ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

র‌্যাবকে হাইটেক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে ॥ বেনজীর

প্রকাশিত: ০৬:০৫, ৮ জানুয়ারি ২০১৫

র‌্যাবকে হাইটেক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হবে ॥ বেনজীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ র‌্যাবের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি এ ফোর্সকে তথ্য প্রযুক্তিসমৃদ্ধ হাইটেক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেছেন নবনিযুক্ত মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। বুধবার দুপুরে র‌্যাব সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বেনজীর আহমেদ বলেন, জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস দমন ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র‌্যাবের যে প্রযুক্তি আছে, তার সঙ্গে আরও আধুনিক প্রযুক্তি যোগ করা হবে। সত্যিকার অর্থেই একটি শক্তিশালী বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে রিভিউ করাসহ সব ধরনের পরিবর্তন করা হবে, যাতে র‌্যাব উপমহাদেশের মধ্যে একটি শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত হয়। জঙ্গী, সন্ত্রাস ও সংঘটিত অপরাধ প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে কাজ করাই আমার প্রধান লক্ষ্য হবে। র‌্যাব সাধারণ ‘জনগণের ফোর্স’ উল্লেখ বেনজীর আহমেদ বলেন, সাধারণ মানুষের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার সঙ্গে আস্থা অর্জন করে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে র‌্যাব কাজ করছে। র‌্যাবকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কিছু রাজনীতিবিদ আছেন, যারা সবকিছুই রাজনৈতিকভাবে চিন্তা করেন। তাদের কথায় কান না দিয়ে র‌্যাব নিজের কাজটা করে যাবে। নারায়ণগঞ্জের ঘটনার পর বর্তমানে ভাবমূর্তি সঙ্কটে রয়েছে র‌্যাব, সেটা কিভাবে উদ্ধার করা সম্ভব জনকণ্ঠের এমন এক প্রশ্নের জবাবে বেনজীর বলেন, আমরা এ জাতীয় ঘটনা কিছুতেই আর বরদাশত করব না। র‌্যাবের কোন সদস্য যদি এমন কিছু করে, তাকে কিছুতেই ছাড় দেয়া হবে না। আমি এমন নিশ্চয়তা দিতে পারি, কঠোর শাস্তি পেতে হবে তাদের। র‌্যাবের কোন সদস্য যদি কোন অপরাধ করেন, তার দায়দায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে, দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান, মিডিয়া এ্যান্ড লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। সেফার এ্যান্ড বেটার রাজধানী করতে চান পুলিশ কশিনার ॥ এদিকে সেফার এ্যান্ড বেটার রাজধানী গড়ার অঙ্গীকার করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নবনিযুক্ত পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। বুধবার বেলা ১২ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি দৃঢ়কণ্ঠেই উচ্চারণ করেন, আমরা জনগণের নিরাপত্তা দিতে বাধ্য। আমরা সমভাবে আইন প্রয়োগের চেষ্টা ও জনগণের নিরাপত্তা দিতে যা যা প্রয়োজন, তাই করব। কেননা, পুলিশ প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। পুলিশের কর্তব্য ও পরিধি আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। তবে আমরা সব সময় পেশাদারিত্বের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করব। জনগণের নিরাপত্তায় যা যা প্রয়োজন, তাই করব। যারা লুণ্ঠন, গাছকাটার মতো নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধের আদেশ জারির পরেও সরকারদলীয় কয়েকটি সংগঠন প্রকাশ্যে সমাবেশ করছে কীভাবে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি সদ্য যোগদান করেছি। আমার কাছে অতীতের ব্যাখ্যা নেই। তবে সবাইকেই আইনের মধ্যে থেকে কাজ করতে হবে। রাজধানীকে ‘বেটার’ এবং ‘সেফার’ সিটি হিসেবে গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে রাজধানীতে বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। আর বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন, পুলিশ তাই-ই করবে। গত বছরের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনপূর্ব রাজনৈতিক সহিংসতায় পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে আগামীতেও আইনের মধ্যে থেকে পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের কথা বলেন আছাদুজ্জামান মিয়া। এ সময় তিনি দায়িত্ব পালনে জনগণের সহায়তা কামনা করেন। তিনি পুলিশের হাইওয়ে রেঞ্জের মহাপরিদর্শকের পদ থেকে বুধবার ডিএমপি কমিশনার হিসেবে যোগদান করেন।
×