ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ১০ জানুয়ারি ২০১৫

সরকারকে  পদত্যাগ  করতেই  হবে ॥  রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে চলমান অবরোধ কর্মসূচী চালিয়ে যওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি চলমান অবরোধ কর্মসূচী সফল করতে এবং সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে নেতাকর্মীদের সর্বশক্তি নিয়ে রাজপথে থাকার জন্য আহ্বান জানান। বলেন, সরকার অবৈধ বন্দুকধারীদের মতো দেশ শাসন করছে। কোনো বেআইনি সরকার এভাবে দেশ পরিচালনার অধিকার রাখে না। সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। শুক্রবার সকালে বনানী থানা বিএনপির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। জানা গেছে তিনি দুএকটি টিভি মিডিয়া নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে মুহূর্তের মধ্যেই আবার অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচী ন্যায়ের জন্য। জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, স্বাধীন মত প্রতিষ্ঠার জন্য। অবৈধ সরকার পতনের মধ্য দিয়েই দেশে গণতন্ত্র মুক্তি পাবে। ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা পাবে। তিনি চলমান অবরোধ কর্মসূচী চালিয়ে যাওয়ার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার অবৈধ বন্দুকধারীদের মতো দেশ শাসন করছে। কোন বেআইনি সরকার এভাবে দেশ পরিচালনার অধিকার রাখে না। স্পষ্ট ভাষায় বলে দিতে চাই, সরকারকে পদত্যাগ করতেই হবে। এটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত করতে সরকারের এমন কোন ষড়যন্ত্র নেই যা করছে না। দেশে মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার হিড়িক পড়ে গেছে। ন্যায় ও স্বাধীন মত প্রকাশকে সরকার নিষ্ঠুরভাবে দমন করছে। দমন পীড়নের এই পথ থেকে সরকারকে সরে আসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিশ্ব এজতেমা শুরু হয়েছে। অবরোধও চলছে। সরকারের পতনের মধ্যদিয়েই ধর্মীয় মূল্যবোধ ও গণতন্ত্র রক্ষা পাবে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরীকে গ্রেফতারের নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তার মুক্তি দাবি করেন। সপ্তম দিনের মতো গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়া ॥ এদিকে টানা সপ্তমদিনের মতো গুলশান কার্যালয়ে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় নিয়মিত বৈঠকের অংশ হিসেবে তিনি গুলশান কার্যালয়ে আসেন। কার্যালয় থেকে বের হওয়ার আগেই সেখানে পুলিশী নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য বলা হয়েছে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার জন্যই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তাকে অবরোধ করে রাখা হয়নি। তিনি যেখানে ইচ্ছা যেতে পারেন। অবশ্য বিএনপির নেতাকর্মীরা অভিযোগ করছেন বেগম জিয়াকে তাঁর কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এদিকে তাঁর কর্যালয়ের সামনে আগের মতোই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি রয়েছে। কার্যালয়ে ঢোকার ক্ষেত্রেও আগের মতোই কিছুটা কড়াকড়ি রয়েছে। পুলিশী প্রহরা আগের মতোই রয়েছে। কার্যালয়ের এক পাশে একটি জলকামান, আরেক পাশে দুটি প্রিজন ভ্যান আড়াআড়ি করে রাখা। ফটকের দুই পাশে ও কার্যালয়ের সামনে ৮৬ নম্বর সড়কের দুই মুখে পুরুষ পুলিশ সদস্যদের রাস্তা আটকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তিনি বাইরে থেকে আনা খাবার গ্রহণ করছেন। আত্মীয় স্বজনরা তাঁর জন্য খাবার রান্না করে আনছেন।
×