ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

চাষী নজরুলের মৃত্যুতে চলচ্চিত্রকর্মীদের শোক

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ১২ জানুয়ারি ২০১৫

চাষী নজরুলের মৃত্যুতে চলচ্চিত্রকর্মীদের শোক

গৌতম পাণ্ডে ॥ দেশীয় চলচ্চিত্রের গুণী পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম চাষী নজরুল ইসলাম। পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে ক্যামেরার পেছনে সক্রিয় ছিলেন তিনি। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হলো বর্ণাঢ্য এক চলচ্চিত্র জীবন। জীবদ্দশায় চলচ্চিত্র শিল্পে তিনি রেখে গেছেন অনবদ্য সব কাজের স্বাক্ষর। সাহিত্য নিয়ে তাঁর মতো খুব কম নির্মাতাই কাজ করেছেন এ দেশে। তাঁর জীবনঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্রগুলো মধ্যবিত্ত দর্শককে হাসিয়েছে, কাঁদিয়েছে, ভাবিয়েছে। এসব কাজের মাধ্যমে তিনি বেঁচে থাকবেন। সর্বদা সত্য বলার সাহসী এই মানুষ লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। চলচ্চিত্রের এই প্রবাদপ্রতিম পুরুষ রবিবার ভোর ৫-৫১ মিনিটে মৃতুবরণ করেন। তাঁর মৃত্যুতে চলচ্চিত্রাঙ্গনসহ দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে আসে। চলচ্চিত্র ও সংস্কৃতি অঙ্গনের মানুষদের প্রতিক্রিয়া নিয়ে এ প্রতিবেদন। রাজ্জাক : আমরা খুব ভালো বন্ধু ছিলাম। ষাটের দশকে ওর আর আমার ক্যারিয়ার একসঙ্গে শুরু হয়েছিল বলা যায়। ‘ওরা ১১ জন’, ‘শুভদা’, ‘চন্দ্রনাথ’, ‘বাজিমাত’ চলচ্চিত্রগুলোতে তার পরিচালনায় অভিনয় করেছি। অসুস্থ হওয়ার পর চাষী মাঝে বিদেশে গিয়েছিল, তখন আমিও অসুস্থ। ও দেশে ফেরার পর ফোনে কথা হয়েছিল। ওকে বলেছিলাম, শরীরটা আমারও ভাল না। দোয়া করিস আমার জন্য। এ ছাড়া প্রায়ই আমার ছেলে সম্রাটকে দিয়ে তার শরীরের খোঁজ-খবর নিতাম। কারণ তখন ল্যাবএইডে খুব অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিল চাষী। ওর চলে যাওয়ায় খুব খারাপ লাগছে আমার। বন্ধুকে হারিয়ে মনটা বিষণœ হয়ে আছে। ববিতা : মৃত্যুর সংবাদ সবার জন্যই বেদনাদায়ক। কিন্তু আমাদের কাছের মানুষগুলো এভাবে হঠাৎ চলে যাচ্ছেন, এটা মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে। চাষী ভাই আমাকে অনেক স্নেহ করতেন। কয়েকদিন আগেও তার বাসায় গিয়েছিলাম। তার অসুস্থতা দেখে খুব খারাপ লাগছিল। তার সঙ্গে অভিনয় বা কাজ হয়েছে বলে নয়, তার মতো পরিচালক সত্যি দুষ্কর। কারণ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। তাঁর জন্য মন কাঁদছে। মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) : চাষী নজরুল ইসলাম একেবারেই অসময়ে চলে গেলেন তা নয়, আবার মনে হচ্ছে সময়ের আগেই তিনি চলে গেলেন। তিনি স্বাধীন বাংলার প্রথম মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জনের পরিচালক। এই একটি কারণে হলেও বাংলাদেশ যতদিন থাকবে ততদিন এদেশের মানুষ তাঁকে শ্রদ্ধারসঙ্গে মনে রাখবে। আমার খুব কাছের এক বন্ধুকে হারালাম আমি। তাঁর নির্দেশনায় আমি দুটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছিলাম। একটি ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’ ও ‘অন্যটি বাসনা’। আল্লাহ তাকে বেহেস্ত নসীব করুন। শবনম : চাষী ভাইয়ের নির্দেশনায় কোন কাজ করার সৌভাগ্য আমার হয়নি। তবে আমি পাকিস্তান থেকে সর্বশেষ যখন একেবারে দেশে চলে আসি তখন তিনি আমাকে দেশেই থাকার ব্যাপারে খুব উৎসাহ দিয়েছিলেন। চলচ্চিত্রের এই একটি মানুষের সঙ্গে আমার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। আমাদের সুখে-দুখে তাঁকে পাশে পেয়েছি। এমন একটি দরাজ কন্ঠের মানুষ, হাসি খুশি মানুষ মাত্র ক’দিনেই এভাবে আমাদের কাঁদিয়ে চলে যাবেন, ভাবাই যায় না। আমাদের দেশে এমন গুণী মানুষ আর আসবে না। সত্যিই আমরা খুব শূন্য হয়ে পড়ছি, মেধাবী সব মানুষরা একের পর এক চলে যাচ্ছেন। সুচন্দা : চাষী ভাই একাধারে একজন সত্যিকারের মুক্তিযোদ্ধা, স্পষ্টবাদী মানুষ এবং সর্বোপরি একজন বন্ধুসুলভ মানুষ ছিলেন। তাঁর সবকিছু নিয়ে যদি বিশ্লেষণ করি তবে একটি বিষয় স্পষ্টত যে, তিনি সত্যিকার অর্থের একজন ভাল মনের মানুষ ছিলেন। একজন খুব ভাল গুণী নির্মাতা ছিলেন। তিনি এতোটাই স্পষ্টবাদী ছিলেন যেন যে কোন কথা বলতে তিনি দ্বিধাবোধ করতেন না। সর্বশেষ আমি যখন হজে গিয়েছিলাম তখন তাঁর জন্য মহান আল্লাহর কাছে বিশেষভাবে মোনাজাত করেছিলাম। আল্লাহ যেন চাষী ভাইকে বেহেস্ত নসীব করেন। কবরী : তিনি যখন অসুস্থ তখনই বেশ কয়েকবার তাঁকে দেখতে গিয়েছি। আমি খুব অবাক হয়েছিলাম যে, চাষী ভাই অসুস্থ থাকার পরও এতটা হাসিখুশি ছিলেন যে মনেই হতোনা তাঁর এতো বড় একটা অসুখ হয়েছে। ভোরে যখন খবরটা শুনলাম তখন থেকে মনটা এতো খারাপ যে কারো সঙ্গেই কথা বলার কোনই আগ্রহ হচ্ছিল না। আমরা আমাদের চলচ্চিত্রের একজন মধ্যমণিকে হারালাম। যিনি সত্যি আমাদের অভিভাবকের মতো ছিলেন। যার সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে আমার অনেক কিছুই শেয়ার করতাম নির্দ্বিধায়। কতো কথা, কতো স্মৃতি আজ চোখের সামনে ভেসে উঠছে। আজ আর বেশি কিছু বলতে পারছি না, খুব কষ্ট হচ্ছে আমার। খুব খারাপ লাগছে। ববিতা : ফজরের নামাজ পড়েই চাষী ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটি শুনলাম। খুব দুঃখ লাগে যে সব আপন মানুষরা একে একে চলে যাচ্ছেন। আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গনে চাষী ভাইয়ের যে অবদান তাই তাঁকে হাজার বছর বাঁচিয়ে রাখবে। আমাদের তিন বোনের সঙ্গে চাষী ভাইয়ের সম্পর্কটা ছিল নিবিড়। আমরা যখনই কোন অনুষ্ঠান করতাম তখন আর কাউকে বলি না বলি চাষী ভাইকে বলতামই। কারণ তিনি আমাদের পরম আত্মার একজন মানুষ ছিলেন। আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গনানকে তিনি সমৃদ্ধ করে গেছেন। ফারুক : চাষী ভাই খুব মজার একজন মানুষ ছিলেন। সবসময়ই তিনি হাসিমুখে কথা বলতেন। শূটিংয়ের সময় তাঁর মেজাজ খুব খারাপ থাকত যদি মনেরমতো কাজ না করতে পারত। আমার মনে হয় সৃষ্টিশীল মানুষরা বুঝি এমনই হয়। যাই হোক আল্লাহ যেন চাষী ভাইকে জান্নাত নসীব করেন এই দোয়াই করি। আমরা খুব ভাল একজন মানুষ, খুব ভাল একজন বন্ধু হারালাম। আমাদের এই শূন্যতা কোনদিনই পূরণ হবার নয়। আমার প্রযোজনার ‘মিয়া