ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১২ জানুয়ারি ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

বরিশাল বিভাগের প্রতিটি জেলায় ক্রমেই বেড়ে চলেছে নিরীহ মানুষের ওপর বহুমাত্রিক অত্যাচার- নির্যাতন। স্থানীয় চিহ্নিত কতিপয় মামলাবাজ জাল-জালিয়াতি করে জায়গা-জমি দখল, ক্ষেতের পাকা ধান লুট, গাছ-মাছ লুট, ৭০ বছর আগে পূর্ব পুরুষদের জায়গা দাবি করে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, জীবননাশের হুমকি, সালিশির নামে প্রহসন এবং এলাকা ত্যাগের হুমকিসহ নানাবিধ নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন প্রকৃত সম্পদের নিরীহ জনগণ। ৬০ থেকে ৭০ বছর আগে জমির মালিকের কাছ থেকে কেনা জমি পরবর্তী মালিক বসবাস করে এতদিনে মারাও গেছেন। এখন তার উত্তরসুরিরা সেখানে বসবাস করছেন বা করবেন এটাই স্বাভাবিক। অথচ স্থানীয় চিহ্নিত দখলবাজ-মামলাবাজরা মামলা ঠুকে দিয়ে প্রকৃত মালিককে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে থাকে। ভয়ভীতি দেখায় আরও কত কি। নির্যাতিতরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অভিযোগ নিয়ে গেলে সেখানেও সহযোগিতার পরিবর্তে উল্টো তারা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে এক বৃদ্ধ জানালেন, নিরীহ ভাল মানুষের দিন ফুরিয়ে গেছে। তাদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করে স্থানীয় চিহ্নিত কতিপয় দখলবাজ, মামলাবাজ, গডফাদাররা নিপীড়ন চালাচ্ছে নিরীহদের ওপর। নিরীহ জনগণের পাশে কেউ-ই দাঁড়ায় না। লিয়াকত হোসেন খোকন ঢাকা। নির্বিচারে পাখি শিকার? পাখি আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশের বন্ধু। পাখির কলরবে সকালে আমাদের ঘুম ভাঙ্গে। পাখির আনাগোনায় আমাদের প্রকৃতি ও পরিবেশ হয়ে উঠে আনন্দমুখর। কিন্তু দুঃখের বিষয় শীত এলেই এক শ্রেণীর অসাধু লোকেরা পাখি শিকারে মত্ত হয়ে উঠে। প্রতিবছরের মতো এবারও শীতের শুরুতে গোপালগঞ্জে অতিথি পাখির আগমনের সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে পাখি শিকারীদের দৌরাত্য। গোপালগঞ্জ জেলা একটি বিল অধ্যুষিত এলাকা। এ জেলায় চান্দার বিল, বাঘিয়ার বিলসহ ৫টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য নদী-নালা, খাল-বিল ও জলাশয়। শীতের আগমনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে জেলার এসব এলাকায় ঝাঁকে ঝাঁকে নানা প্রজাতির অতিথি পাখির আগমন ঘটে। আর এ সুযোগে এক শ্রেণীর অসাধু পাখি শিকারীরা অতিথি পাখি নিধনে মত্ত হয়ে উঠে। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। এক শ্রেণীর অসাধু ও সৌখিন ভোজনবিলাসী ব্যক্তিরা বন্দুক, ফাঁদ ও বিষটোপ দিয়ে প্রতিদিন শত শত অতিথি পাখি নিধন করছে। ফলে প্রতিবছরই এ অঞ্চলে অতিথি পাখির আগমন হ্রাস পাচ্ছে। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে নানা প্রজাতির দেশি-বিদেশি পাখি। এক সময় এ অঞ্চলে শীত মৌসুমের শুরুতে সন্ধ্যার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন গাছপালা ঘেরা বাড়িতে গাছে বিল জলাশয় থেকে পাখিরা এসে আশ্রয় নিতো। গাছপালা ঘেরা বাড়ি অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠত। হাজার হাজার পাখির আগমনে পুরো এলাকা পাখির রাজ্যে পরিণত হতো। ভোর হলেই আবার পাখিরা চলে যেত খাবারের সন্ধানে বিভিন্ন বিল-জলাশয়ে। অসংখ্য অতিথি পাখি প্রতিবছর পুরো শীত মৌসুম জেলার খাল-বিল, নদী-নালা ও জলাশয়ে বিচরণ করে। আবার গরমের শুরুতেই তারা ফিরে যায় নিজ নিজ আবাসস্থলে। প্রতিবছর শীত মৌসুমে সুদূর সাইবেরিয়া থেকে হাজার হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে এ অঞ্চলে আসে ঝাঁকে ঝাঁকে অতিথি পাখি। কিন্তু পাখিদের নিরাপদ অভয়ারণ্য না থাকায় দিন দিন বিপন্ন হয়ে যাচ্ছে অতিথি পাখি। ফলে ভারসাম্যহীন হয়ে পড়ছে পরিবেশ। তাই পাখি শিকার বন্ধে দেশের প্রচলিত আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের এগিয়ে আসার দাবি করছেন সচেতন এলাকাবাসী। লিয়াকত হোসেন (লিংকন) রামদিয়া বাজার, গোপালগঞ্জ। বাস্তবায়ন চাই মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জাতির জনক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণের জন্য ১৯৭২ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠন করেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠনকালীন সভায় তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০% কোটা ঘোষণা করেন। জাতির জনক কন্যা, জাতির জনকের যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে প্রথমে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের কোটা এবং পরবর্তীতে নাতি-নাতনী কোটা ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সর্বোচ্চ কল্যাণ করে যাচ্ছেন। বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাঁর কাছে চিরঋণী। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ঘাপটি মেরে থাকা রাজাকারী চেতনার প্রশাসকগণ বিভিন্ন কূট-কৌশলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাস্তবায়ন করেন না। সম্প্রতি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কোটা বাস্তবায়ন করা হলেও নাতি-নাতনী কোটা বাস্তবায়ন করা হয় নাই। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সকল প্রযোজ্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনী কোটা বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা হবে এটাই কাম্য। জীবন কৃষ্ণ ঘোষ ঢাকা।
×