ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রামেক হাসপাতালে নবজাতক চুরি ॥ তোলপাড়

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪

রামেক হাসপাতালে নবজাতক চুরি ॥ তোলপাড়

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ার্ডে প্রসূতির ‘কোল’ থেকে মুহূর্তেই নবজাতক চুরির ঘটনায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। সোমবার বেলা আড়াইটায় হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এ নবজাতক চুরির ঘটনা ঘটলেও বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তার হদিশ মেলেনি। রামেক হাসপাতাল সূত্র জানায়, গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌর এলাকার শুরসুনিপাড়ার তরিকুল ইসলামের স্ত্রী রুবিনা বেগম প্রসব বেদনা নিয়ে রবিবার রামেক হাসপাতালের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হয়। সোমবার দুপুরে রুবিনা সিজারের মাধ্যমে মেয়ে শিশু জন্ম দেন। সিজারের ৩০ মিনিট পর ওই নবজাতককে সেবিকার মাধ্যমে ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সঙ্গে রুবিনার নানা মোজাফ্ফর ও নানি রহিমাও ছিলেন। ওয়ার্ডে আসার পর সেবিকার হাত থেকে শিশুটিকে তারা বুঝে নেয়। এরপরে ওই ওয়ার্ডের অপরিচিত চল্লিশোর্ধ এক নারী নবজাতকটিকে নিয়ে হঠাৎ আদর ও সেবাযতœ করতে থাকেন। রুবিনার নানা মোজাফ্ফর জানান, ওই নারী শিশুটিতে খুব আদর করছিল। তিনি ও তার স্ত্রী শিশুটিকে রাখার জন্য বিছানাপত্র গোছগাছ করছিলেন। এই সুযোগে নবজাতক নিয়ে উধাও হয়ে যায় ওই নারী। কয়লা নেই ॥ চাঁপাইয়ে ইটভাঁটিতে জ্বলছে কাঠ স্টাফ রিপোর্টার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ॥ কয়লা নেই তাই এখন ইটভাঁটির মালিকরা কাঠের পাহাড় জমিয়েছে তাদের ইটভাঁটিতে। এর ফলে জেলার ঐতিহ্যবাহী জাতীয় ব্রহ্ম বলে পরিচিত আম গাছ নিধনের মহাযঙ্গ চলছে। পাশাপাশি বাড়িয়েছে ইটের দাম কয়েকগুণ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার অর্ধেকের বেশি ভাটায় এখনও জ্বলেনি আগুন। ভাঁটিগুলোর কাঁচা ইট নিয়ে মালিকরা পড়েছে মহা সঙ্কটে। অন্যদিকে কোন কোন জিকজ্যাক ভাটায় আগুন দিলেও দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন ঐসব ভাটার মালিকরা। কোন কোন বন্দর দিয়ে যৎসামান্য কয়লা আমদানি হলেও দাম নাগালের বাইরে। বিভিন্ন বন্দর এলাকা থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, ভারত থেকে আনা অত্যন্ত নিম্নমানের কয়লা বন্দর এলাকা থেকেই প্রতি টন ২২/২৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই দামে কয়লা কিনে ভাঁটি মালিকদের প্রতি হাজার ইটের দাম পড়ছে ৭ থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকায়। আর ইটের দাম গত বছরের তুলনায় প্রতি হাজারে দেড় থেকে ২ হাজার টাকা বেশি হওয়ায় সরকারী উন্নয়ন কাজের বিঘœ সৃষ্টি হয়েছে। ঠিকাদারদের সূত্রে জানা যায়, এই দামে ইট কিনে কাজ করলে ঠিকাদারী ব্যবসা লাটে উঠবে। সোনামসজিদ স্থলবন্দরের দায়িত্বরত সহকারী কাস্টমস কমিশনার নুরুল বাসারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, চলতি ডিসেম্বর মাসে এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ১৫ হাজার মে.টন কয়লা আমদানি হয়েছে। জমির উর্বর মাটি যাচ্ছে ইটভাঁটিতে নিজস্ব সংবাদদাতা ঠাকুরগাঁও থেকে জানান, জেলার গ্রামে গ্রামে এখন উর্বর আবাদি জমির উপরিভাগের মাটির ব্যাপক কেনাবেচা চলছে। জেলার ৬০টি ইটভাঁটির মালিক পক্ষ এখন প্রতিযোগিতা করে সারাবছরের জন্য এই মাটি ক্রয় করছে। কৃষক নগদ টাকার প্রয়োজনে কিছু না ভেবেই তাদের জমির উপরিভাগের উর্বর অংশ বিক্রি করে দিচ্ছেন। ঠাকুরগাঁও থেকে বালিয়াডাঙ্গী, রানীশংকৈল ও হরিপুর উপজেলার রাস্তার দু’পাশের জমি থেকে ব্যাপকহারে এই মাটি কিনে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাঁটির মালিকেরা। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ভুপেশ কুমার ম-ল জানান, জমিতে জৈব পদার্থ প্রয়োজন ৫ শতাংশ। অথচ এই অঞ্চলের জমিতে জৈব পদার্থ রয়েছে এক শতাংশেরও কম। তার ওপর জমির উর্বর অংশ নষ্ট হওয়ায় মাটির ভয়াবহ ক্ষতি হচ্ছে। এই মাটির উর্বরা শক্তি ফিরে পেতে প্রায় ১৫ বছর সময় লাগবে।
×