ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পুঁজিবাজারে সূচকের উর্ধগতি অব্যাহত

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ১৪ জানুয়ারি ২০১৫

পুঁজিবাজারে সূচকের উর্ধগতি অব্যাহত

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুুঁজিবাজারে সূচকের উর্ধগতি অব্যাহত রয়েছে। সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর টানা অবরোধের মাঝেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। বিশেষ করে নতুন বছরে ডিসেম্বর ক্লোজিং শেষে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের বড় বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ বাড়ার কারণে শেয়ারের দর বেড়েছে। ফলে চলতি বছরে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের লেনদেন চার শ’ কোটি টাকার উপরে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার মতো অপর বাজারেও সব ধরনের সূচক বেড়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, দিনের প্রথমভাগে টাকার অঙ্কে লেনদেন তুলনামূলক বেশি লক্ষ্য করা গেলেও শেষভাগে কমেছে। গত কিছুদিন ধরে অবশ্য সকালে লেনদেন কমেছিল। কিন্তু মঙ্গলবারেই সেই ধারা থেকে বের হয়ে এলো। সকালে সূচকে উর্ধগতির মধ্যদিয়ে লেনদেন শুরুর পর মঙ্গলবার দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ১২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে চার হাজার ৯শ’ ৬৯ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩শ’ ১১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১শ’ ৬৩টির, কমেছে ১শ’ ১৬টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ার দর। সেখানে লেনদেন হয়েছে ৪শ’ চার কোটি ৯৭ লাখ ৮৬ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সোমবার ডিএসইর সার্বিক সূচকটির অবস্থান করে চার হাজার ৯শ’ ৫৬ পয়েন্টে। ওইদিন লেনদেন হয়েছিল ৪শ’ ১৭ কোটি এক লাখ ৯৩ হাজার টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সেই হিসাবে মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ১২ কোটি চার লাখ সাত হাজার টাকা বা ২.৮৮ শতাংশ। মঙ্গলবার ডিএসইর সেরা-২০ তালিকায় থাকা কোম্পানিগুলোর মোট ১শ’ ৭৮ কোটি ৮৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪৪.১৬ শতাংশ। এদিন ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে আইডিএলসির। দিনভর এ কোম্পানির ২০ লাখ পাঁচ হাজার ৫শ’ ৬১টি শেয়ার ১৬ কোটি ৩৪ লাখ ২৫ হাজার টাকায় লেনদেন হয়েছে, যা ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.০৩ শতাংশ। এছাড়া বরকতুল্লাহ ইলেকট্রো ডায়নামিকের ১৩ কোটি ৭০ লাখ, সাইফ পাওয়ারটেকের ১১ কোটি ৮৮ লাখ, ফু-ওয়াং ফুডের ১১ কোটি ৭২ লাখ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের ১১ কোটি ৫১ লাখ, ডেসকোর ১১ কোটি ৪৬ লাখ, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমসের ১০ কোটি ৩৫ লাখ, অগ্নি সিস্টেমসের নয় কোটি ৩২ লাখ, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের নয় কোটি ১১ লাখ এবং গ্রামীণফোনের আট কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দর বৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো- নর্দান জুটস, লিব্রা ইনফিউশন, হোটেল পেনিনসুলা, আলহাজ্ব টেক্সটাইল, বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেম, ন্যাশনাল হাউজিং লিমিটেড, এ্যাপেক্স স্পিনিং, ডিবিএইচ ও বিজিআইসি। দর হারানো সেরা কোম্পানিগুলো হলো- ড্যাফোডিল কম্পিউটার, শ্যামপুর সুগার মিল, দ্বিতীয় আইসিবি, অলটেক্স, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, ইনটেক, মোজাফফর হোসেন স্পিনিং, সাইফ পাওয়ার টেক, ঢাকা ডাইং ও প্রাইম ব্যাংক। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ডিসেম্বর মাসে বিনিয়োগ গুটিয়ে নিয়ে বর্তমানে নতুন করে বাজারে ফিরেছেন প্রাতিষ্ঠানিক ও বড় পুঁজির বিনিয়োগকারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় মূল্যসূচক ও টাকার অঙ্কে লেনদেন কিছুটা বাড়ছে। দিনশেষে অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ মূল্যসূচক ২০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে নয় হাজার ২শ’ ৩৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২শ’ ৪২টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১শ’ ২৮টির, কমেছে ৭৮টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টি কোম্পানির। লেনদেন হয়েছে ৩০ কোটি ৭৯ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। আগের দিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ৩০ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট। সে হিসাবে মঙ্গলবার সিএসইতে লেনদেন কমেছে ১৩ লাখ টাকা।
×