ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শার্লির কার্টুন ও পশ্চিমা বিশ্ব

প্রকাশিত: ০২:৫৪, ১৬ জানুয়ারি ২০১৫

শার্লির কার্টুন ও পশ্চিমা বিশ্ব

প্যারিসের কার্টুন নিয়ে সারাবিশ্বে এখন তোলপাড়। জঙ্গীরা এক ন্যক্কারজনক অধ্যায়ের সৃষ্টি করে দুনিয়াজুড়ে তর্কের ঢেউ তুলল। কয়েক বছর আগে ডেনমার্কেও কার্টুন ছাপায় একই ঘটনা ঘটেছিল। তার আগে রুশদির উপন্যাসের প্রকাশকদেরও একই অবস্থা হয়েছিল। একটা প্রশ্ন কিন্তু সকলের মনে আসা উচিত কেন এই কার্টুন তৈরি হচ্ছে? কারা কিসের স্বার্থে ধর্মকে ব্যবহার করছে? একজন কার্টুনিস্ট সবসময় তুলি পেন্সিল ব্যবহার করে তার চারপাশের সমাজে কী ঘটছে, কী বলা হচ্ছে- সেসব নিয়ে। ফ্রান্সে কার্টুনের কদর খুবই বেশি। ফ্রান্সে কার্টুন ছাড়া কোন সংবাদপত্রও প্রকাশিত হয় না। কার্টুনের স্বতন্ত্র মর্যাদাও রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের একটি বিশেষ ধারা হিসেবে ফ্রান্সে কার্টুনের অবস্থান। শার্লি হেবদো পত্রিকাটিও কার্টুনের মধ্য দিয়ে সরকার, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, শিল্পপতি এবং ধর্মগুরুদের আক্রমণ করে। এ পত্রিকার প্রকাশিত কার্টুন যেমন জনপ্রিয়, তেমনই ক্ষোভ, বিক্ষোভ, বিতর্ক তৈরি করেছে। ২০০৬ সালে এবং ২০১১ সালে ওই পত্রিকার প্রচ্ছদে ধর্মের প্রতি বিদ্বেষমূলক কার্টুন প্রকাশিত হয়। ওই পত্রিকার বিরুদ্ধে জাতি-বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে মামলা হয়। পরে এ ধরনের আরও কার্টুন প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকাটির দাবি, তারা উগ্রপন্থী চিন্তাকে ব্যঙ্গ করেছে- ধর্মীয় অবমাননা করেনি। যে বিতর্কই হোক না কেন তার প্রতিক্রিয়ায়- এ ধরনের নৃশংস হত্যাকা- চূড়ান্ত নিন্দনীয়। সে সঙ্গে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে ফ্রান্সে সক্রিয় ইসলামবিরোধী দক্ষিণপন্থী গোষ্ঠীগুলো এ হত্যাকা-ের ফায়দা তুলবে এবং জাতি-বিদ্বেষ সৃষ্টির চেষ্টা করবে। শুধু ফ্রান্সেই নয়, এ বিদ্বেষ ইউরোপের অন্যান্য দেশেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। কেননা, ফ্রান্সে কট্টরপন্থী ইসলামিক আন্দোলনকে ঘিরে নতুন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইউরোপের মধ্যে ফ্রান্সেরই বেশিসংখ্যক মুসলিম তরুণ মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামিক সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। ইসলামিক স্টেটসের বিভিন্ন উগ্রপন্থী সংগঠনের সঙ্গে কোন না কোনভাবে যুক্ত ৫০০ যুবক ফ্রান্সে ফিরেছে। তার মধ্যে ইতোমধ্যে ৫০ জন গ্রেফতারও হয়েছে। ফলে সরকারের আশঙ্কাই ছিল- এই যুবকরাই দেশে নাশকতা বা কোন আক্রমণ চালাতে পারে। শার্লি হেবদোর হামলাকারী দুই সন্ত্রাসী ইতোমধ্যে ফ্রেঞ্চ পুলিশদের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। এরা যথাক্রমে শরিফ কোয়াচি এবং সাঈদ কোয়াচি নামে দুই ভাই। তারা ফ্রেঞ্চ নাগরিক এবং আলজেরিয়ান বংশোদ্ভূত। গত শতকের মাঝামাঝি সময়ে ফ্রান্সের উপনিবেশ ছিল আলজিরিয়া। সারা