ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বনদস্যু কাশেম বাহিনীর প্রধান বন্দুকযুদ্ধে নিহত

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

বনদস্যু কাশেম বাহিনীর প্রধান বন্দুকযুদ্ধে নিহত

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ সুন্দরবনের বনদস্যু কাশেম বাহিনীর প্রধান কাশেম র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। শুক্রবার রাতে খুলনার দাকোপ উপজেলার সুন্দরবন সংলগ্ন সুতারখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, তিন রাউন্ড গুলিসহ ৬টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে র‌্যাব। এর আগে গত ৫ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে কাশেম বাহিনীর ১৩ সদস্য নিহত হয়। র‌্যাব-৬ খুলনার লিগ্যাল এ্যান্ড মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি হারুন অর রশীদ জানান, কাশেম বাহিনী সুন্দরবনে অবস্থান করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি বিশেষ টিম শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সুন্দরবন সংলগ্ন দাকোপ উপজেলার সুতারখালী এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে বনদস্যু কাশেম ও তার সহযোগীরা গুলি বর্ষণ করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে দস্যুরা পিছু হটে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে বাহিনীপ্রধান কাশেমের গুলিবিদ্ধ লাশ এবং ৩টি বন্দুক, একটি বিদেশী পিস্তল, একটি ওয়ান শূটার গান, তিন রাউন্ড রাইফেলের গুলি, ৪টি রামদা, ২টি কুড়াল ও ২টি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, কাশেম তার বাহিনী নিয়ে গত ১০ বছর যাবত সুন্দরবনে ডাকাতি, অপহরণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা- চালিয়ে আসছিল। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে। চাঁদপুরে ৩ কোটি টাকা নিয়ে এনজিওকর্মীরা উধাও গ্রাহকদের বিক্ষোভ নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ২৭ ডিসেম্বর ॥ চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের সাহেববাজারস্থ যমুনা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন গ্রাহকদের প্রায় ৩ কোটি টাকা আত্মসাত করে উধাও। এতে গ্রাহকরা পাওনা টাকা আদায়ের জন্য শনিবার কর্মকর্তাদের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যমুনা উন্নয়ন ফাউন্ডেশন যখন সাহেববাজারে অফিস নিয়ে বসে ওই সময় জনৈক আকতার হোসেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, সিরাজ মিজি (বাবুল) এমডি ও জাকির হোসেন বাদল অর্থ সচিবের দায়িত্বে ছিলেন। যমুনা উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সব শাখার মধ্যে সাহেববাজার অফিসটি ছিল প্রধান শাখা অফিস। ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা অধিক মুনাফা দেয়ার কথা বলে ৩শ’ গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে যায়। সদর উপজেলার বাগাদী ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার সেকদীতে ফাউন্ডেশনের নামে কিছু সম্পত্তি ক্রয় করে তারা গ্রাহকদের মনে বিশ্বাস স্থাপন করে। পরে গ্রাহকদের কাছ থেকে মুনাফার লোভ দেখিয়ে টাকা আদায় করে। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এ সম্পত্তির অধিকাংশ তারা গোপনে বিক্রি করে দিয়েছে।
×