ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:১১, ১০ জানুয়ারি ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

পরাধীনতা হতে স্বাধীনতা। স্বাধীন দেশের জাতির পিতা সোনার মানুষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ঘোষণা প্রদান করেন। ইয়াহিয়া ও ভুট্টোর প্রাণে আগুন জ্বলে যায়; বাঙালী রাজাকার, আলবদর ও পাকিপ্রিয় দোসরদের হিংসার আগুনে জ্বলতে থাকে। তৎকালীন শাসকরা সকল আইনকানুন, রীতিনীতি ভঙ্গ করে বঙ্গবন্ধুকে আটক করে পাকিস্তানে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর পরাধীনতার হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে আমজনতা পাকিসেনা ও তাদের দোসরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধের প্রয়োজনীয় নিদের্শ ও পরামর্শ দিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত নেত্রী ইন্দিরা গান্ধী বাঙালির স্বাধীনতাকে সমর্থন করে যুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে যাবতীয় সহযোগিতা দান করেন। সর্বস্তরের বাঙালী স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। রাজাকার, আলবদর ও তাদের দোসররা পাকিদের সহযোগিতায় নিরীহ বাঙালী হত্যায় মেতে ওঠে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ৩০ লাখ প্রাণের বিনিময়ে আসে স্বাধীনতা। ১৯৭২ সালে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরেন। যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করার চেষ্টা চালিয়ে যান। ১৯৭২ সালের সেপ্টেম্বরে বঙ্গবন্ধু আমার মতো ক্ষুদ্র ব্যক্তির লেখা একটি চিঠির জবাব দেন। কতবড় মহৎ মানুষ হলে তা করা সম্ভব সেটা এখন মর্মে মর্মে অনুধাবন করি। আজও আমি চিঠিটি সযতেœ রেখেছি। তরুণ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে জাতির পিতার চিঠি হাতে পেয়ে কেঁদেছি খুশিতে। আজ বঙ্গবন্ধু নেই। দেশীয় কিছু ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে নিহত হয়েছেন; কিন্তু তিনি বাঙালীর হৃদয়ে থেকে যাবেন চিরকাল। মেছের আলী শ্রীনগর। বন্ধ কেন ঢাকা মহানগরীরর ২০ নম্বর ওয়ার্ড-মহাখালী, টিবি গেইট অতি গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকা। এই এলাকায় একত্রে ৪টি সরকারি হাসপাতাল (ক্যান্সার, কুষ্ঠ, বক্ষব্যাধি ও অ্যাজমা) ছাড়াও নির্মীয়মান ২০ তলা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রধান অফিসহ বহু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা রয়েছে। মহাখালীর বীর উত্তম খন্দকার সড়কের ৩ কিলোমিটারের মধ্যে কোথাও নেই কোনো পাবলিক টয়লেট। দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চল থেকে আগত প্রতিদিন শত শত বিকিৎসাপ্রার্থী ও পথচারীদের জন্য কোনো গনসৌচাগার নেই। ডিসিসির তথ্য মতে, ঢাকা মহানগরীতে দেড় কোটি লোকের জন্য রয়েছে মাত্র ৪৭টি সচল টয়লেট, যার দশা খুবই করুণ। অর্থাৎ প্রতি সোয়া তিন লাখ মানুষের জন্য একটি পাবলিক টয়লেট। তাই