ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুবহান ও জব্বারের মামলার রায় শীঘ্রই

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ৯ জানুয়ারি ২০১৫

সুবহান ও জব্বারের মামলার রায় শীঘ্রই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত বর্তমানে দুই আসামির মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ (সিএভি) রয়েছে। এরা হলেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুস সুবহান ও জাতীয় পাটির পলাতক আব্দুল জব্বার। প্রসিকিউশন পক্ষ আশা করছে শীঘ্রই সুবহান-জব্বারের মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে। ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শেষ হয়েছে। এখন সিএভিকৃত জামায়াতের নায়েবে আমির সুবহানের মামলার রায় ঘোষণার পর ট্রাইব্যুনালে শীর্ষ পর্যায়ের কোন আসামি থাকছে না। যাদের মামলা ট্রাইব্যুনালে আসছে তাঁরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের যুদ্ধাপরাধী। চলতি মাসে আইসিটি এ্যাক্টের সংশোধনী হলে জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে মামলা হতে পারে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ খবর জানা গেছে। প্রসিকিউটর সুলতান মাহমুদ সিমন জনকণ্ঠকে বলেছেন, আমি আশা করি জামায়াতে ইসলামী নেতা আব্দুস সুবহানের মামলার রায় তাড়াতাড়িই ঘোষণা করা হতে পারে। মামলাটি রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ। অন্যদিকে প্রসিকিউটর জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, আসামি আব্দুল জব্বারের মামলাটি রায় শীঘ্র ঘোষণা করা হতে পারে। এ মামলা রয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ। বর্তমানে দুটি ট্রাইব্যুনালে সাতটি মামলার বিচার কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবদুস সুবহান ও জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ আব্দুল জব্বারের মামলা রায় ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে। ২০১৪ সালের ৩ ডিসেম্বর আবদুল জব্বারের মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণার জন্য সিএভি রাখা হয়। অন্যদিকে একই বছরের ৪ ডিসেম্বর সুবহানের মামলাটি বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণার জন্য সিএভি রাখা হয়। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আব্দুস সুবহানকে ২০১২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকালে গ্রেফতার করা হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর প্রসিকিউশন পক্ষ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আব্দুস সুবহানকে আটক দেখানোর আদেশ চান আদালতের কাছে। ২৬ সেপ্টেম্বর পাবনা কারাগার থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয় সুবহানকে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। ৩০ সেপ্টেম্বর প্রসিকিউশনের আবেদন আমলে নিয়ে সুবহানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল। ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে সুবহানের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর তদন্ত কাজ সম্পন্ন করে তদন্ত সংস্থা। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির সাবেক সাংসদ আব্দুল জব্বারের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয় ২০১৩ সালের ১৯ মে। তদন্ত শেষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল। প্রসিকিউশন পক্ষ অভিযোগ দাখিল করেন ঐ বছরের ৪ মে। ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেন ২০১৪ সালের ১১ মে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ গত বছরের ৬ জুলাই আসামি আব্দুল জব্বারের অনুপস্থিতিতেই বিচার কাজ শুরু করার আদেশ দেয়।
×