ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

থামাও মর্মঘাতী বিনাশ

প্রকাশিত: ০৩:০৩, ১৬ জানুয়ারি ২০১৫

থামাও মর্মঘাতী বিনাশ

নাশকতা, সহিংসতা, বোমাবাজি, অগ্নিসংযোগ, গোলাগুলি, হানাহানি, মারামারি, খুনখারাবিকে আন্দোলন অভিহিত করে যা খুশি তাই করা হচ্ছে। দেশজুড়ে মানুষ হত্যা, সম্পদ বিনষ্ট করেই চলেছে। ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী, বিশ্ব এজতেমা পর্যন্ত তাদের বিরত করতে পারেনি। আন্দোলনের বিকারগ্রস্ত রূপ দীর্ঘদিন ধরেই ধারণ করার ফলে দিন দিন সেই বিকারের মাত্রা যেন বেড়েই যাচ্ছে। এক ধরনের উন্মাদনা চলছে জনজীবন নিয়ে। মানুষের জীবনকে, দেশের সম্পদকে কানাকড়ি মূল্য দেয় না যারা, তারা জনগণের জন্য হিতকর নয়। অথচ এরা জনগণকে শাসন করার কল্পিত আকাক্সক্ষায় জনজীবন বিপন্ন করে তুলছে। অতীতে এরা জনগণকে নানা মিথ্যাচার দিয়ে ‘এক্সপ্লয়েট’ করে ক্ষমতায় গিয়ে দেশজুড়ে তা-ব চালিয়েছে, সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে হানাহানির বিষ ঢেলেছে। খুন, ধর্ষণ, গুম, দুর্নীতি, লুটপাট, অস্ত্র চোরাকারবারিসহ হেন অপকর্ম নেই, যা তারা করেনি। ক্ষমতাকে কুক্ষিগত করার জন্য ২০০৬ সালের নির্বাচন নিয়ে কৌশলের খেলা খেলতে গিয়েছিলেন, তাতে মাতা-পুত্রের জন্য রাজনীতি করার দরজাটা সেই যে বন্ধ হয়েছে- তারপর সন্ত্রাস, জঙ্গী ও একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে পুরো দেশটাকে মধ্যযুগে ফিরিয়ে নিতে এরা সক্রিয়। এই একুশ শতকে তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তির যুগে সেই একই পন্থা আর কার্যকর নয় বলে জনগণ এমনকি দলীয় নেতাকর্মী অনেকেই তাদের এই কার্যকলাপ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। জামায়াত-শিবির, জঙ্গী ও ভাড়াটে বাহিনী দিয়ে দিনের বেলা তথাকথিত অবরোধ আর রাতে নাশকতা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব নাশকতার শিকার শুধু সরকারদলীয় লোকজনই নয়, অবরোধ আহ্বানকারী দলের নেতারাও শিকার হচ্ছে। সুপ্রীমকোর্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিটিভি, মন্ত্রীর বাড়িকে লক্ষ্য করে বোমার হুমকি মূলত বিএনপি-জামায়াত জোটের দেশকে জঙ্গী ও সন্ত্রাসী রাজত্বে পরিণত করে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করা ও দুর্নীতির মামলা থেকে রেহাই পাওয়াই যেন উপলক্ষ। পেট্রল বোমা মেরে, বাস পুড়িয়ে, মানুষকে দগ্ধ করে খুন করার মতো নৃশংসতায় পেঁৗঁছে যাওয়া এই রাজনীতিকরা আর রাজনীতিক নেই। হয়ে গেছেন জঙ্গী ও সন্ত্রাসবাদীদের নেতা-নেত্রী। জনমত সংগঠিত করে এদের নাশকতা প্রতিহত করা গোটা জাতির স্বার্থে জরুরী হয়ে পড়েছে। এই অপশক্তির হাত থেকে দেশের মানুষকে বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সঙ্গত আজ।
×