পরম আক্ষেপের বিষয়, ওয়াসা নির্মিত ঢাকার একমাত্র মহাখালী টিবি গেইট অচল স্টিল পানির ট্যাংকির নিচে একতলা পাবিল টয়লেটটি নির্মাণের বহুকাল পার হলেও এখনও পযর্ন্ত তালাবন্ধ করে রাখা হয়েছে। এদিকে রঙ পালস্তারা খসে পড়ছে। প্রাবেশপথের গ্রিলের দরজা লোপাট হয়েছে বহু আগেই। ভগ্ন কাঠের দরজাগুলো টিকে আছে কোনো রকমে। পরিশেষে, পাবলিক টয়লেটটি যথাশীঘ্র সম্ভব খুলে দেবার ব্যবস্থা করতে অসুবিধা কোথায়। শরফুল আলম শাহীন মহাখালী, ঢাকা নতুন পে-স্কেল কয়েকদিন মাত্র হলো সরকারী চাকরিজীবীদের নতুন পে-স্কেল ঘোষিত হয়েছে। সরকারী চাকরিজীবীদের বহুদিনের আক্ষেপ, যে আক্ষেপের ছটফটানিতে তাদের ঘুম আসত না। না সেটার পরিসমাপ্তি ঘটল এই পে-স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে। আসলেই কি এই পে-স্কেল ঘোষণার মাধ্যমে সেই আক্ষেপ ঘুচবে? নাকি অর্থনীতিতে দেখা দেবে এক নতুন সঙ্কট? আবার এই বাসা মালিকের বেশির ভাগেরই নিজস্ব ব্যবসা আছে। সে দেখবে যে দোকানঘরটিকে কেন্দ্র করে তার ব্যবসাÑ সেই দোকানঘরের ভাড়া বেড়ে যাচ্ছে। আবার যাদের নিজস্ব কারখানা আছে তারা দেখবে তাদের ব্যবসায়Ñ যে উৎপাদনের উপকরণ সেগুলোর দাম বেড়ে যাচ্ছে কয়েকগুণ। এর প্রভাব স্বভাবতই গিয়ে পড়বে প্রতিটি পণ্যের উপর। কিন্তু এই পণ্যগুলো তো শুধু আমাদের ১৩ লাখ সরকারী কর্মকর্তাই ভোগ করছে না। এটা ভোগ করছে এদেশের ১৬ কোটি মানুষ। কিন্তু ১৬ কোটি মানুষের বেতন তো বাড়েনি। বেতন বাড়ানো হলো স্পেসিফিক একটা শ্রেণীর। মানুষগুলোর কথাটা ভাবা খুবই ইমপেক্ট যে কৃষক মাঠে কাজ করে, যে শ্রমিক কলকারখানায় কাজ করে দিনরাত আর বিনিময়ে তার হাতে আসে মাত্র ৫ খানা এক হাজার টাকার নোট। সেই ৫ খানা নোটকে ৬ খানায় উন্নীত করতে যাকে রাজপথে মিছিল দিতে হয় আকাশ ফাটিয়ে, জীবনকে পকেটে পুরে পুলিশের ব্যারিকেট ভাঙতে হয়, তাও সেটা ৫ খানা এক হাজার টাকার নোটই রয়ে যায়। আমাদের সরকার পে-স্কেল ঘোষণা করল, কিন্তু এই লাখ লাখ কোটি কোটি কৃষক-শ্রমিককে এড়িয়ে গেল বেশ সচেতনভাবে। এদের জন্য আমাদের সরকারের হৃদয় ব্যথিত তো হয়ই না, বিন্দুমাত্র কম্পিতও হয় না। সৌরভ দাস বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ। নিরাপত্তা নেই যেখানে ঢাকার মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় বেড়াতে গিয়ে যখন তখন ছিতনাইকরীর কবলে পড়তে হয়। কেউ বা ছিনতাইকারীর ছুরির আঘাতে গুরুতর আহত হচ্ছেন। এদিকে আরেক শ্রেণির প্রতারকচক্র বেড়িবাঁধ এলাকা ঘুরে বেড়ায়। এদত উদ্দেশ্যই সুযোগ বুঝে প্রেমিক-প্রেমিকার ছবি তোলা। ছবি তুলেই বলে ‘তোমরা অবৈধ কাজ করেছ। যা কিছু আছে দাও, নাহলে পুলিশ বা সাংবাদিক ডাকব। দেখবে কালকে তোমাদের ছবি ছাপা হয়ে গেছে পত্রিকায়। টিভি চ্যানেলে তোমাদের ছবি প্রচার হবে। তখন টের পাবে তোমাদের বাবা মা সবকিছু জেনে গেছে। এই যে দেখো ক্যামেরায় সব কিছু বন্দি আছে। ‘কী আর করা প্রেমিক-প্রেমিকারা ভয়ে টাকা-পয়সা, গয়না, মবোইল-টোবাইল দিয়ে কোনোভাবে চলে