ে পড়ছে পৃথিবীর প্রতিটি রাষ্ট্রে। এ সংক্রামক ব্যাধি থেকে বাংলাদেশও নিরাপদ নয়। সন্ত্রাসবাদীদের কোন সুনির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। ইতিহাসে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে সন্ত্রাসবাদের ব্যাখ্যা করা হয়েছে। কিন্তু এ দেশে একাত্তরে পরাজিত শক্তির পঁচাত্তর পরবর্তী পুনরুত্থানের মধ্যেই সন্ত্রাসবাদের জন্ম। সন্ত্রাসবাদ কেবলই এক নীতিহীন গণধ্বংসী কাজের নামান্তর। সুস্থ সবল সুখী জীবন যে কোন সময়ে ছিন্নভিন্ন হয়ে যেতে পারে বোমা, গ্রেনেড, বাসে অগ্নিসংযোগের হামলায়। সন্ত্রাসবাদীরা প্রতিটি অপকর্মের পরও বুক ফুলিয়ে হাঁটে বীরের বেশে। সন্ত্রাসবাদ বারবার বুড়ো আঙ্গুল দেখাচ্ছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনকে। একটা ঘটনা ঘটার পর ধরপাকড় শুরু হয়, কিছু দিনের মধ্যে পুলিশ পেয়েও যায় কোন না কোন সূত্র। কিছু বিস্ফোরণ বা হামলার আগে কিছুতেই সন্ত্রাসবাদীদের মগজের হদিস পায় না গোয়েন্দা বা পুলিশবাহিনী বা র‌্যাব। এ যেন এক মজার ধাঁধা। আর এই বধাঁধার চক্করেই স্তব্ধ হয়ে যায় নিরীহ বহু প্রাণ। সন্ত্রাসবাদী বা মৌলবাদীদের নিজস্ব কোন আদর্শ নেই, তাদের একটাই লক্ষ্যÑ দেশের স্থিতিশীল অবস্থাকে তছনছ করা, সাধারণ মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলা। সন্ত্রাসের কাছে যেন নিরুপায় প্রশাসন ও জনগণ। ‘সন্ত্রাসবাদ’ এমন একটা ‘বাদ’ যেখানে কিছু মানুষের অন্যায় আবদার আদায়ের জন্য, সরকারকে জব্দ করার জন্য সাধারণ নিরাপরাধ মানুষের জীবন এবং জাতীয় সম্পদকে প্রধান লক্ষ্য করেছে। মাকড়শার জালের মতো বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদ আজ সীমাহীন। কোন প্রতিবাদ, কোন শুভবুদ্ধি তাকে বদলাতে পারছে না। পারবে কি এই ব্যাধিকে নির্মূল করতে মহাজোট সরকার? আলী ওয়াজেদ বাবর রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা। অজ্ঞান পার্টি প্রতিনিয়তই মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ বিভিন্ন অপরাধী চক্রের কর্মকা-ের শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। অনেকে প্রাণ হারিয়ে বেওয়ারিশ লাশে পরিণত হচ্ছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছে, অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, টানা পার্টির মতো মৌসুমী অপরাধও স্থায়ীরূপ লাভ করেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথাযথ ও কার্যকর পদক্ষেপের অভাবে দেশে এসব অপরাধের শিকড় গেঁড়ে বসেছে। সাংবাদপত্রে দেখা যায় গাবতলী, মিরপুর ১ নম্বর, মিরপুরের কালসী, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল, মহাখালী বাসটার্মিনাল, গুলিস্তান, ফকিরাপুল, কমলাপুর, সদরঘাট, বিমানবন্দর ও মগবাজার এই ১১টি পয়েন্টে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা সবচেয়ে বেশি সক্রিয়। এসব স্থানের চক্রের তৎপরতার বিষয়টি জানা থাকলেও স্থানীয় থানা পুলিশ অনেকটা নীরব ভূমিকা পালন করছে। পুলিশের তথ্য মতে, গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে রাজধানীতে কমপক্ষে ২০টি পার্টি সক্রিয় রয়েছে। এক চক্রের জন্য নির্ধারিত জায়গায় অন্যরা যায় না। তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতার মাধ্যমে বিভিন্ন রুট ভাগাভাগি করে নেয়। