ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

একুশ শতক ॥ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪

একুশ শতক ॥ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা

(জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা আওয়ামী লীগের ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারের অঙ্গীকার। সেই অঙ্গীকারকে সামনে রেখে গড়ে তোলার প্রয়াস চলছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবে এই মহাযজ্ঞে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর সরকারের তৃতীয় মেয়াদ যখন দ্বিতীয় বছরে পদার্পণ করছে তখন আমরা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা করছি। আমরা মূল্যায়ন করছি পুরো বিষয়টি। ছাপা হচ্ছে ধারাবাহিকভাবে। এর আগে তিনটি পর্ব ছাপা হয়েছে।) ॥ চার ॥ আমরা আলোচনা করছিলাম ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে। ২০০৮ সালের আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার পর্যালোচনা করলে আমরা আরও কিছু অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তাতে সংযুক্ত হিসেবে পাব। আমরা যদি ১০.১২ অনুচ্ছেদের সঙ্গে আরেকটি অনুচ্ছেদ পাঠ করি তবে ডিজিটাল বাংলাদেশের কেবল দুটি অগ্রাধিকার- ডিজিটাল সরকার ও ডিজিটাল শিক্ষার কথাই পাব না, আরও স্পষ্ট করে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশে সরকারের করণীয় বিষয়ে জানতে পারব। এই অনুচ্ছেদে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন টাস্কফোর্স সক্রিয় করার কথা বলা হয়েছে, তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা, ব্যবহার ও উৎপাদনকে দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এখানে আবারও পাঠ্যবইকে সফটওয়্যারে রূপান্তরিত করার কথা বলা হয়েছে। ই-গভর্নমেন্ট, হাইটেক পার্ক, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল, তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা এবং রাষ্ট্রভাষার কথা বলা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ১০.১৫ : আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গঠিত এবং জোট সরকারের আমলে নিষ্ক্রিয় করা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক টাস্কফোর্স সক্রিয় ও কার্যকর করা হবে। এছাড়া নিম্নœলিখিত পদক্ষেপসমূহ গ্রহণ করা হবে। ক. তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা, ব্যবহার এবং বাণিজ্যিক উৎপাদনকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। নিম্নœ মাধ্যমিক থেকে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে এবং বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ হিসেবে তা সরবরাহ করা হবে। এছাড়া পাঠ্যপুস্তকে শিক্ষামূলক মাল্টিমিডিয়া সফটওয়্যার রূপান্তর করা হবে এবং সকল স্তরে শিক্ষা পদ্ধতিকে ডিজিটাল করা হবে। খ. দেশের অভ্যন্তরে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার সর্বক্ষেত্রে (প্রশাসনিক কর্মকা-ে, ব্যাংকিং, গণযোগাযোগ, চিকিৎসা ব্যবস্থা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গণমাধ্যম ইত্যাদি) পরিব্যপ্ত করে এবং সফটওয়্যারের রফতানি শিল্পের বিকাশের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়া হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ও দক্ষ প্রোগ্রামার তৈরির লক্ষ্যে সাধারণ কলেজ- বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে কম্পিউটার বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর সবিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে। গ. কালিয়াকৈরে হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, আইসিটি ইনকুবেটর এবং কম্পিউটার ভিলেজ স্থাপন করা হবে। ঘ. দেশের জন্য আরো একটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করে সারাদেশে এর সুযোগ-সুবিধা পৌঁছানো হবে। ঙ. দেশে ইলেক্ট্রনিক, ইলেক্ট্রিক্যাল এবং কম্পিউটার ও তার যন্ত্রাংশ তৈরি/ সংযোজনকে উৎসাহিত করা হবে। চ. তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণায় সরকারিভাবে বরাদ্দ প্রদান করে তা যথাযথভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে। ছ. জাতীয় তথ্যপ্রযুক্তি নীতিমালা পুনর্বিন্যাস করা হবে এবং সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবার অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বাজার সৃষ্টি ও সম্প্রসারণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি সেবা খাতকে রফতানি সহায়তা প্রদান করা