আসে। মিরপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় ছিনতাইকারী ও প্রতারকদের রাজত্ব চলছে-এটা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কি জানেন না? ইহা জানলে চটজলদি ওখানে নিরাপত্তা কর্মীদের টহলের ব্যবস্থা নিন সকাল. দুপুর, বিকেল, সন্ধ্যা ও রাতে। লিয়াকত হোসেন খোকন রুপনগর, ঢাকা। বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে পাগলে কিনা বলে ছাগলে কিনা খায়। হাতি ঘোড়া গেল তল মশা বলে কত জল। অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী। চামচিকারে কে বানাইছে মাতবর। এমনি আরও অসংখ্য প্রবাদ বচন গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শহরের ড্রইংরুমে আড্ডায় ঘুরে ফিরে কারো সফলতা ব্যর্থতা বা নীতিবাচক কর্মকা-ে এই সকল প্রবাদ বচনগুলো নানাভাবে ব্যবহার করে বিভিন্ন পেশার মানুষেরা। যা অবস্থান বেঁধে একেকজনের প্রতি একেক রকমভাবে ব্যবহার হয়। আজ বাংলাদেশের রাজনীতির মাঠে এক অর্বাচীন উম্মাদ ব্যক্তির বেলায় উপরে উল্লিখিত প্রবাদ বচনের পাশাপাশি আরও হাজারো নীতিবাচক প্রবাদ বচন বর্ষণ করলেও এই বাংলার জনগণের শহীদদের আত্মা সম্ভ্রম হারা নারীদের সন্তান হারা বাবা-মার আর্তনাদ পাখির কলরব কৃষকের হাসি সাগরের গর্জন থামবে না শান্তি পাবে না। বাংলার এই পবিত্র মাটিতে যুগে যুগে বার বার বেঈমান মীর জাফরদের জন্ম হয়েছে। তাদের কারণে এই শান্তিপ্রিয় জাতি দুর্যোগ আর দুর্ভোগে পরেছে শান্ত বাংলা অশান্ত হয়েছে। তবুও বাঙালী জাতীয়তাবাদ এবং দেশ প্রেমে ফাটল ধরাতে পারেনি। কিন্তু আজকে দেশের রাজনীতিতে এক কুলাঙ্গারের আবির্ভাব ঘটেছে। ইদানীং সেই নরাদম নরপিশাচ নর্দমার কীট সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী বাংলাদেশের স্থপতি বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অসম্মানের অশ্রদ্ধা করে কটূক্তি করছে পাগলের প্রলাপ বকছে। পাশাপাশি স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করে পরাজিত শক্তিকে উৎসাহিত করছে। যুদ্ধাপরাধী মানবতাবিরোধীদের বিচার বানচাল করতে সুদূর লন্ডনে বসে অবধ্যভাবে উপার্জিত টাকা অঢের খরচ করছে। কিন্তু বাংলার স্বাধীনতাপ্রিয় দেশ প্রেমিক জনগণ তা মানবে কেন?। তাই সারাদেশের মানুষ ধিক্কার জানিয়েছে ঘৃণা করেছে। আর আশা করছে আর সব বেঈমান মীরজাফরদের মতো এই নরপিশাচেরও একই পরিণতি হবে। বাংলাদেশ কলঙ্কমুক্ত হবে। মোঃ ওসমান গনী কেরানীগঞ্জ, ঢাকা। প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা ঢাকা শহরের মালিবাগ মোড় সংলগ্ন কয়েকস্থানে প্রকাশ্যে মাদক ব্যবসা চলছে। চামেলীবাগের সিআইডি অফিস সংলগ্ন গলি, পোস্ট অফিস গলি। পোস্ট কম্পাউন্ডে বসে মাদক কেনাবেচা ও সেবন করতে দেখা যায়। মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীরা শক্তিশালী। তাই তাদের প্রতিরোধে কেউ এগিয়ে আসছে না। এ ব্যপারে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর হওয়া সংগত। মুসলে উদ্দিন সিদ্ধেশ্বরী, ঢাকা। বিদ্যুত