ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় ফুটবল দলের পাশাপাশি ‘বি দল’

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ৩ জানুয়ারি ২০১৫

জাতীয় ফুটবল দলের পাশাপাশি ‘বি দল’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘প্র্যাকটিস ম্যাকস এ ম্যান অর টিম পারফেক্ট।’ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আগে পাঁচ-সাত বছরেও কোন আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলত না। অথচ বিদায়ী বছরে জাতীয় ও যুব দল খেলেছে মোট ১০টি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ। শুধু তাই নয়, ক্লাব পর্যায়েও শেখ জামাল ধানম-ি, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও আবাহনী লিমিটেড খেলেছে আন্তর্জাতিক কিছু ম্যাচ। এতে আখেরে লাভ হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলেরই। এছাড়া ভবিষ্যতের খেলোয়াড় সৃষ্টির জন্য অনেক দেরিতে হলেও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন সিলেটে চালু করেছে বাফুফে ফুটবল একাডেমির কার্যক্রম। তবে বর্তমানের একটা সমস্যা কিন্তু রয়েই গেছে। কী সেটা? এখন মানসম্পন্ন ফুটবলারের সংখ্যা কম। ঘুরে-ফিরে দেখা যাচ্ছে সেই একই ফুটবলাররা খেলে যাচ্ছেন বছরের পর বছর ধরে। জাতীয় দলবা অনুর্ধ-২৩ দল গঠন করা হলে দেখা যায় প্রায় একই ফুটবলার! মোট কথা, জাতীয় দলের কোন বিকল্প দলই আজ পর্যন্ত তৈরি হয়নি। তবে হবে। কিভাবে? কে করবেন এই দল। অমিত খান শুভ্র। এক সময় জাতীয় দলে খেলেছেন। অনেক প্লেয়ার আছেন, যারা জাতীয় দলে খেলার যোগ্য, কিন্তু বিভিন্ন কারণে সুযোগ পাচ্ছেন না। আবার অনেকেই আছেন জাতীয় দলে খেলে পরে চোট-ফর্মের কারণে বাদ পড়ে আর ফিরে আসতে পারেননি। জাতীয় দলে ঢোকার জন্য যেন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, সে লক্ষ্যে একটি বিকল্প দল গঠনের পরিকল্পনা করেছেন অমিত। তাঁর দীর্ঘদিনের এই পরিকল্পনা এখন বাস্তবে রূপ নেয়ার পথে। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ‘বি’ টিম গড়া হচ্ছে খুব শীঘ্রই। দলের টিম হিসেবে থাকবেন বিজেএমসির অধিনায়ক-ডিফেন্ডার অমিত খান শুভ্র। এ বিষয়ে শুভ্র বলেন, ‘আমি বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিনের কাছে জাতীয় দলের ‘বি’ টিম গড়ার জন্য অনুমতি চেয়েছিলাম। তিনি আমাকে অনুমতি দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে বেশকিছু খেলোয়াড়কে দলের জন্য ঠিকও করে রেখেছি। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই দলটি গড়া হবে।’ অমিত আরও জানান, শনিবারই বাফুফে চিঠি দেবে বিকেএসপিতে অনুশীলনরত জাতীয় ফুটবল দলকে ‘বি’ দলের সঙ্গে ২টি প্রীতি অনুশীলন ম্যাচ খেলার জন্য। ম্যাচের দিনক্ষণ ঠিক না হলেও দুটো ম্যাচই যে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে হবে, তা নিশ্চিত করেছেন অমিত। ‘বি’ দলের ক্যাম্প আপাতত হবে বাফুফে ভবনেই। দলটির অনুশীলনের সম্ভাব্য ভেন্যু হতে পারে বাফুফে আর্টিফিসিয়াল টার্ফ এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। অমিত বলেন, ‘শুধু আসন্ন বঙ্গবন্ধু কাপের জন্য নয়, তবে ‘বি’ দলটি হবে দীর্ঘমেয়াদী।’ জাতীয় ‘বি’ দলের দায়িত্ব দেয়া হবে কোন কোচকে? শুভ্রর উত্তর, ‘জাতীয় ‘বি’ দলের জন্য ফেডারেশনের কাছে জাতীয় দলের কোচ সাইফুল বারী টিটুকে চেয়েছিলাম। যেহেতু তার হাতে এখন বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের টিমের দায়িত্ব, তাই তাকে হয়ত না ও পাওয়া যেতে পারে। সেক্ষেত্রে আমরা বিজেএমসির বিদেশী কোচ পাকির আলীকে দলের দায়িত্ব দেব। তাঁকেও না পাওয়া গেলে বিজেএমসির সাবেক কোচ জাকারিয়া বাবু হবেন পরবর্তী পছন্দ।’ শুভ্র জানান, ‘যদি ক্রুইফ চলে আসেন জাতীয় দলের দায়িত্বে, তাহলে টিটুই হবেন আমাদের প্রথম পছন্দ।’ নতুন কোচই ঠিক করবেন, দলে কতজন ফুটবলার থাকবেন। এই দলের কার্যক্রম চালাতে দরকার প্রচুর অর্থ। ‘আমরা একাধিক পৃষ্ঠপোষকের সঙ্গে কথা বলেছি। খুব শীঘ্রই স্পন্সর পেয়ে যাব।’ অমিতের আশাবাদ।
×