ফরাসী ব্যঙ্গ পত্রিকা এবং প্যারিসের একটি ইহুদী বিপণি বিতানে আক্রমণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে যে নারীকে হন্য হয়ে খুঁজছে ফরাসী পুলিশ তিনি ঘটনার আগেই ফ্রান্স ছেড়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি এখন সিরিয়ায় বলে ফরাসী ও তুর্কি সূত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। খবর ওয়েবসাইটের
পত্রিকা অফিসে হামলার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বন্দুকধারীদের হত্যার পর ২৬ বছর বয়সী হায়াত বুমেদিনের সন্ধানে তল্লাশি জোরদার করেছে ফরাসী পুলিশ। পুলিশ ধারণা করছে ওই নারী আক্রমণকারীদের একজনের সঙ্গিনী, তাকে ‘সশস্ত্র ও বিপজ্জনক’ বলে পুলিশের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা জানিয়েছে, হায়াত গত সপ্তাহে তুরস্ক হয়ে সিরিয়া চলে গেছেন। তিনি এ মাসের ২ তারিখ ইস্তাম্বুল অতিক্রম করেন বলে তুরস্কের এক সিনিয়র কর্মকর্তা প্যারিসে জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ওই নারীকে খুঁজে পেতে আঙ্কারা ও প্যারিস পরস্পরকে সহযোগিতা করছে।
তিনি আরও বলেন, প্যারিসের কাছ থেকে কোন পূর্ব সতর্কতা না থাকায় হায়াত অনায়াসে ইস্তাম্বুল পার হয়ে যেতে পেরেছে। ব্যঙ্গ সাময়িকী শার্লি হেবদোতে বুধবার আক্রমণের পর তিন দিনের সহিংসতায় নিহত ১৭ জনের জন্য রবিবার প্যারিসে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইউরোপীয় নেতৃবৃন্দের আগমনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
হেবদো আক্রমণের সঙ্গে জড়িত দুই ভাইকে পুলিশ শুক্রবার প্যারিসের একটি বস্ত্র রং করার কারখানায় গুলি করে হত্যা করেছে। তাদের সঙ্গে আরও একজনকে হত্যা করা হয়, যাকে হায়াতের সঙ্গী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে প্যারিসের একটি খাবারের দোকানে চার ব্যক্তিকে জিম্মি করে হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
তুলুজ, নঁতেস ও মার্সাইসহ ফ্রান্সের বিভিন্ন শহরে শনিবার ৭ লাখ লোক সমাবেশ করেছে। সমাবেশ আসা ব্যক্তি মধ্যে একজন ছিলেন মারিও পিন্টো। তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। ঘর থেকে বের হওয়ার পর একজন মানুষ আবার ফিরে আসতে পারবে কিনা সেটি নিয়ে এখন আমাদের ভাবতে হচ্ছে।’