ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

১৯৭১ : গণহত্যা নির্যাতন নির্ঘণ্ট গ্রন্থমালা প্রকাশ

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৪

১৯৭১ : গণহত্যা নির্যাতন নির্ঘণ্ট গ্রন্থমালা প্রকাশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুক্তিযুদ্ধের সময়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের প্রধান কর্মকা- হচ্ছে গণহত্যা-নির্যাতন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেও কোন একটি দেশে এত অল্প সময়ে এত হত্যা-নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। দেশের আনাচে কানাচে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের অসংখ্য বধ্যভূমি ও গণকবর। অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার বহু নারী-পুরুষ এখনও রোমহর্ষক স্মৃতি রোমন্থন করেন যুদ্ধের। কিন্তু তাদের কথায় অনেক সময় সেসব গণহত্যার বৃত্তান্ত, বধ্যভূমি ও গণকবরের কথা উপেক্ষিত থেকে যায়। এসব মর্মকথা তুলে ধরে গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘরের উদ্যোগে ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন নির্ঘণ্ট গ্রন্থমালা প্রকাশ করেছে। শনিবার বিকেল তিনটায় ধানম-ির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে এই বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর উদ্যোগে খুলনায় স্থাপিত হয়েছে বাংলাদেশের প্রথম গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর। এই প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশ্য মুক্তিযুদ্ধকালে গণহত্যা, বধ্যভূমি, গণকবর ও নানামুখী নির্যাতনের দুষ্প্রাপ্য ও অমূল্য উপকরণ সংগ্রহ এবং জাতির সামনে মুক্তিযুদ্ধের মর্মকথা তুলে ধরা। এরই আলোকে এ যাবতকালে প্রাপ্ত গণহত্যা ও বধ্যভূমির ওপর ক্ষেত্রানুসন্ধানের মাধ্যমে প্রত্যেকটি গণহত্যার ইতিবৃত্ত তুলে ধরা হয়েছে। প্রত্যেকটি বই লেখকের স্বকীয়তা বজায় রেখেও নির্দিষ্ট কাঠামোর মধ্যে প্রণীত। এর বিষয় বিন্যাসের মধ্যে রয়েছে স্থানটির ভৌগোলিক অবস্থান, তৎকালীন অবস্থা, গণহত্যার পটভূমি, গণহত্যা ও নির্যাতনের বিবরণ, শহীদ ও নির্যাতিতদের নাম পরিচয়, ভুক্তভোগী ও প্রত্যক্ষদর্শীর মৌখিক ভাষ্য, গণহত্যায় জড়িতদের নাম পরিচয় বধ্যভূমি সংরক্ষণের প্রয়াস, বর্তমান অবস্থা এবং সার্বিক মূল্যায়ন। প্রতিবেদনধর্মী হলেও পুরো বইটি গবেষণামূলক। প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা ও গবেষক এইচ টি ইমাম, শিল্পী হাশেম খান এবং লেখক ও সাংবাদিক ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক শাহরিয়ার কবির এবং গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্ট-এর সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের উপস্থিতিতে এই মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
×