ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাকৃবিতে ছাত্রী হল নির্মাণ ॥ ঠিকাদারকে আগাম বিল পরিশোধ!

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪

বাকৃবিতে ছাত্রী হল নির্মাণ ॥ ঠিকাদারকে আগাম বিল পরিশোধ!

স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের নতুন আবাসিক হল নির্মাণে ঠিকাদারকে আগাম বিল পরিশোধের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানায়, নির্মাণ কাজের এলাকায় বড়জোর ২০০ মে.টন রড রাখা হয়েছে। যার বর্তমান বাজার মূল্য সর্বোচ্চ এক কোটি ২০ লাখ টাকা। অথচ রডের মূল্য বাবদ এক কোটি ৫০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে অধ্যাপক রশীদ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। স্থানীয় সূত্র জানায়, সাড়ে সাত কোটি টাকা করে মোট ১৫ কোটি টাকার এই নির্মাণ কাজ পায় ময়মনসিংহের মাল্টিপ্লেক্স এন্টারপ্রাইজ ও পটুয়াখালির এথেনা এন্টারপ্রাইজ নামের দুটি প্রতিষ্ঠান। কাজের গুণগত মান নিয়ে শুরু থেকে মতবিরোধ দেখা দেয় কাজের দেখভালে জড়িত কর্মকর্তাদের মধ্যে। এই দ্বন্দ্ব ও মতবিরোধের কারণে হল নির্মাণস্থলে ঘটেছে মারামারিসহ অপ্রীতিকর ঘটনাও। ইতোমধ্যে ঠিকাদারদের ৭৫ লাখ টাকা করে বিল দেয়ার প্রক্রিয়া শুরুর পর অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে বিল দুটি পাস হয়। ঠিকাদারদের একটি সূত্রের দাবি, নতুন ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণে মাটি কাটা ও মাটি ভরাট, ঢালাইয়ের কাজ হয়েছে। এছাড়া নির্মাণ কাজের স্থলে রড, বালি ও ইট সিমেন্ট নির্মাণ সামগ্রী রয়েছে। এই হিসেবে ঠিকাদারদের পাওনা থেকে যে বিল দেয়া হয়েছে তা মোটেও বেশি নয়। বিল প্রদানে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী শাহীন ইসলাম খান জানান, এটি পরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অধ্যাপক আব্দুর রশীদ ভাল বলতে পারবেন। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আতিকুর রহমান অব্যাহতি চাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, স্বাস্থ্যগত কারণ উল্লেখ করে মানবিক আবেদনের পরও তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়নি। দিনাজপুরে গরম কাপড়ের বাজার জমজমাট স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ গত কয়েক দিনের শীতে ভিড় পড়েছে দিনাজপুরে পুরনো কাপড়ের দোকানগুলো। ফুটপাথে ভিড় করছে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের ক্রেতারা। এক মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে পুরনো শীতবস্ত্রের পাইকারি ও খুচরা বাজারে বেচা-কেনা। ক্রেতাদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, এ বছর শীত বেশি পড়বে। পুরনো কাপড়ের ব্যবসাও ভাল হবে। ফুটপাথে শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় দাম দ্বিগুণ। আমদানিকারকদের অধিকাংশ চট্টগ্রামের। দিনাজপুরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে বিভিন্ন বাজার ও সুপার মার্কেটের সামনে ধুমসে বিক্রি হচ্ছে শীতবস্ত্র। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাশে, কাচারীবাজার, জেল রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় ক্রেতারা ভিড় করছে। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছাড়াও বিভিন্ন গ্রামে ভ্যান গাড়ি ও ফেরি করে শীতবস্ত্র বিক্রি করছে হকাররা। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়েই খুশি। কম দামে খরিদ করতে পারছে জাপান, কোরিয়া, চায়না, স্পেন, লন্ডন, তাইওয়ান ও ইন্দোনেশিয়ার শীতবস্ত্র।
×