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টির তৎপরতা বাড়ে মূলত গরমের সময়। অপরাধীরা তীব্র গরমের সময়ে পানি ও জুসের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে পথচারী ও যাত্রী সাধারণকে অজ্ঞান করে সব কিছু হাতিয়ে নেয়। গত মে মাসে ১৩৫, জুন মাসে ১২০ এবং জুলাই মাসে ১০৬ জনকে অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে একটি সূত্র জানায়। কোন সভ্য দেশে এ ধরনের ঘটনা খুব কমই ঘটতে দেখা যায়। যে কোন দেশের রাজধানীর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এবং স্থিতিশীলতা সে দেশের সভ্যতার পরিচয় বহন করে। সে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নেরও চাবিকাঠি। রাজধানী ঢাকাকে কেন্দ্র করে যত ধরনের অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে, তার প্রভার গোটা দেশের সর্বত্রই পড়ছে। বিপুল জনসংখ্যার দেশ ও শহরে অপরাধ পুরোপুরি নির্মূল করা সম্ভব না হলেও তা সহনীয় পর্যায়ে রাখা সম্ভব। অবশ্যই তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমেই সম্ভব। নজরুল ইসলাম লিখন ষরশযড়হধষরভব@মসধরষ.পড়স বিএনপির যা করণীয় বর্তমানে আমাদের দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দল হলো আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। দেশ এবং জাতির মঙ্গলের জন্য দুটি দলকেই প্রয়োজন, কারণ জাতীয়ভাবে তৃতীয় কোন দল এখনও আমাদের দেশে গড়ে ওঠেনি। সকলকেই মনে রাখতে হবে আওয়ামী লীগের মঙ্গলের জন্য বিএনপির প্রয়োজন আবার বিএনপির মঙ্গলের জন্য আওয়ামী লীগের প্রয়োজন। একটি দল ধ্বংস বা দুর্বল হয়ে পড়লে অপর দলটিও ধ্বংস বা দুর্বল হয়ে পড়বে। তবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলেই সুস্থ ও ইতিবাচক ধারা বজায় রাখতে হবে। ধ্বংসাত্মক এবং নেতিবাচক রাজনীতি এখন আর মানুষ পছন্দ করে না। তাই বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে আকুল আবেদন, আপনারা যাঁরা দলকে এবং দেশকে ভালবাসেন, বেগম জিয়া ও তারেক রহমানকে বুঝিয়ে বলুন। বেগম জিয়া মুক্তিযুদ্ধকেও সম্মান করেন আবার জামায়াত ও যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষেও থাকবেন, এটা কোন রাজনৈতিক দলের আদর্শ হতে পারে না। আরও মনে রাখতে হবে জঙ্গীবাদ মৌলবাদ ও জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া বা ক্ষমতায় থাকার মতো বিশ্ব পরিস্থিতি বর্তমানে নেই। জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ, জামায়াত ও হেফাজতকে সঙ্গে নিয়ে বেগম জিয়া এক বছরও ক্ষমতায় টিকতে পারবেন না। কারণ তাদের আবদার রক্ষা করতে হলে দেশ টিকবে না। মিসরের মুরসির মতো অবস্থা হবে বিএনপির। বিএনপিকে শক্তিশালী করে সুস্থ ধারায় ফিরিয়ে আনতে আওয়ামী লীগকেও এগিয়ে আসতে হবে। বিএরপির কাছে আবেদন, আপনারা অন্যকে সমালোচনা না করে অসম্মান না করে, এমন বক্তব্য দেন যেন দেশের সকল দলের সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ আপনাদের বক্তব্য শুনে হাততালি দেয়। অন্যকে অসম্মান করে কখনও নিজের সম্মান বাড়ানো যায় না। বিপ্লব ফরিদপুর। পেট্রোলবোমায় দগ্ধ মানুষ হরতালের নামে মানুষকে পেট্রোলবোমা মেরে হত্যা করা কোন গণতান্ত্রিক অধিকার হতে পারে না। হরতাল রাজনৈতিক দলগুলোর বৈধ অধিকারের মধ্যে পড়ে বটে। তবে গাড়িতে পেট্রোলবোমা মেরে জীবনহানি করা কোন অধিকারে পড়ে, তা দেশের জেনো রাজনৈতিক দলের গণতান্ত্রিক অধিকার যদি হয়, তাহলে সাধারণ মানুষেরও স্বাধীনভাবে রাস্তায় চলার অধিকার আছে নিশ্চয়ই। জীবন-জীবিকার তাগিতে পেটের অন্ন যোগাতে সাধারণ মানুষ রাস্তায় বের হওয়ার প্রয়োজন