দুনিয়ার পশ্চিমা উপনিবেশের হাতে নির্যাতিত ও লাঞ্ছিত জনগণের উদাহরণ। যারা এই স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিল। তাদের সংগঠনের নাম ছিল এফএলএন। খাতা-কলমে মুক্তি সংগ্রামে নেতৃত্ব দিলেও এফএলএনকে তৎকালীন ফ্রান্স এবং তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলো সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসেবে আখ্যায়িত করেছিল। এফএলএন বাস্তবিকই গেরিলা হামলার মধ্য দিয়ে তাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম পরিচালনা করেছে। ফ্রান্সের কাছে যা সন্ত্রাস, এফএলএন ও স্বাধীনতাকামী আলজিরিয়ানদের কাছে তাই ছিল সংগ্রাম। বেশ আগে বোরকার ভেতরে বোমা লুকিয়ে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা প্রথম ঘটেছিল আলজিরিয়াতে। এফএলএনের নারী সদস্যরা বোরকার ভেতরে লুকিয়েই অস্ত্র পাচার করত, বোরকার নিচে বোমা বেঁধে তারা বহু আত্মঘাতী হামলাও চালিয়েছে। জাতীয়তাবাদী এফএলএন আলজিরিয়ার মুসলিম মানসকেও তাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মস্থ করে নিয়েছিল। কিন্তু এফএলএনকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আখ্যা দিলেও ফ্রান্স কিংবা পশ্চিমা বিশ্ব এ সন্ত্রাসকে কখনোই ইসলামী সন্ত্রাস হিসেবে চিহ্নিত করেনি। কারণ তৎকালীন দুনিয়ায় পশ্চিমের প্রধান উদ্বেগের বিষয় ছিল কমিউনিজম, ইসলাম নয়। সব সংগ্রাম অথবা সন্ত্রাসের পেছনে সেই সময় কমিউনিজমকে চিহ্নিত করা হতো, ইসলামিজমকে নয়। আর বর্তমান পৃথিবীতে ইসলামী সন্ত্রাসবাদের উত্থানের পেছনে পশ্চিমী রাষ্ট্রগুলোর নতুন ঔপনিবেশিক রাজনৈতিক প্রকল্পের দায় অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। আফগানিস্তানের তালেবান কিংবা ইরাক সিরিয়ার আইসিস পশ্চিমা রাজনৈতিক প্রকল্পের কারণেই জন্ম হয়েছে। তালেবানদের জন্ম হয়েছিল আফগানিস্তানে সোভিয়েতবিরোধী প্রকল্প হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র ও অর্থ সাহায্যের প্রকল্প স্বরূপ। আইসিসের জন্ম হয়েছে ইরাকে মার্কিন নেতৃত্বে পশ্চিমী শক্তিগুলোর দখলদারিত্ব এবং সিরিয়ায় বাশার আল আসাদবিরোধী ইসলামিস্টদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর অর্থ, অস্ত্র ও সহায়তার ফলে। জ্বালানি সম্পদসহ বিভিন্ন লোভের কারণে পশ্চিমী রাজনৈতিক শক্তিগুলো মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম প্রধান রাষ্ট্রগুলোতে নয়া ঔপনিবেশিক কর্তৃত্ব বহাল রাখতে গিয়ে যেসব গোপন এবং প্রকাশ্য রাজনৈতিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে তার বাস্তবায়নেই এ ধরনের বহু দেশে ইসলামী সন্ত্রাসবাদ গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পশ্চিমী শক্তিগুলোকে নতুন আগ্রাসনের বৈধতা যুগিয়ে গেছে। সব মিলিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের রাজনৈতিক প্রকল্পের ফলে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোতে লাখ লাখ মানুষ নিহত হয়েছে গত এক দশকে। এই নিহতদের অধিকাংশই সাধারণ মানুষ ছিলেন। তারা কার্টুন আঁকেনি, কার্টুনিস্টদের মারতেও যায়নি। কিন্তু উপনিবেশ যে নিজের তৈরি অস্ত্রেই নিহত হচ্ছে ফ্রান্সের শার্লি হেবদোর অফিসে হামলার ঘটনায়, তা আবারও পরিষ্কার হলো। ইউরোপে সবচেয়ে বেশি মুসলিম বাস করে ফ্রান্সে। মোট জনসংখ্যার ১২ শতাংশ। এই ১২ শতাংশের মধ্যে যেমন কোয়াচি ভাইদের মতো সন্ত্রাসীরা আছে, তেমনি আহমেদ মেরাবেতের (যেই মুসলিম পুলিশ এই দুই সন্ত্রাসীকে বাধা দিতে গিয়ে নিহত হয়েছেন) মতো অনুগত ফ্রেঞ্চ নাগরিকরাও আছেন। আসলেই কি ইসলাম খ্রীস্টান বলে তকমা দিয়ে জাত বুঝিয়ে সন্ত্রাসী চিহ্নিত করতে হবে? সন্ত্রাসী, ধর্ষক, খুনী এদের কি কোন নির্দিষ্ট ধর্মে ফেলা যুক্তিসঙ্গত? ২০০৩ সালে বাগদাদে আলজাজিরার অফিসেও মার্কিন মিসাইল হামলায় ১৫ জন সাংবাদিক মারা যায়। সেটা অবশ্য পশ্চিম সভ্য সমাজে ছিল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, তাই এরকম প্রতিবাদ হয়নি আর যুদ্ধে তো কত নিরীহ মানুষই মারা যায়, মিসাইলে তো নাম লেখা থাকে না কার বুকে বিঁধবে- এটা ছিল তাদের যুক্তি কিন্তু তথ্যপ্রমাণ বলেছিল- মিসাইলটা একদম টার্গেট করেই ছোড়া হয়েছিল আলজাজিরা অফিসে। আর ফ্রি স্পিচের যে দোহাই পশ্চিমা দিচ্ছে তারই সবচেয়ে বড় অবমাননা তারা ঘটিয়েছে উইকিলিক্সের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান এ্যাসেঞ্জকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করে। মার্কিনীদের সুরে সুর না মেলালেই সে সন্ত্রাসবাদী, সেটা এ্যাসেঞ্জই হোক বা স্নোডেন। শার্লির থেকে একটা বস্তুই শুধু কেড়ে নেয়া যাবে না, সেটা হলো তাদের সাহস। অসম্ভব চাপের মুখে দাঁড়িয়েও জীবন সংশয় করে তারা তাদের শিল্পীসত্তার স্বাধীনতায় অটল ছিলেন। ফ্রান্সের এই সাহসী কার্টুনিস্টদের বলা হতো ১৯৬৮ মবহবৎধঃরড়হং, যারা হাজার হাজার চাপের মুখেও নতিস্বীকার করেনি। সন্ত্রাসীরা সম্ভবত বেহেশত দেখেছিল কালাশনিকভের নলে। প্রতি জুমাবারে মহল্লায় মহল্লায়, এই স্বাধীন শিল্পসত্তাধারীদের শ্রাদ্ধ করা হয়েছে, হবেও। সপ্তাহ ঘুরলেই হাসিমুখে যিশু আবার চড়ে বসবেন ক্রশকাঠে। এরকম চলতেই থাকবে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষকে ধোঁকা দিয়ে। প্যারিস ও ফ্রান্সের অন্যান্য শহরে কয়েক লাখ মানুষ শেষ রবিবার সন্ত্রাসবাদকে ধিক্কার জানিয়ে পথে নেমেছিলেন। সন্ত্রাসবাদী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আতঙ্কের আবহ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ থেকে ছিল এই মিছিল। কিন্তু একই সঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে, বিভিন্ন দেশের যে রাষ্ট্রপ্রধান বা শীর্ষ নেতারা মিছিলে হাঁটলেন, মানবাধিকার রক্ষা, সন্ত্রাসবাদ বিরোধিতা, মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষায় তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা কতদূর? মিছিলের বিবরণের সঙ্গে সঙ্গেই এই প্রশ্ন তুলেছে খোদ ফ্রান্সেরই সংবাদ মাধ্যম, সোস্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস সোমবার তথ্য তুলে ধরে বলেছে, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ, দাভুতোগলু মিছিলে ছিলেন, অথচ তাঁর দেশে ২০১২-১৩ সালে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক সাংবাদিক জেলবন্দী ছিলেন। