ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কিছু দেশী-বিদেশী পত্রিকায় মামলার রায় ভুল উপস্থাপন

প্রকাশিত: ০৫:০৯, ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪

কিছু দেশী-বিদেশী পত্রিকায় মামলার রায় ভুল উপস্থাপন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশী ও বিদেশী কিছু সংবাদপত্রে বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধ মামলার রায়ের খবর ভুলভাবে আসছে উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল বলেছেন, এ আদালত একাত্তরের অপরাধীদের বিচার করছে, কোন্ ধর্মীয় নেতার নয়। আমরা একাত্তরের অপরাধীদের বিচার করছি। তিনি কোন্ পর্যায়ের ইসলামিক বা ধর্মীয় নেতা সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামে মানবতাবিরোধী মামলার রায় ঘোষণার আগে প্রারম্ভিক বক্তব্যে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘দেশের ও বিদেশের কয়েকটি মিডিয়া বলছে, এখানে ধর্মীয় নেতাদের রায় দেয়া হচ্ছে। কিন্তু আমরা একাত্তরের অপরাধীদের বিচার করছি। তিনি কোন্ পর্যায়ের ইসলামিক বা ধর্মীয় নেতা সেটা আমাদের বিবেচ্য নয়।’ আসামির আজকের অবস্থান আদালতের বিচারে দেখা হয় না । তিনি আরও বলেন, ফৌজদারি মামলায় সকলকে খুশি করে রায় দেয়া সম্ভব নয়। আইন ও সংবিধান অনুযায়ী বিচারক চলতে বাধ্য। প্রাপ্ত সাক্ষী ও ডকুমেন্টের ওপর ভিত্তি করে, বিচার-বিশ্লেষণ করে এ রায়। রায়ের পর কোন পক্ষকে সহিংস আন্দোলনের কর্মসূচীতে না যাওয়ার আহবান জানিয়ে চেয়ারম্যান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম বলেছেন, সম্পাদকীয় লিখে, বিবৃতি দিয়ে, সহিংস কর্মসূচী দিয়ে রায় পরিবর্তন করা যায় না। রায় পেতে হলে আইনের পথেই যেতে হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মামলার রায় পড়া শুরুর আগে প্রারম্ভিক বক্তব্যে প্রসিকিউশন, আসামিপক্ষ, সাংবাদিক এবং পর্যবেক্ষকদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, সাক্ষীর বিচার-বিশ্লেষণে আমাদের ভুল হয়ে থাকলে অথবা আইনের ব্যাখ্যা ভুল থাকলে এর প্রতিকার পাবার অধিকার সবার আছে। আমাদের রায়ে যে পক্ষই সংক্ষুব্ধ হন তাঁরা রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যেতে পারেন। চেয়ারম্যান আরও বলেন, আইনের শাসনের বিশ্বাসী হয়ে কেউ রায়ের বিরুদ্ধে, রায় পছন্দ না হলে যে কোন সংঘাতময় কর্মসূচী দেবেন এটা অপ্রত্যাশিত। বিচারকদের ওপর কোন মানসিক চাপ সৃষ্টি হতে পারে এমন কর্মসূচীও অপ্রত্যাশিত । রায় হবার পরে বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আমরা দেখেছি। দেশে ২/১টি এবং বিদেশী কিছু গণমাধ্যমে ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর এমনভাবে উপস্থাপন করেন, যে, দেশে ইসলামী ধর্মীয় নেতাদের বিরুদ্ধে রায় দেয়া হয়েছে। একাত্তর সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করছি। তখন তাদের অবস্থানই আমাদের বিবেচ্য। আজকের অবস্থান কোনক্রমেই না। সম্পাদকীয় লিখে, বিবৃতি দিয়ে, সহিংস কর্মসূচী দিয়ে রায় পরিবর্তন করা যায় না। রায় পেতে হলে আইনের পথেই যেতে হবে। প্রারম্ভিব বক্তব্য শেষ হবার পর আসামির বিরুদ্ধে রায় পড়া শুরু হয়। উল্লেখ্য, এর আগে একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এ দলটির সাত শীর্ষ নেতার রায়ের পর প্রতিবারই হরতাল ডাকা হয়েছে, বিভিন্ন স্থানে ঘটেছে সহিংসতার ঘটনা।
×