চাই ফরিদপুর জেলার সালথা উপজেলাধীন ৩ নম্বর গট্রি ্উনিয়নের (১ নম্বর ওয়ার্ড) দোহারগট্রি গ্রামটি জনবহুল। ফরিদপুর সদর উপজেলার সঙ্গে সড়কপথে গ্রামটির সরাসরি রাস্তা রয়েছে। গ্রামের চারপাশে রয়েছে কৃষিজমি। এসব জমিতে দুটি গভীর নলকুপ স্থাপন করলে প্রতি মৌসুমে অতিরিক্ত কৃষিপণ্য উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বিদ্যুত না থাকায় শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার শিক্ষা থেকে পিছিয়ে পড়ছে। ব্যাহত হচ্ছে গ্রামের উন্নয়ন। কর্মকোলাহলপূর্ণ গ্রামটি সন্ধ্যার পর ভুতুড়ে পল্লিতে পরিণত হয়। অথচ মাত্র সোয়া কিলোমিটার দূরবর্তী বালিয়াগট্রি গ্রামে বিদ্যুত রয়েছে। সুতরাং দোহারগট্রি গামে সরবরাহ করতে তেমন অসুবিধা হবার কথা নয়। এ অবস্থায় সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে গ্রামটিতে সত্বর বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপকেষর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আবুল বাসার সালথা, ফরিদপুর। আবারও ট্রেন দুর্ঘটনা কোনভাবেই থামছে না প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা। মাঝে মধ্যেই রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংবাদ আসছে বিভিন্ন মাধ্যমে। একটি দেশের জন্য এই পরিস্থিতি কোনভাবেই প্রত্যাশিত হতে পারে না। আমরা বিভিন্ন সময় লক্ষ্য করছি দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে রেলক্রসিং, লেভেল ক্রসিংসহ নানাবিধ সমস্যা ও উদাসীনতা এক ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করে। কিন্তু এ ব্যাপারে কর্তৃপক্ষের যথাযথ উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায় না। ফলে প্রতিনিয়তই ঘটে চলছে একের পর এক দুর্ঘটনা আর মরছে মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছেÑ এই অবস্থার শেষ কোথায়। এভাবে আর কতকাল বেপরোয়া চালকদের অপরিপক্ক হাতে প্রাণ হারাবে দেশের জনগণ। রাজধানী ও এর আশপাশে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক রেলক্রসিং রয়েছে। এর অধিকাংশই অরক্ষিত। কোন কোন ক্রসিংয়ে গেটম্যানতো দূরের কথা গেটই নেই। এ রকম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যেই প্রতিনিয়ত হাজার হাজার রিকশা, গাড়িসহ নানা ধরনের যানবাহন ক্রসিং পার হচ্ছে। অথচ সামান্য অসতর্কতায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। সর্বোপরি বলতে চাই, এ রকম মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হোক। দেশ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও দুর্ঘটনায় মৃত্যু একটি ভয়াবহ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারলেই এই চিত্র বদলাবে। সাধারণ জনগণ প্রত্যাশা করেন যে, রেল কর্তৃপক্ষ, সার্বিক ব্যবস্থাপনার দুর্বল ও নাজুক অবস্থাকে উন্নত করতে দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। একইভাবে রেল দুর্ঘটনা রোধে নিশ্চিত করতে হবে দক্ষ চালকসহ রেল বিভাগের সর্বস্তরে যোগ্য এবং প্রশিক্ষিত জনবল। নজরুল ইসলাম লিখন ষরশযড়হধষরভব@মসধরষ.