ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন কাল ॥ প্রচারে ব্যস্ত শিক্ষকরা

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ৩০ ডিসেম্বর ২০১৪

ঢাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন কাল ॥ প্রচারে ব্যস্ত শিক্ষকরা

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্র্বাচন নিয়ে প্রচারণা কাজে শিক্ষকরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। আগামীকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শফিক উজ্জ-জামান। বরাবরের মতো এবারের নির্বাচনেও আওয়ামী-বাম সমর্থিত নীল দল এবং বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত সাদা দলের শিক্ষকরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উভয় দলের শিক্ষকরাই জয়লাভের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন। নির্বাচন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তৈরি হয়েছে নির্বাচনী ব্যস্ততা ও উৎসবমুখর পরিবেশ। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতিবছরই শিক্ষক সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। ১৫টি কার্যকরী পরিষদ পদের মাধ্যমে গঠিত এই কমিটি এক বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমান কমিটির মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার একেবারে শেষ সময়ে এসে পাল্লা দিয়ে প্রার্থীদের প্রচারণা চলছেই। বিভাগের সহকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষদের বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব, এমনকি শিক্ষকদের বাসায় গিয়েও প্রচারণা চলছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, এ বছর সভাপতি পদে শিক্ষকদের নীল দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন সদ্য মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। একই পদে সাদা দল থেকে মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আখতার হোসেন খানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। সাধারণ সম্পাদক পদে নীল দল থেকে সদ্য মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আর্থ এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস অনুষদের ডিন অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। একই পদে সাদা দল থেকে লড়বেন ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মোঃ লুৎফর রহমান। সহসভাপতি পদে নীল দলের প্রার্থী ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের অধ্যাপক হাসিবুর রশিদ, সাদা দলের প্রার্থী সিনেট সদস্য ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম। যুগ্মসম্পাদক পদে নীল দলের প্রার্থী রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আফতাব আলী শেখ। সাদা দলের প্রার্থী পালি এ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক দিলীপ কুমার বড়ুয়া। কোষাধ্যক্ষ পদে নীল দলের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ও ব্যাংকিং এ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম এবং সাদা দল থেকে মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক এবিএম শহিদুল ইসলাম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। সদস্য পদের জন্য নীল দল থেকে লড়বেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোঃ আখতারুজ্জামান, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক এজেএম শফিউল আলম ভূঁইয়া, অণুজীববিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মোঃ নিজামুল হক ভূঁইয়া, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৌমিত্র শেখর, ইংরেজী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাজিন আজিজ চোধুরী, ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোঃ আবদুস ছামাদ, ক্রিমিনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউর রহমান, মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক মুবিনা খন্দকার ও আইন বিভাগের অধ্যাপক মোঃ রহমত উল্লাহ। সদস্যপদে সাদা দলের পক্ষ থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন- রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আবদুস সালাম, দর্শন বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ জামাল আনোয়ার, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের অধ্যাপক এএম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, আইন বিভাগের অধ্যাপক এসএম হাসান তালুকদার, সমাজ কল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক গোলাম রব্বানী, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন, মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুন চৌধুরী, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোঃ আব্দুল করিম, শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাবরিনা শাহনাজ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হোসনে আরা। নির্বাচন সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক শফিক উজ্জ-জামান জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের আচরণবিধি মেনে উভয় দলই প্রচারণা চালিয়েছেন। অতীতের মতো শতভাগ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠুভাবেই এ নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। বিপুল ব্যবধানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রকাশের আশাবাদ ব্যক্ত করে নীল দলের সভাপতি পদপ্রার্থী বিগত কমিটির সভাপতি ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে তা তরুণ প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে শিক্ষকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। আমরা শপথগ্রহণ করেছিলাম স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তির অবস্থানকে আরও সুদৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার প্রত্যয়ে। যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, মানবতাবিরোধী অপরাধী ও এদের দোসরদের এ দেশ থেকে চিরতরে নির্মূল করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করেছি।
×