ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গণগ্রন্থাগারে পল্লী কবির সৃষ্টিস্নাত ‘আর একদিন আসিও...’

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৬ জানুয়ারি ২০১৫

গণগ্রন্থাগারে পল্লী কবির সৃষ্টিস্নাত ‘আর একদিন আসিও...’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আপন সৃষ্টির আলোয় নিরন্তর শেকড়ের সন্ধান করেছেন পল্লীকবি জসীমউদ্্দীন। নিপুণ দক্ষতায় গ্রামবাংলার যাপিত জীবনের পাশাপাশি নৈসর্গিক রূপময়তার অনবদ্য প্রকাশ ঘটিয়েছেন বাংলা সাহিত্যে। হাজার বছরের বাঙালী সংস্কৃতিকে ধারণ করে লিখেছেন কবিতা, নাটকসহ নানা আঙ্গিকের সাহিত্যকর্ম। তাঁর লেখায় আমরা খুঁজে পাই বাঙালীর গ্রামীণ সমাজব্যবস্থার আবহমান চিত্র, নগরজীবনে এসে যা আমরা ভুলতে বসেছি। আর সেই হারিয়ে যেতে বসা গ্রামীণ জীবনযাত্রার চিত্র অবলম্বনে চারুকণ্ঠ আবৃত্তি সংসদের প্রযোজনা ‘আর একদিন আসিও...’। বৃহস্পতিবার সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হলো প্রযোজনাটি। আনোয়ার পারভেজের গ্রন্থনায় প্রযোজনাটির নির্দেশনা দিয়েছেন জি এম মোর্শেদ। শীতের সন্ধ্যায় আবৃত্তি অনুরাগী দর্শকদের সমাগমে মঞ্চস্থ হয় প্রযোজনাটি। সূচনাতে উঠে আসে স্বদেশের বন্দনা। পল্লীকবির বিখ্যাত কাব্যগ্রন্থ সোজন বাদিয়ার ঘাট থেকে উচ্চারিত হয় আমাদের এই দেশ শস্য-শ্যামলা তটিনী মেখলা/রূপের নাইকো শেষ/সজনী বরষা জলে সিনানিয়া কুতুহলে/ধূসর মরুর কোলে শুকায় মাথার কেশ। শিল্পিত উচ্চারণে পাঠ করেন জি এম মোর্শেদ। এভাবে কবিতার দোলায়িত ছন্দে উপস্থাপিত হয় পল্লী বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিয়ের উৎসবের গান থেকে শুরু করে ভালোবাসার প্রকাশ কিংবা ভূমির দখলে লাঠিয়ালদের তৎপরতার কথা। পল্লীকবি রচিত বেশকিছু কবিতার সমন্বয়ে গড়া প্রযোজনাটি যেন শ্রোতাদের ধাবিত শেকড়ের পানে। প্রযোজনাটির আবৃত্তিতে অংশ নেন তাবাস্সুম মুন্নী, গুলশান আরা লুনা, ফারজানা রোজী, আনোয়ার পারভেজ ও জি এম মোর্শেদ। সহযোগী শিল্পী হিসেবে অংশ নেন মাহজেবীন তিথি ও নাজমুল রাসেল। মনজরুল ইসলাম ও মাহবুবু ইসলামের আবহসঙ্গীতে আলোকবিন্যাস করেছেন ওয়াসিম আহমেদ। যন্ত্রসঙ্গীতে বাঁশিতে সুর তোলেন আবু তাহের, কী-বোর্ডে মোতাসিম বিল্লাহ হৃদয় ও তবলায় ছিলেন পুলিন চক্রবর্তী। আজ খেলাঘরের জাতীয় সম্মেলন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নতুন প্রজম্ম গড়ে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের দুই দিনব্যাপী জাতীয় সম্মেলন শুরু হবে আজ শুক্রবার। সকালে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনাতনে সম্মেলনের উদ্বোধন হবে। সকাল ১১টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব শামসুজ্জামান খান। সভাপতিত্ব করবেন খেলাঘর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতিম-লীর চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা পান্না কায়সার। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শিশু-কিশোরদের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করবে। বিকেল ৩টায় শুরু হবে সাংগঠনিক অধিবেশন। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন শনিবার বিকেলে সমাপনী অনুষ্ঠানে শহীদুল্লাহ কায়সার স্মৃতিপদক প্রদান করা হবে। এ বছর পদকে ভূষিত হয়েছেন শিল্পী মুর্তজা বশীর। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। সম্মানিত অতিথি থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। সারাদেশের ৪ শতাধিক শাখা আসরের দুই হাজার শিশু-কিশোর, কর্মী, সংগঠক এ সম্মেলনে অংশ নিবে। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করবে জেলা শাখার শিশু-কিশোরা। সম্মেলনে সর্ব ভারতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন সব পেয়েছির আসরের পাঁচজন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবে। আজ বইপড়া কর্মসূচীর পুরস্কার প্রদান ॥ স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশে নিরন্তর কাজ করে চলেছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। সেই কমতৎপরতার অংশ হিসেবে কেন্দ্রের পক্ষ গত ছত্রিশ বছর ধরে দেশজুড়ে চলছে বইপড়া কর্মসূচী। প্রতিবছর দেশের প্রায় দেড় লাখ ছাত্রছাত্রী অংশ নিচ্ছে এই কর্মসূচীতে। সেই সূত্রে গত বছর ঢাকার ১০০ স্কুলের ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয় এই কর্মসূচীতে। এসব স্কুলের যেসব ছাত্রছাত্রী মূল্যায়ন পর্বে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে তাঁদের জন্য দুই দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য পুরস্কার বিতরণী উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীর রমনা বটমূলে আজ শুক্রবার সকালে তিন পর্বের এ উৎসবের উদ্বোধন হবে। এতে দেশবরেণ্য ব্যক্তিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। গ্যালারি কায়ায় কাজী রাকিবের চিত্রপ্রদর্শনী ॥ আজ শুক্রবার থেকে উত্তরার গ্যালারি কায়ায় শুরু হচ্ছে শিল্পী কাজী রাকিবের চিত্রকলা প্রদর্শনী। ‘ক্রনোলজি (১৯৭৫-২০১৫)’ শিরোনামের এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হবে বিকেল পাঁচটায়। প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন প্রখ্যাত শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন খ্যাতিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আফজাল হোসেন। পক্ষকালব্যাপী এ প্রদর্শনী চলবে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
×