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার সূচকে তুরস্কের স্থান ১৫৪তম। মিসরের বিদেশমন্ত্রী মিছিলে ছিলেন অথচ তাঁর দেশে আলজাজিরার সাংবাদিকদের সাত থেকে দশ বছরের কারাদ- দেয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে মিসর এখন ১৫৯তম। মিছিলে ছিলেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, ছিলেন ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী নাফতালি বেনেটও। এই কট্টর জায়নবাদী বেয়নেটের অতি কুখ্যাত মন্তব্য, আমি জীবনে অনেক আরবকে মেরেছি, তা নিয়ে আমার কোন সমস্যাও নেই। গাজায় সাম্প্রতিক ইসরাইলী হামলায় সাতজন সাংবাদিক নিহত হয়েছিলেন। কয়েক দিন আগেই এক সাংবাদিককে ধর্মকে আঘাত করার দায়ে চাবুক মারার পরে সৌদি আরবের সরকারী কর্তাব্যক্তিরাও হাজির হয়েছিলেন মিছিলে। এর থেকেও বড় প্রশ্ন উঠেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের রাজনৈতিক সামরিক ভূমিকা নিয়েও। শার্লি সাপ্তাহিকে আক্রমণের পরে ওলান্দে এই আক্রমণকে চিহ্নিত করেছিলেন ব্যতিক্রমী বর্বরতা বলে। প্রশ্ন উঠেছে, লিবিয়াতে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে এবং রাষ্ট্রসংঘের কোন অনুমোদন ছাড়াই বোমাবর্ষণে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু, গাদ্দাফিকে হত্যার ঘটনা কি ব্যতিক্রমী বর্বরতা নয়? এই আক্রমণে ফ্রান্স ছিল সামনের সারিতে এবং তারাই প্রথম দাবি করে গাদ্দাফি তাদের সেনাদের হাতেই নিহত হয়েছেন। সিরিয়ায় আসাদবিরোধীদের অস্ত্র সরবরাহ এবং প্রশিক্ষণে যুক্ত মার্কিন এবং ফরাসী গোয়েন্দারা। তাদেরই সরবরাহ করা অস্ত্র নিয়ে আল কায়েদা ঘনিষ্ঠ সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জাবাত আল নুসরা সিরিয়ায় একের পর এক হত্যা অভিযান চালিয়েছে। সেখান থেকেই তৈরি হয়েছে ইসলামিক স্টেট, আবার সেই একই অস্ত্রে ১২ জন স্বাধীন শিল্পী ঝাঁজরা হয়ে গেলেন। জার্মানি ব্রিটেনের রাষ্ট্রপ্রধানসহ মার্কিন সহযোগী দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা রবিবারের মিছিলে একসঙ্গে হেঁটেছেন কোন্্ বার্তা দিতে? ইউরোপের সংবাদ মাধ্যমেরই একাংশের উত্তর, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় যে এদেরই ওপরে ভরসা করতে হবে সেই বার্তা বহন করতে। কিভাবে ফ্রান্সের বুকে সন্ত্রাসবাদের তৎপরতা বাড়ল, কেন মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্কট দিন থেকে দিন গভীরতর হচ্ছে, কেন ইউরোপের শাসক দলগুলোর গণপ্রভাব কমছে, এসব প্রশ্ন ধামাচাপা দিতেই এই প্রদর্শনী। যদিও রবিবারের মিছিলে এক অংশগ্রহণকারী সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিলেন একটি নজরকাড়া পোস্টার, তাতে লেখা ছিল- ‘আমি হাঁটছি কিন্তু আমি পরিস্থিতির বিভ্রান্তি সম্পর্কে ভ-ামি সম্পর্কে সচেতন।’ লেখক : ভারতীয় সাংবাদিক
×