ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ক্ষমা না চাইলে খালেদাকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না ॥ হানিফ

প্রকাশিত: ০৫:৩০, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

ক্ষমা না চাইলে খালেদাকে সমাবেশ করতে দেয়া হবে না ॥ হানিফ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে করা কটূক্তির জন্য জাতির কাছে ক্ষমা না চাইলে গাজীপুরের মতো আগামীতে খালেদা জিয়া দেশের অন্য কোথাও সমাবেশ করতে পারবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ। তিনি বলেন, কটূক্তি ও ইতিহাস বিকৃতির জন্য ক্ষমা না চাইলে জনগণ গাজীপুরের মতো আগামীতে দেশের অন্য কোথাও খালেদা জিয়াকে সমাবেশ করতে দেব কিনা, তা ভাবার সময় এসেছে। শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানম-ির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুবলীগের সঙ্গে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ উদযাপন ও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস কর্মসূচী ব্যাপকভাবে পালনের অংশ হিসেবে যুবলীগ নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের এই যৌথসভাটি অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগ ঘোষিত এ দুটি কর্মসূচীতে যুবলীগের ব্যাপক শোডাউন এবং ব্যাপক উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়। বৈঠক শেষে হানিফ বলেন, তারেক রহমান ও বিএনপির নেতারা মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যেভাবে কটূক্তি করেছে, তা আওয়ামী লীগ বরদাশত করবে না। তাদের মিথ্যাচারের জন্য জনগণ তাদের গাজীপুরে সমাবেশ করতে দেয়নি। এ জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী নয়। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার পুত্রকে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। এ দাবি শুধু ছাত্রলীগের নয়, এ দাবি বাংলার জনগণের। বিএনপির ডাকা সোমবারের হরতাল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অতীতেও জনগণ তাদের হরতালে সাড়া দেয়নি। ভবিষ্যতেও সাড়া দেবে না। বিএনপির সোমবারের হরতালও ব্যর্থ হবে। তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের সুযোগ নিয়ে বোমা মেরে মানুষ হত্যা করেছে, অন্যের সম্পত্তি নষ্ট করেছে, অগ্নিসংযোগ, ভাংচুর করেছে; তাদের কাছে গণতন্ত্র মানেই নৈরাজ্য করা। ব্রিফিংকালে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা ডাঃ দীপু মনি এমপি, আবদুল মতিন খসরু ্এমপি, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, এ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি, এস এম কামাল হোসেন, এ কে এম এনামুল হক শামীম, যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ। রাস্তায় নামলেই বিএনপিকে গণধোলাইÑখাদ্যমন্ত্রী কামরুল ॥ বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় নামলেই জনগণ ‘গণধোলাই’ দেবে বলে হুমকি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিএনপি আন্দোলন করতে পারবে না। তারা রাস্তায় নামলেই জনগণ তাদের গণধোলাই দেবে। রাজপথ আমাদের দখলে থাকবে। বিএনপিকে নির্বাসিত, উৎখাত ও বিতাড়িত না করতে পারলে রাজনীতি সুস্থ ধারায় আসবে না। শনিবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজক বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিষদ। অধ্যাপক আবদুল মান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, উপকমিটির সহ-সম্পাদক এ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার এবং বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া ডাক দিলেই নাকি জনগণ রাস্তায় নামবে। অনেকেই ভেবেছিলেন গাজীপুরে বিএনপি তুলকালাম করে ফেলবে। কিন্তু বিএনপির হরতালে গাজীপুরে কেউ নামেনি। বিএনপি এখন কাগুজে সংগঠনে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আজকে (শনিবার) তাদের প্রথম রিহার্সাল দেখলাম। গাজীপুরে হরতাল ডাকলেও বিএনপির একটা কর্মীকেও রাস্তায় দেখা যায়নি। তাদের এই হরতাল দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর রায়ের গ্রেফতারের দিকে ইঙ্গিত করে কামরুল বলেন, এক নেতাকে গ্রেফতার করায় ডিপফ্রিজে চলে গেছে বিএনপি। আরও দু-একজন গ্রেফতার হলে কাউকেই আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। এদের আন্দোলনের স্ট্যামিনা (শক্তি) নেই। এ সময় বিএনপি থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার জন্য সাংবাদিকদের কাছে করজোড়ে নিবেদন করেন তিনি। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে ‘প্রতিবন্ধী’ আখ্যায়িত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, একজন প্রতিবন্ধী কাঁথা- বালিশ নিয়ে পার্টি অফিসে শুয়ে থাকেন আর ব্রিফিং করেন। আপনারা (সাংবাদিক) তার বক্তব্য নেয়া বন্ধ করুন। দেখবেন আর বিএনপি থাকবে না। তিনি বলেন, বিএনপির সিনিয়র নেতারা দেশের উন্নয়ন চান, কিন্তু খালেদা তাদের জন্য অভিশাপ। বিএনপির সিনিয়র নেতার অনেকেই সুস্থ রাজনীতিতে ফিরে আসতে চান। কিন্তু খালেদা-তারেকের খপ্পর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন না।
×