ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচীতে সহায়তা বাড়াচ্ছে দাতারা

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪

দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচীতে সহায়তা বাড়াচ্ছে দাতারা

হামিদ-উজ-জামান মামুন ॥ চরম দারিদ্র্যবিমোচন কর্মসূচীতে সহায়তা বাড়াচ্ছে দাতারা। এক্ষেত্রে বাড়তি অনুদান দিচ্ছে ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ডিএফআইডি) এবং নতুন করে যুক্ত হচ্ছে সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট এ্যান্ড কো-অপারেশন (এসডিসি)। ফলে ৪০ হাজার পরিবার যুক্ত হচ্ছে এসব কর্মসূচীতে। এজন্য দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। প্রথম সংশোধিত ব্যয় ৮৮৭ কোটি ১৯ লাখ ২৪ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে বর্তমানে এক হাজার ১২ কোটি ৬৫ লাখ ২২ হাজার টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। আজ মঙ্গলবার এ সংশোধনী প্রস্তাবটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্র জানায়, দাতাসংস্থা ডিএফআইডি এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ৭৯ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড এবং ডিএফআইডির মাধ্যমে এসডিএস ৪ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড অনুদান দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তাই বৈদেশিক সহায়তা অংশের অর্থ পেতে কোন সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যেই গত ২৮ এপ্রিল ডিএফআইডির সঙ্গে ইআরডির সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য মোহাম্মদ সফিকুল আজম পরিকল্পনা কমিশনের মতামত দিতে গিয়ে জানান, যেহেতু প্রস্তাবিত প্রকল্পটিতে অর্থায়নের নতুন উৎস হিসেবে এসডিএস সংযোজন এবং নতুন অঙ্গ অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব করা হয়েছে। সেহেতু সরকারী খাতে উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, প্রক্রিয়াকরণ, অনুমোদন ও সংশোধন পদ্ধতির ৪ দশমিক ৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেয়ার দায়িত্ব একনেকের। প্রভার্টি ম্যাপ অনুসরণ করে ৩০টি জেলার ১১৫টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। এটি বিশেষ করে চর, হাওর, বাঁওড়, ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এবং চরম দারিদ্র্য এলাকায় বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ কারণে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদনের সুপারিশ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চলমান ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনাসহ অন্যান্য দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা এবং সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দারিদ্র্যবিমোচন ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন করা। এ লক্ষ্যে দীর্ঘদিন ধরে সরকারী বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থা দেশের দারিদ্র্যবিমোচনে ব্যাপক ভূমিকা রেখে আসছে। এ কার্যক্রম আরও বেগবান করতে মোট ৮৮৬ কোটি ২৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে ২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের জন্য ইকনোমিক ইমপাওয়ারমেন্ট অব দ্য পুওরেস্ট ইন বাংলাদেশ নামের এ প্রকল্পটি ২০০৮ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেয়া হয়।
×