হবে। তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের বিকাশ এবং আগামী দেড় দশকের মধ্যে অন্যতম প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী খাতে পরিণত করার জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। জ. তথ্যপ্রযুক্তিসহ সকল মেধাসম্পদ সংরক্ষণের কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে। কপিরাইট আইনের সঠিক প্রয়োগ করা হবে এবং পেটেন্ট-ডিজাইন এবং ট্রেড মার্কস আইন যুগোপযোগী করে তা প্রয়োগ করা হবে। ই-কমার্স চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা হবে। ঝ. টেলিকমিউনিকেশন প্রযুক্তির আরো সম্প্রসারণ ও সহজলভ্য করা হবে এবং সারাদেশে ইন্টারনেট সংযোগ সহজলভ্য করা হবে। ঞ. তথ্যপ্রযুক্তিতে রাষ্ট্রভাষা বাংলার সর্বোচ্চ মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই অনুচ্ছেদটি বস্তুত ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণারই প্রতিফলন ঘটিয়েছে। আলোচনা করার সুবিধার্থে আমরা ২.৮ ও ৫.২৫ অনুচ্ছেদ এখানে তুলে ধরছি। অনুচ্ছেদ ২.৮: দুর্নীতি দমনের সর্বোত্তম পদক্ষেপ হলো সরকারী দফতরের কর্মকা- কম্পিউটারায়ন এবং সেই রেকর্ড সর্বসাধারণ্যে উন্মুক্তকরণ। পুলিশ থানার কার্যাবলী, আদালতের কার্যাবলী, ভূমি রেকর্ড ও ভূমি হস্তান্তরের বিবরণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও বাজেট, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের তথ্য ও বাজেট এবং সর্বোপরি সম্পূর্ণ টেন্ডার প্রক্রিয়াকে পুরোপুরি কম্পিউটারভুক্ত করে সেই তথ্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। অনুচ্ছেদ ৫.২৫ : একটি আধুনিক, প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ, দুর্নীতিমুক্ত দেশপ্রেমিক গণমুখী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। প্রশাসনের সর্বস্তরে ই-গভর্নেন্স চালু করা হবে।... এইসব অনুচ্ছেদের বাইরেও বিজ্ঞান শিক্ষা ও গবেষণার কথা বলা হয়েছে। আবার যখনই প্রয়োজন হয়েছে তখনই প্রযুক্তি এবং তথ্যপ্রযুক্তির কথা বলা হয়েছে ইশতেহারে। কৃষি সংক্রান্ত ১.৩.৬ অনুচ্ছেদে প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৭.৯-এ জাতীয় ভূমিনীতি প্রণয়নসহ ডিজিটাল ম্যাপিং-এর কথা বলা হয়েছে। অনুচ্ছেদ ৭.১১-এ গ্রামে ইন্টারনেট চালু করার কথা বলা হয়েছে। ৯.৩ অনুচ্ছেদে শিল্প উন্নয়নে তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশের কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তথ্য প্রযুক্তিভিত্তিক শিল্প ও সেবাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের কথা বলা হয়েছে। শিল্প খাতে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসঙ্গ আলোচিত হয়েছে অনুচ্ছেদ ৯.৪-এ। এতে আছে : অনুচ্ছেদ ৯.৪ : নানাভাবে অবহেলিত এবং বাধা-নিষেধের শিকার বিপুল সম্ভাবনাময় রফতানিমুখী তথ্য-প্রযুক্তিনির্ভর শিল্প ও বাণিজ্যিক অগ্রাধিকার প্রদান করা হবে। ফাইবার অপটিকস সংযোগকে সহজলভ্য ও যথাযথভাবে কাজে লাগিয়ে দেশের প্রতিভাবান তরুণ ও আগ্রহী উদ্যোক্তাদের সর্বতোভাবে সহযোগিতা দিয়ে আইসিটি শিল্পের উন্নয়ন নিশ্চিত করা হবে। সফটওয়্যার রফতানি বিশেষভাবে উৎসাহিত করা হবে। প্রতœতত্ত্ব বা জাদুঘর প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব আলোচনা থেকে একটি বিষয় সম্পূর্ণ নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে, একেবারে পরিকল্পনাহীনভাবে আওয়ামী লীগ ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেনি। বরং এ কথাটি আমি বলতে পারি যে, ডিজিটাল বাংলাদেশের মূল বিষয়গুলো বা অগ্রাধিকারগুলো যাতে ইশতেহারে থাকে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক অনুচ্ছেদগুলো লেখার সময় আমি এটুকু মনে রেখেছিলাম। খুব সঙ্গতভাবেই আমি ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের জন্য আওয়ামী লীগের ইশতেহারের মাঝেই সীমিত থাকতে পারি। কিছু কিছু বিষয়ে ইশতেহারে বিস্তারিতভাবে বলা নেই এমন বিষয় ডিজিটাল বাংলাদেশের আওতায় আসতে পারে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে শেখ হাসিনা যে দিন দলের ইশতেহার ঘোষণা করেন সেটি হলো আমাদের স্বাধীনতাউত্তর বাংলাদেশের সার্বিক অগ্রগতির দলিল। এর আগে আর কেউ একটি সরকার গঠনের আগে সেই সরকারের লক্ষ্য স্থির করেনি। বরাবর যে কাজটি হতো সেটি হচ্ছে, আমাদের একমাত্র শত্রুর নাম হচ্ছে ভারত। ভারত বাংলাদেশ দখল করে নিচ্ছে, ইসলাম ডুবে গেল এবং সকল সমস্যার বড় সমস্যা হলো ‘ভারতের দালাল’ আওয়ামী লীগকে ঠেকাও। জিয়াউর রহমান থেকে খালেদা জিয়া পর্যন্ত কারও এর বাইরে কোন কর্মসূচী