ভাই’ চলচ্চিত্রটি তিনিই নির্মাণ করেছিলেন। ইলিয়াস কাঞ্চন : ‘ভালবাসা’ নামে একটি চলচ্চিত্রে কাজের মাধ্যমে চাষী ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয়। এর প্রযোজক ছিলেন প্রয়াত অভিনেতা বুলবুল আহমেদ। এতে অভিনয় করেছিলেন ববিতা আপাও। সেই থেকে চাষী ভাইয়ের সঙ্গে আমার ভাল সখ্য ছিল। এর বাইরে তার ‘শাস্তি’ চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। এতে অভিনয়ে আমাকে পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু আমি পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করি। তাঁর সহকারী পরিচালক ভুল করে আমার নাম পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন জুরি বোর্ডের কাছে। সে যাই হোক, গোপীবাগে চাষী ভাইয়ের বাসায় প্রায়ই যেতাম। চাষী ভাইকে সবাই পছন্দ করতেন। যা বলার সামনাসামনি বলে দিতেন তিনি। সর্বশেষ চাষী ভাই ও আমি ‘বাংলার ফাটাকেস্টো’ চলচ্চিত্রে একসঙ্গে অভিনয় করেছি। যদিও এটি নানা কারণে সেন্সরে আটকে আছে। সর্বশেষ ১০-১২ দিন আগে তাঁর অসুস্থতার খবর পেয়ে কমলাপুরের বাসায় গিয়েছিলাম। তখন তিনি ঘুমিয়ে থাকায় কথা হয়নি। তবে তাঁর নাজুক অবস্থা দেখে খুব খারাপ লাগছিল। তাঁর জন্য আমার শ্রদ্ধা। পারভীন সুলতানা দিতি : চাষী ভাইয়ের মৃত্যুর খবরটি আমার বাসার একটি ছেলে আলমের কাছ থেকেই পাই খুব সকালে। ঠিক পনেরো মিনিট পর আলমের বাবারও মৃত্যুর খবর পাই। তো একই দিনে দুটি মৃত্যুর খবর আমাকে খুবই ব্যথিত করেছে। আমার খুব আপন একজন মানুষকে হারালাম। এই শোক কাটিয়ে উঠার মতো নয়। ব্যক্তি জীবনে আমি কোন ঝামেলায় পড়লে আল্লাহর পর তাঁকেই স্মরণ করতাম আমি। তাঁর নির্দেশনায় আমি অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি তা নয়। কিন্তু আমার স্বামী সোহেলের সঙ্গে তাঁর খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। যে কারণে আমার সঙ্গেও সম্পর্কটা ছিল বেশ মধুর। পারিবারিক যোগাযোগটা ছিল বেশ আন্তরিক। সর্বশেষ তাঁর নির্দেশনায় আমি ‘অন্তরঙ্গ’ চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। এটি মুক্তির অপেক্ষায় আছে। চম্পা : খবরটা শুনেই সকাল থেকে খারাপ লাগছে। চাষী ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে আমার অনেকদিনের সম্পর্ক। চাষী ভাই আমার শ্বশুরবাড়ির দিক দিয়ে (বিক্রমপুরে) আত্মীয় বলা যায়। তাঁর মনটা ছিল শিশুসুলভ। সবকিছুই ইতিবাচকভাবে দেখতেন। তাঁকে কখনও পরনিন্দা বা পরচর্চা করতে দেখিনি। চাষী ভাইকে হাসপাতালে দেখতে বেশ কয়েকবার গিয়েছি। তাঁর দুই মেয়ে আন্নি ও মান্নির সঙ্গে আমার খুব ভাল সম্পর্ক। ভাবীও অনেক স্নেহ করতেন আমাকে। তাঁদের বাসায় কত যে খেয়েছি তার হিসাব নেই! বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের সাহিত্য নিয়ে চাষী ভাইয়ের পরিচালনায় ‘বিষবৃক্ষ’ কাজ করেছি প্রথম। চাষী ভাই প্রতিটি দৃশ্য হাতে-কলমে শিখিয়েছিলেন। তার ‘শাস্তি’তে অভিনয় করে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছি আমি। এই মানুষটির সঙ্গে কাজ করে অনেক কিছু শিখেছি। শাকিব খান : আমি তাঁকে ‘স্যার’ বলে