ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মান্দায় বণিক সমিতিতে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০৪:৪৯, ১০ জানুয়ারি ২০১৫

মান্দায় বণিক সমিতিতে অনিয়মের অভিযোগ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ৯ জানুয়ারি ॥ নওগাঁর মান্দা উপজেলার জোতবাজার বণিক সমবায় সমিতি ব্যবস্থাপনা কমিটির বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সমবায় নীতিমালা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে চার শতাধিক নতুন সদস্য ভর্তি করানো হয়েছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ না করেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন সম্পন্ন করার পাঁয়তারা করছে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি। ভুলে ভরা ভোটার তালিকার কারণে নির্বাচনে অংশ নেয়ার অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে অনেক সদস্যের। এনিয়ে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে সমিতির সদস্যদের মাঝে। বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে এডহক কমিটির মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। এদিকে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে খোদ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা তোজাম্মেল হক পরিচয় গোপন করে এ সমিতির সদস্য পদ লাভ করেছেন বলেও জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে, সমবায় কর্মকর্তাকে এ কাজে সহায়তা করেছেন বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটি। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, উপজেলার জোতবাজার বণিক সমবায় সমিতির ৩ বছর মেয়াদি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠনের জন্য বুধ ও বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, সমিতির সদস্যদের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে একবারেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে বর্তমান ব্যবস্থপনা কমিটি। এ তালিকায় অনেক সদস্যের নাম পরিচয় ভুল থাকায় তাঁদের নির্বাচনে অংশ নেয়ার অনিশ্চিয়তা দেখা দিয়েছে। সমিতির সদস্যরা বর্তমান কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে এডহক কমিটির মাধ্যমে ভোটার তালিকা প্রকাশ ও স্বচ্ছ নির্বাচনের নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি গতবছর চার শতাধিক নতুন সদস্য ভর্তি করিয়েছেন। সমবায় নীতিমালায় নতুন সদস্য ভর্তির ক্ষেত্রে ২৫ টাকা ভর্তি ফি, শেয়ার ও সঞ্চয়ের টাকা নেয়ার কথা থাকলেও শুধুমাত্র ফরম দিয়ে এসব সদস্যদের নিকট থেকে ১ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নেয়া হয়েছে। অনেকের নিকট থেকে নেয়া হয়েছে আড়াই হাজার টাকা। সমিতির নতুন সদস্য গোয়ালমান্দা গ্রামের মকছেদ আলী ও নুরুল্লাবাদ শাহপাড়া গ্রামের সামসুল হকের নিকট হতে আড়াই হাজার টাকা নিয়েছে সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটি। এ দু’সদস্য অতিরিক্ত টাকা ফেরতের আবেদন করলেও তাঁদের টাকাগুলো এখনও ফেরত দেয়া হয়নি। উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা তোজাম্মেল হক নিজের পরিচয় গোপন করে ওই সমিতির সদস্যপদ লাভ করেছেন বলে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ না করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ সঠিক হয়নি। নতুন সদস্য ভর্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা নেয়া সমবায় নীতিমালা পরিপন্থী বলে জানিয়েছেন তিনি। বণিক সমিতির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মীর গোলাম রাব্বানী নতুন সদস্য ভর্তির ফরম বাবদ ১ হাজারসহ ১৬২৫ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে একবারেই চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ ও নিবন্ধিত এলাকার বাইরে সদস্য ভর্তির অভিযোগটি অস্বীকার করেন তিনি।
×