ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাস শ্রমিকদের হাতে জিম্মি পর্যটক-দর্শনার্থী

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ৩ জানুয়ারি ২০১৫

বাস শ্রমিকদের হাতে জিম্মি পর্যটক-দর্শনার্থী

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ০২ জানুয়ারি ॥ কুয়াকাটা-কলাপাড়া-পটুয়াখালী-বরিশাল রুটের মিনিবাস মালিক-শ্রমিকদের কাছে কুয়াকাটাগামী পর্যটক-দর্শনার্থীরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এ জিম্মিদশা চলে আসছে। বরিশাল থেকে ছেড়ে যাওয়া যে কোন রুটের বাসে কুয়াকাটাগামী যাত্রীদের তোলা হয়। নামিয়ে দেয়া হয় মাঝপথে। কুয়াকাটায় বাসে যাওয়া এখন চরম ভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন কিংবা মালিক-শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ পর্যটক-দর্শনার্থীকে এমন জিম্মিদশা থেকে উদ্ধারে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে কুয়াকাটায় বেড়াতে আসা পর্যটক-দর্শনার্থীরা চরম নেতিবাচক ধারণা নিয়ে ফিরছেন। তাঁরা হারিয়ে ফেলছেন কুয়াকাটায় যাওয়ার আগ্রহ। সরেজমিন দেখা গেছে, বরিশাল-পটুয়াখালী-ঝালকাঠী-কলাপাড়া-বরগুনার সকল বাসের সামনে স্থায়ীভাবে লেখা রয়েছে বরিশাল-কুয়াকাটা। প্রতি ঘণ্টায় বরিশালের রুপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে কুয়াকাটা, কলাপাড়া, পটুয়াখালীর বাস ছেড়ে যাচ্ছে। একই ভাবে বরগুনা, আমতলী, তালতলী, পটুয়াখালী, বাকেরগঞ্জ, বাউফল, দুমকি, গলাচিপাসহ বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল করছে। কুয়াকাটাগামী যাত্রীদের অন্য রুটে চলাচলকারী শ্রমিকরা প্রতারণা করে কুয়াকাটার কথা বলে তাদের বাসে তোলে। পরবর্তীতে বাউফলগামী বাসের শ্রমিকরা লেবুখালী ফেরিঘাটে নামিয়ে দেয়। একই ভাবে পটুয়াখালীর বাস শ্রমিকরা কুয়াকাটার যাত্রীদের পটুয়াখালী বাসস্ট্যান্ডে, বরগুনাগামী বাস শ্রমিকরা আমতলী শহরে নামিয়ে দেয়। ফলে এসব যাত্রী ফের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করে কুয়াকাটাগামী সঠিক বাসটি পেলেও দ্বিতীয় দফায় টিকেট কেটে সিট পান না। দাঁড়িয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ শেষে কলাপাড়া কিংবা কুয়াকাটায় পৌঁছতে হয়। বহু নারী পর্যটক পথিমধ্যে এমন প্রতারণার শিকার হয়ে ফেরত যেতে বাধ্য হয়েছেন। নিয়ম রয়েছে- যখন যে রুটে বাস চলাচল করবে তখন ঠিক ওই বাসের সামনে ওই রুটের নাম লেখা স্টিকার থাকবে। যেমন বরিশাল-কুয়াকাটা, বরিশাল-পটুয়াখালী, বরিশাল-বরগুনা, বরিশাল-বাউফল, বরিশাল-গলাচিপা, বরিশাল-মির্জাগঞ্জ। কিন্তু সব রুটের বাসের সামনে স্থায়ীভাবে লেখা রয়েছে বরিশাল-কুয়াকাটা। ফলে যাত্রীরা প্রতারণার ফাঁদে পড়ছেন। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা দুলু জানান, এটি শ্রমিকদের একটি ব্যবসায়িক টেকনিক। এটি থাকা উচিত নয়। যখন যে রুটে চলাচল করবে, সেই রুটের স্টিকার লাগানো প্রয়োজন।
×