পড়স আইলার ক্ষত এখনো দগদগে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামগনর উপজেলার সর্বাধিক দূর্যোগপ্রবণ একটি ইউনিয়ন গাবুরা। সুন্দরবন সংলগ্ন এই গাবুরা ইউনিয়নটির চারদিকে বৃহৎনদী খোলপেটুয়া ও কপোতাক্ষ প্রবাহিত হওয়ায় একটি দ্বীপ সদৃশ্য এই ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ৪২ হাজার লোকের বসবাস। ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলার ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসের ক্ষত এখনো ইউনিয়নটি থেকে মুছে যায়নি। গাবুরার চারদিকে ১৫ নম্বর পোল্ডারের বাঁধটির প্রায় ১৪টি স্থান ভেঙে তীব্র লবণাক্ত পানি ইউনিয়নে প্রবেশ করে এখানকার বাড়িঘর, গাছপালা, রাস্তাঘাট, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ভেঙে তছনছ হয়ে যায়। আইলার পর প্রায় দুই বছর এখানকার শত শত পরিবারকে বাঁধের ওপর খুপড়ি বেঁধে, আশ্রয়কেন্দ্রে কিংবা অন্যাত্র নিরাপদ স্থানে দিন কাটাতে হয়ছিল। আইলার লবণাক্ত পানি দীর্ঘদিন অবস্থান করায় সেখানকার পানি ও মাটিতে আজও সেই লবণাক্ততার প্রভাব বিদ্যমান ফলে এখানে তেমন কোনো ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছেনা। গাছপালা জন্মানো যাচ্ছো না, গবাদিপশু পালন সম্ভব হচ্ছোনা, মাছ ও চিংড়ির উৎপাদন সম্ভব হচ্ছো না। গাছপালা জন্মানো যাচ্ছে না। ফলে এখানকার বাঁধটি আরো উঁচু ও মজবুত করে নির্মাণ করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে আইলার মতো জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা পায় ্ইউনিয়নবাসী। তাদের জন্য আরও আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা উচিত। নৃপেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী রাজৈর, মাদারীপুর। অমানবিক আচরণ মানুষে মানুষে শত্রুতা হয়। হয় মারামারি, হানাহানি, খুনোখুনি। এগুলো এখন গা সওয়া ব্যাপার। কিন্তু বৃক্ষ, মাছ, পশুপাখি এ সবের সঙ্গে মানুষের শত্রুতা হতে পারে? হওয়া উচিত নয়? সবকিছু এখন উল্টোপথে হাঁটছে। মানুষের এখন বড় শক্রু বৃক্ষ, পশুপাখি, এমনকি পানির মাছ। সম্প্রতি মন্সিগঞ্জে শ্রীনগরে আড়িযাল বিলে দুটি পুকুরে বিষপ্রয়োগ করে প্রায় পনেরো লাখ টাকার মাছ হত্যা করা হয়েছে। প্রশ্ন হলো-মাছগুলোর অপরাধ কী? খুনখারাবি, রাহাজানি, জমি দখল, টেন্ডারবাজি এ জাতীয় কোনো অপরাধ তো তারা করেনি। যতদূর জানা যায়, শত্রুতার বশে এই হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে। এটা নতুন নয়। প্রায়ই খবর প্রকাশিত হয়-বৃক্ষ নিধন, জমির ফসল নষ্ট, পুকুরে বিষ প্রয়োগ ইত্যাদি। কিন্তু কেন? এই পশুত্বের শেষ কোথায়? এরা তো মানুষ নয় পশু। এইসব অপরাধী পশুর বিচার চাই। মানুষ হত্যাকারীদের যদি বিচার হতে পারে- তাহলে অন্যায়ভাবে বৃক্ষ, পশুপখি, মাছ হত্যাকারীদেরও বিচার হওয়া উচিত। শফিকুর রহমান বানারীপাড়া বিরিশা।
×