ডাকতাম। আমার প্রথম প্রযোজিত চলচ্চিত্র ‘হিরো দ্য সুপারস্টার’-এর মহরতের সময় তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। আমার অভিভাবকের মতো ছিলেন তিনি। মাঝে একবার তিনি থাইল্যান্ড গিয়েছিলেন। তখন আমার একটা ছবির কাজ চলছিল বামুন্ডায়। কাজ শেষে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু ততক্ষণে তিনি চলে গিয়েছিলেন। তবে আমার এক বন্ধু তাদের ছবি তুলেছিলেন। কালো শার্ট, সাদা প্যান্ট পরে মার্জিত চেহারায় তাঁকে প্রণবন্ত লাগছিল। তখন পর্যন্ত দেখলাম বেশ ভাল আছেন তিনি। মানুষটা সবসময় পরিপাটি থাকতে পছন্দ করতেন। তাঁর পরিচালনায় ‘দেবদাস’ ও ‘শূভা’ চলচ্চিত্রে কাজ করার সুযোগ হয়েছে আমার। তিনি ছিলেন অন্যরকম এক ব্যক্তিত্ব। আর আমার জীবনের অনেক ভাল-মন্দ ভাগাভাগি করতাম তাঁর সঙ্গে। অনেক সহযোগিতা আর অনুপ্রেরণা পেয়েছি তাঁর কাছে। আমি একজন অভিভাবককে হারালাম। রিয়াজ : একটি চলচ্চিত্রের শূটিংয়ে গিয়ে চাষী ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। এরপর তাঁর পরিচালনায় ‘মেঘের পরে মেঘ’ ও ‘শাস্তি’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। বেশ ভাল একজন মানুষ ছিলেন তিনি। বছরদেড়েক আগে একটি বিজ্ঞাপনের সেটে তাঁর সঙ্গে আমার সামনাসামনি কথা হয়। তার সিগারেট খাওয়া নিষেধ ছিল। কিন্তু আমার সঙ্গে অনেক প্রাণখোলা ছিলেন তিনি। সেদিন বলেছিলেন ‘একটা সিগারেট দে’। সবসময় আনন্দের মধ্যে থাকতে পছন্দ করতেন চাষী ভাই। অনেক কিছু মনে পড়ছে আজ। চলচ্চিত্রশিল্প শুধু বড় মাপের একজন পরিচালককেই নয়, ভাল একজন মানুষকেও হারালো। পূর্ণিমা : চাষী স্যারের নির্দেশনায় আমি তিনটি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। ‘মেঘের পরে মেঘ’ , ‘শাস্তি’ ও ‘সুভা’। তিনটি চলচ্চিত্রে কাজ করেই তাঁর সঙ্গে সম্পর্কটা বেশ গভীর হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে আমি তাকে ডার্লিং বলে ডাকতাম আর তিনি আমাকে সুইটহার্ট বলে ডাকতেন। ‘মেঘের পর মেঘ’ চলচ্চিত্রের শূটিংয়ের সময় আমার সাদাকালো একটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি ব্যবহার করা হয়েছিল। মাঝখানে সিঁথি করা সেই ছবিটি তাঁর মানিব্যাগে সবসময় থাকত। তো যখনই দেখা হতো আমি আগে চেক করতাম যে আমার ছবিটি মানিব্যাগে আছে কিনা, আমি সবসময়ই সেই ছবিটি তাঁর মানিব্যাগে পেয়েছি। সত্যি বলতে কী তিনি আমাকে অনেক আদরও করতেন ভালবাসতেন। সম্রাট : আমার সৌভাগ্য যে আমি শেষ পর্যন্ত তাঁর নির্দেশনায় ‘ভুল যদি হয়’ চলচ্চিত্রে কাজ করতে পেরেছি। তিনি আমাকে কথা দিয়েছিলেন যদি নতুন কোন চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন তবে আমাকে নিয়ে তিনি কাজ করবেন। তিনি তাঁর কথা রেখেছিলেন। একজন ভাস্কর কাদা মাটি দিয়ে তাঁর মনেরমতো যেমন অবয়ব তৈরি করে চাষী আঙ্কেল আমাকে সেভাবেই তাঁর চলচ্চিত্রে কাজে লাগিয়েছিলেন। সর্বশেষ তাঁকে দেখতে আমি দু’তিনদিন আগে ল্যাবএইড হসপিটালে গিয়েছিলাম। আমার দিকে হাত ইশারা করে তিনি আমাকে কাছে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন। এটা আমার জন্য অনেক সৌভাগ্যের বিষয়।
×