ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইঁদুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৫:০২, ৭ জানুয়ারি ২০১৫

ইঁদুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা

হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার বাঁশির সুরের মূর্ছনায় হাজার হাজার ইঁদুর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নদীর বুকে। ইঁদুরের দোর্দ- প্রতাপ আর যন্ত্রণা থেকে শহরবাসীকে রেহাই দিতে হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালাকে বাঁশিতে মরণভেদী সেই সুর তুলতে হয়েছিল। হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার চেয়ে কোন অংশেই যেন কম নয় পাকিস্তানের পেশোয়ারের নাসের আহমেদ। তাঁর কাছে বাঁশি নেই, তিনি সুর তুলে ইঁদুরকে ভুলিয়ে নিয়ে যান না নদীর তীরে। তাঁর আছে নিড়ানী, হাতগাড়ি। তবে হ্যামিলায়নের বাঁশিয়ালার মতো লক্ষ্য একটাই, ইঁদুর নিধন। পাকিস্তানের উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের পেশোয়ার শহরের মানুষকে প্রতিনিয়ত বোমা, গোলাগুলি, অপহরণ আতঙ্কের সঙ্গে সঙ্গে ইঁদুর আতঙ্কেও দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। ইঁদুরের ভীষণ উৎপাতে তাদের জীবন অতিষ্ঠ হওয়ার উপক্রম। ঘরবাড়ি, দোকান পাট, রাস্তাঘাট সর্বত্রই কেবল ইঁদুর। নয় থেকে বারো ইঞ্চি লম্বা একেকটা ইঁদুর। বইপত্তর, কাগজপত্র, কাপড়-চোপড় কেটেই ইঁদুররা সুখ পায় না, এরা মুরগি খেয়ে ফেলে, মানুষকে কামড়িয়ে দেয়। এগুলোর কামড়ে অনেক রোগ ছড়াচ্ছে। এমনকি মানুষকে মৃত্যুর মুখে পড়তে হয়েছে। ইঁদুরের দৌরাত্ম্যে পেশোয়ারবাসীর অতিষ্ঠ জীবনকে রক্ষা করার জন্যই চল্লিশ বছর বয়সী নাসের তার ছোট ছোট তিন মেয়েকে নিয়ে ইঁদুরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। গত আঠারো মাসে সে এক লাখেরও বেশি ইঁদুর মেরেছে। ইঁদুর বিরুদ্ধে কেন নাসের যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তা তাঁর কথাতেই জানা যায়। তিনি বলেন, ‘আমার বন্ধুর স্ত্রীকে ইঁদুর কামড়ে দিলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়। এবং চিকিৎসার জন্য পাঁচ হাজার রুপী খরচ করতে হয়। তখন থেকে আমি ইঁদুর মারার কাজে নিজেকে নিযুক্ত করি।’ নাসের ইঁদুরের বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে ব্যাপক খুশি পেশোয়ারের মানুষ। এ যুদ্ধ নাসের আর তাঁর মেয়েদের জনপ্রিয় করে তুলেছে। দ্য ব্রুনাই টাইমস অবলম্বনে আরিফুর সবুজ
×