ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আইসিবি ইসলামিক ফান্ড বে-মেয়াদীতে রূপান্তর

প্রকাশিত: ০৪:৪১, ৮ জানুয়ারি ২০১৫

আইসিবি ইসলামিক ফান্ড বে-মেয়াদীতে রূপান্তর

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত মেয়াদী আইসিবিএএমসিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ডকে বে-মেয়াদীতে রূপান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার ফান্ডটির ইউনিট হোল্ডারদের সম্মতিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। শহীদ নজরুল ইসলাম সরণী, বিজয়নগরে অনুষ্ঠিত জরুরী সাধারণ সভায় সভাপতিত্ব করেন ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফায়েকুজ্জামান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মজিব উদ্দিন আহমেদ। এছাড়াও ট্রাস্টি কমিটির সদস্য ও ইউনিট হোল্ডারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আইসিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মজিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আইসিবির ওপর আস্থা রাখার জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে আপনাদের সহযোগিতা চাই, যেন আগামীতে এ দায়িত্ব আইসিবি সুন্দরভাবে পালন করতে পারে। প্রসঙ্গত, আইসিবিএএমসিএল ইসলামিক বে-মেয়াদি মিউচুয়াল ফান্ডের গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হয়। আর ২৯ ডিসেম্বর থেকে ফান্ডটি পুঁজিবাজার থেকে তালিকাচ্যুত হয়। সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন মিউচুয়াল ফান্ড বিধি ২০০১ অনুযায়ী ফান্ডটি তালিকাচ্যুত করতে তিন-চতুর্থাংশ ইউনিটহোল্ডারদের সম্মতি প্রয়োজন হয়। এ কারণে ইজিএমের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফান্ডের সম্পদ ব্যবস্থাপক আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি। ইজিএমে ফান্ডের ইউনিটহোল্ডারদের সম্মতিতে মেয়াদি ফান্ড থেকে বে- মেয়াদী ফান্ডে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত হয়। আইপিওতে কমিশন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্রোকারেজ হাউসের সুবিধার্থে প্রতিটি প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনের ওপর কমিশন ফি পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। বিষয়টি নিয়ে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে আলোচনা করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) শীঘ্রই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এদিকে প্রতিটি আইপিও আবেদনের ওপর ব্রোকারেজ হাউসকে ২০ টাকা করে কমিশন ফি দেয়ার জন্য বিএসইসিকে অনুরোধ জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বিএসইসি সার্বিক দিক বিবেচনা করে তা ১০ টাকা করা যায় কিনা, সে বিষয়ে ডিএসইর মতামত চেয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিটি আইপিও আবেদনের ওপর ব্রোকারেজ হাউসকে আড়াই টাকা করে কমিশন ফি দেয়া হতো। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাজারে লেনদেন কমে যাওয়ায় ব্রোকারেজ হাউসগুলোর আর্থিক অবস্থা খুব নাজুক হয়ে পড়ছে। তাই ব্রোকারেজ হাউসগুলোর আয় বাড়তেই আইপিও আবেদনের ওপর কমিশন ফি পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএসইর উর্ধতন কর্মকর্তা জানান, আমরা প্রতিটি আইপিও আবেদনের ক্ষেত্রে ব্রোকারেজ হাউসের কমিশন ফি বাড়ানোর জন্য বিএসইসিকে অনুরোধ জানিয়েছি। বিএসইসি এখনও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। তবে আমাদের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন ফি ১০ টাকা করা যায় কিনা সে বিষয়ে মতামত চেয়েছে বিএসইসি।
×