ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইটভাঁটি মালিকদের মধ্যে স্বস্তি

বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা বিক্রির সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ০৫:০৫, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪

বড়পুকুরিয়া খনির কয়লা বিক্রির সিদ্ধান্ত

নিজস্ব সংবাদদাতা, পার্বতীপুর, ২৬ ডিসেম্বর ॥ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে বড়পুকুরিয়া খনিতে কয়লা বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ৫৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে প্রায় ৬০ হাজার টন কয়লা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৩৫টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান কয়লা কেনার জন্য ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছেন। তাদের আগামী রবিবার থেকে কয়লা সরবরাহের জন্য ডিও দেয়া শুরু হবে বলে কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। এ ঘটনায় ইটভাটি ও বয়লারচালিত শিল্পপ্রতিষ্ঠানে স্বস্তি ফিরে এসেছে। সূত্রমতে, ইতোপূর্বে খনি কর্তৃপক্ষ কয়লা বিক্রির জন্য বিভিন্ন জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় ৮০০টির মতো কয়লাভিত্তিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মালিকরা ১শ’ থেকে ৫ হাজার টন পর্যন্ত চাহিদা উল্লেখ করে আবেদন করে। খনি কর্র্তৃপক্ষ বিক্রয়যোগ্য কয়লার মজুদ অনুযায়ী দিনাজপুর জেলার ইটভাটিগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশের ৫৯৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটিকে ১০০ টন হিসেবে ৫৯ হাজার ৪০০ টন কয়লা বরাদ্দ দেয়। বর্তমানে খনি ইয়ার্ডে ১ লাখ ২৫ হাজার টন কয়লা মজুদ রয়েছে। এর মধ্যে পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের জন্য ৬৫ হাজার টন কয়লা মজুদ রেখে প্রথম পর্যায়ে এই পরিমাণ কয়লা বিক্রি করা হচ্ছে। যোগাযোগ করলে খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুজ্জামান আজ শুক্রবার বেলা ৩টায় জানান, চাহিদা অনুযায়ী বড়পুকুরিয়া খনি থেকে এত বিপুল পরিমাণ কয়লা সরবরাহ করা সম্ভব নয়। তাই আগে আসলে আগে এ নিয়মে কয়লা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান পত্রপত্রিকায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা বিক্রির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হওয়ায় ভারতের আমদানিযোগ্য কয়লার বেশ দাম কমে গেছে। এতে বিদেশ থেকে কয়লা আমদানিতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের ক্ষেত্রে বড় সাফল্য বলে উল্লেখ করেন।
×