ছিল না। জিয়া আলবদর-রাজাকারদের কোলে নিয়ে ধর্মকে ব্যবহার করা শুরু করেন। একটি অসাম্প্রদায়িক ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রকে ধর্মভিত্তিক করেন। এরশাদ রাষ্ট্রধর্ম নামক অদ্ভুত এক বস্তু চালু করেন। বেগম খালেদা জিয় তো যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রীই বানান। বিশেষ করে যেসব মৌলিক বিষয় প্রতিটি মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য এবং যেসব বিষয়ে পুঁজিবাদী রাষ্ট্রও তার দায়িত্ব এড়িয়ে যায় না সেইসব বিষয় নিয়ে রাষ্ট্র তথা সরকার নিশ্চুপ ছিল। জিয়ার শাসনকাল থেকেই রাষ্ট্রের দায়িত্বগুলো বেসরকারীকরণ শুরু হয় এবং শিক্ষা-স্বাস্থ্য-আবাসন-পরিবহন ইত্যাদি রাষ্ট্রের কাজ অর্থের বিনিময়ে পাওয়া বাধ্যতামূলক হয়ে ওঠে। একটি দরিদ্র দেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যেটুকু রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে জনগণের কাছে রাষ্ট্রীয় সুযোগ পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেইসব শুধুমাত্র বেসরকারী খাতের ব্যবসার বিষয়ে পরিণত হয়। শেখ হাসিনা তাকে অন্তত লাগাম টেনে ধরার চেষ্টা করেছেন। তিনি যে দলিল তৈরি করেছেন তাতে জনগণকে ন্যূনতম রাষ্ট্রীয় সুবিধা দেবার অঙ্গীকার করেছে। এই দলিলে একটি দরিদ্র দেশের ততোধিক দরিদ্র মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। এই প্রথম কোন সময়সীমার মাঝে দারিদ্র্যদূরীকরণসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের কথা বলা হয়েছে। যে বেনিয়া রাষ্ট্রব্যবস্থা পুঁজিবাদী সমাজ গড়ে তুলে তাকে জনগণের কল্যাণে রূপান্তর করার জন্য শেখ হাসিনা সেই ইশতেহারটিকে সকল স্তরের বিশষজ্ঞ ও বুদ্ধিজীবীদের সহায়তায় তৈরি করেছেন। ফলে এটি হয়ে উঠেছে জাতীয় দলিল। এসব বিষয়ের আলোচনার পাশাপাশি আমি অতি সংক্ষেপে ২০১৪ সালের নির্চাচনে আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে তার দিকে তাকাতে পারি। ইশতেহার ১৪ : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের নির্বাচনকে সামনে রেখে তার নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করেছিল। নির্বাচনের আগে গত ২৮ ডিসেম্বর ২০১৩ আওয়ামী লীগ প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এই ইশতেহার ঘোষণা করেন। যদিও দশম জাতীয় সংসদের নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের তেমন আগ্রহ ছিল না এবং পুরো বিষয়টি শেষাবধি কেবল নিয়ম রক্ষার নির্বাচনেই পরিণত হয়েছিল তথাপি ২০০৮ সালের পর আওয়ামী লীগ তার দেশ পরিচালনার পরিকল্পনার ক্ষেত্রে সামনের পাঁচ বছরের জন্য নতুন কি আপডেট দিল সেই বিষয়ে অন্তত একাডেমিক আগ্রহ থাকতেই পারে। ইশতেহার নিয়ে আমাদের আলোচনাটি সেই কারণেই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা যারা তথ্যপ্রযুক্তির মানুষ তাদের কাছে আওয়ামী লীগের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক ভাবনা চিন্তা যথেষ্ট আগ্রহের সৃষ্টি করে থাকে। এর অন্যতম কারণ হচ্ছে একমাত্র এই রাজনৈতিক দলটি দেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশের জন্য পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। ৯৬ ও ২০০৯ সালে আমরা তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত দেখেছি। সেজন্যই এবারের ইশতেহারটি প্রকাশিত হবার পর ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে এর যেসব ধারায় তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো গুরুত্ব সহকারে পড়েছি। শিক্ষা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য অনুচ্ছেদসমূহে এই বিষয়গুলো রয়েছে। তবে এই কথাটি শুরুতেই বলে রাখা ভাল যে, ২০০৮ সালের মেনিফেস্টোতে বিষয়টি যতটা গুরুত্ব বহন করেছিল, মনে হচ্ছে এবার তেমনটি নেই। কিছুটা দায়সারা ভাবের প্রতিফলন তো সহজেই চোখে পড়ে। বস্তুত একটি অনুচ্ছেদেই প্রসঙ্গটি এসেছে। নির্বাচনের গুরুত্ব কম বলে এমনটি হলো কিনা সেটি নিয়ে আমার শঙ্কা রয়েছে। যাহোক, আলোচনার শুরুতেই আমরা ইশতেহারের কিছু কিছু অংশ দেখে নিতে পারি যেখানে আমাদের আলোচ্য বিষয়ের উল্লেখ রয়েছে। আগামীতে ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে আমরা আলোচনা করব। ঢাকা, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪ ॥ লেখক : তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, দেশের প্রথম ডিজিটাল নিউজ সার্ভিস আবাস-এর চেয়ারম্যান, বিজয় কীবোর্ড ও সফটওয়্যারের জনক ॥ ই-মেইল : [email protected], ওয়েবপেজ:ww w.bijoyekushe.net,ww w.bijoydigital.com
×