পড়ে। কাজেই তাদের জীবন বিপন্ন করার অধিকার আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোকে কে দিয়েছে? তাই সরকার এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে সাধারণ মানুষের বাঁচার দাবি থাকতেই পারে। আমাদের পুড়িয়ে মারবেন না প্লিজ। এটা মানবতা বিরোধী মারাত্মক অপরাধের সংগঠনগুলো, যারা অনবরত মাঠ গরম করার চেষ্টা করেন মানবাধিকারের কথা বলেন। কোথায় সুজন, সিপিডির মতো বিভিন্ন সুশীল সমাজ নামক ছদ্ম নামধারী সংগঠনগুলো? তারা এখন মুখে ডবল তালা মেরেছেন নাকি। আশা করি সবাই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করবেন। রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী। মেঘনা বহুমুখী সেতু চাই সুষম যোগযোগব্যবস্থা সুষম উন্নয়নের পূর্বশর্ত। কেবল পদ্মা সেতুর নির্মাণ সম্পন্ন হলেই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সকল বৈষম্যের অবসান হবে না, একইসঙ্গে চাঁদপুর ও শরীয়তপুরের মধ্যবর্তী মেঘনা নদীতে ‘মেঘনা বহুমুখী সেতু’ নির্মাণ করা হলে বৈষম্য উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পাবে। বর্তমানে চট্রগ্রাম ও দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীদের ভায়া ঢাকাপথের গন্তব্যে পৌঁছার দূরত্ব, সময় ও পরিবহন ব্যয় ভায়া চাঁদপুরপথের দুরত্ব, সময় ও পরিহন ব্যয়ের দ্বিগুণ। পদ্মা সেতু চালু হলে ভায়া ঢাকা পথের শুধু ভ্রমণকাল ১ ঘন্টা হ্রাস পাবে, কিন্তু দুরত্ব, পরিবহন ব্যায় ও জ্বালানি ব্যবহার অপরিবর্তিত থাকেবে। মেঘনা বহুমুখী সেতুর মাধ্যমে চট্রগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলা ও সিলেট বিভাগের ৪টি জেলার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ টি জেলা। দেশের মোট ৩৬ টি জেলার মধ্যে গড়ে উঠবে সড়ক ও রেল যোগাযোগের অবিচ্ছন্ন নেটওয়ার্ক। রাষ্ট্রের যোগাযোগব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণে এ সেতু নির্মাণের কোনো বিকল্প নেই। চট্রগ্রামে-চাঁদপুর-চট্রগ্রাম বিরতিহীন ট্রেন সার্ভিস, একই রেলপথে স্বল্পদৈর্ঘ্যরে লাকসাম বাইপাস ও মেঘনা বহুমুখী সেতু-্এ ত্রয়ীর মেলবন্ধনে দেশের যোগাযোগব্যবস্থা তার কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে। এ বিষটি নিয়ে পরিকল্পনা করা যেতে পারে। এর এ শাহেনশাহ চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা নিউইয়র্কে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদানের একটি সংবাদ পত্রিকার পাতায় দেখে এক বৃদ্ধের প্রতিক্রিয়া- ‘আমেরিকার নিউইয়র্কে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা জানানো মানেই মুক্তিযোদ্ধা এখন বড় লোকের কোটায় চলে গেছে। দেশে কত শত মুক্তিযোদ্ধা আজ ভিক্ষে করছে, না খেয়ে আছে, রিকশা চালাচ্ছে, আর্থিক কষ্টে দিন পার করছেন- এ রকম সচিত্র সংবাদতো প্রায়শ’ পত্রিকার পাতায় প্রকাশ পাচ্ছে। তাদের কথা কী যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাসরতরা একবারও ভাবলেন না। তাদের সকল ভাবনা-চিন্তা কী বড়লোক মুক্তিযোদ্ধদের নিয়ে।’ বৃদ্ধ আরও বললেন, আসল কথা কী জানেন, গরিবেরে কেউ ভালবাসে না। সকল ভালবাসা চলে গেছে এখন বড় লোকের দিকে। তাই আমাদের প্রত্যাশা থাকবে- যখন যেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হোক না কেন, সেখানে দেখতে চাই হত দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননার বিষয়টি যেন অধিক গুরুত্ব পায়। লিয়াকত হোসেন খোকন ঢাকা।
×