ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আইফোন বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াল চীন

প্রকাশিত: ০৪:৪৪, ১১ জানুয়ারি ২০১৫

আইফোন বিক্রিতে যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াল চীন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বিপুল চাহিদার হাত ধরে চীনের বাজারে এ্যাপলের আইফোন-৬ এবং ৬-প্লাস বিক্রি হলো ‘হটকেকের’ মতো। এই বিক্রি এতটাই বেশি যে, ওই মার্কিন সংস্থার তৈরি ফোন বিক্রিতে এই প্রথম খাস মার্কিন মুল্লুককেই পেছনে ফেলে দিল তারা। এই তথ্য জানিয়েছেন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক ইউবিএস-এর বিশ্লেষক স্টিভেন মিলানোভিচ। মিলানোভিচের দাবি, ২০১৪-র শেষ ৩ মাসে এ্যাপলের সাম্প্রতিকতম ওই দুই আইফোনের ৩৫ শতাংশ বিক্রি করেছে চীন। তাৎপর্যপূর্ণভাবে আমেরিকার ২৪ শতাংশের তুলনায় যা অনেকটাই বেশি। এমনকি তার আগের বছর অর্থাৎ ২০১৩ সালের শেষ তিন মাসেও চীনে আইফোন বিক্রির হার ছিল বেশ কম, ২২ শতাংশ। আর এই পরিসংখ্যানেই তাক লেগেছে সংশ্লিষ্ট মহলের। কারণ আইফোন বিক্রির নিরিখে মার্কিন মুল্লুককে এভাবে টেক্কা দেয়ার ঘটনা এই প্রথম। সবেমাত্র গত ১৭ অক্টোবরই ভারত ও চীনের বাজারে আইফোন-৬ ও ৬-প্লাস স্মার্ট ফোনের বিক্রি শুরু করেছে এ্যাপল। প্রথমটি ৪.৭ ইঞ্চির ও দ্বিতীয়টি ৫.৫ ইঞ্চির। চীনের জিনহুয়া সংবাদ সংস্থা জানাচ্ছে, সে দেশের অন্যতম বৃহত ইন্টারনেট কেনাকাটার সংস্থা জেডি ডট কম-এ সেগুলি প্রথম দিন বিক্রির পরই বাড়তে থাকা উন্মাদনা। এর পর তিন দিনের মধ্যে সেখানে আইফোনের বরাত পৌঁছে যায় ১ কোটিতে। যেখানে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকিং বহুজাতিক ইউবিএস-এর হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের শেষ তিন মাসে এ্যাপল বিক্রি করেছিল মোট ৬ কোটি ৯৩ লক্ষ আইফোন। একটি ত্রৈমাসিকে বিক্রির নিরিখে সেটিও ক্যালিফোর্নিয়ার সংস্থাটির গড়া এক নতুন নজির। চীনে বাজার দখল আরও বাড়ার সম্ভাবনা নিয়ে উৎসাহী এ্যাপল সিইও টিম কুক-ও। যে-কারণে অক্টোবরে সেখানে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা, কখন চীন থেকেই সবচেয়ে বেশি আয় ঢোকে এ্যাপলের ঘরে।’ তিনি সে দেশে এ্যাপলের খুচরো বিপণী ১৫ থেকে বাড়িয়ে কয়েক বছরের মধ্যে ৪০-এ নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন। ফসলের ন্যায্যমূল্য চায় কৃষক অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ফসলের ন্যায্যমূল্য, খাদ্যের নিশ্চয়তা ও কর্মসংস্থানের ধারাবাহিকতায় কৃষিপণ্যের মূল্য কমিশন গঠনসহ ৮ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনসহ আটটি সংগঠন। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানায় সংগঠনগুলো। বক্তারা বলেন, কৃষিতে মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রভাব, জলবায়ুর পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ ও রাষ্ট্রীয় অমনোযোগের কারণে দেশের কৃষি ও কৃষক বহুমাত্রিক সমস্যায় জর্জরিত। কৃষিতে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, বহুজাতিক কোম্পানির বীজ, সার কীটনাশ, যান্ত্রিক সেচ নির্ভরতা কৃষির বিকাশ এবং ফসলের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় কৃষক টিকে থাকতে পারছেন না। কৃষি বাজার ব্যবস্থাপনা ত্রুটিপূর্ণ থাকায় এক শ্রেণীর আড়তদার, ফরিয়া ও মধ্যস্বত্ব ভোগীদের নিকট কৃষক আজ জিম্মি হয়ে পড়েছেন। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি না পেলে দেশের কৃষি খাত ধ্বংস হয়ে যাবে বলেও জানান বক্তারা। সংগঠনগুলোর সমন্বয়কারী জায়েদ ইকবালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি আবুল হোসাইন, ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল সরকার, কৃষক সভার সভাপতি এ এন এম ফয়েজ হোসেন, কৃষাণী সভার সম্পাদিকা আরজুমান আরা বেগম প্রমুখ।
×