ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিমানবন্দরে ভোগান্তি

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:০৪, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪

সম্পাদক সমীপে

ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর শুধু নামেই, কোন কাজের নয়। সেই কলকাতা বিমানবন্দর আজ কত সুন্দর ও চমৎকার। যাত্রী দুর্ভোগ বলতে নেতাজী সুভাষ বসু বিমানবন্দরে নেই কোন ঝামেলা। এমন কি দিল্লী ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর আজ কত বড় এবং পর্যটক আকর্ষণীয়। সে ক্ষেত্রে ঢাকার বিমানবন্দরের বাইরে এবং ভিতরে কি অরাজকতা এবং হৈচৈ। নেই কোন শৃঙ্খলা। যে যেভাবে পারছে তাই করছে। বিমানবন্দরে নেমে দেশী-বিদেশী যাত্রীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। বিনা কারণে সাধারণ যাত্রীদের নাজেহাল হতে হয়। বিমানের লোকজন তাদের নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করে না। সিভিল এ্যাভিয়েশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লাগেজ ‘গায়েব’ নিয়ে ব্যস্ত। বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনের বেহাল অবস্থা। শুধু কাজ ফেলে দৌঁড়াদৌঁড়ি। কাকে কিভাবে ধরা যায় ত নিয়ে ছোটাছুটি। পরিচিত কেউ এলে বিমানের লোকজন আগে তাদের বের করে আনতে বিরাট ঝামেলা করে। এখানে আইন বা নিয়ম কেউ মানে না। সবাই বিমানবন্দরের রাজা। কারও কথা কেউ শুনে না। সবাই দৌঁড়ের উপর থাকে। মনে হয় ঢাকার বিমানবন্দর স্বর্ণ চোরাকারবারিদেরও স্বর্গ। টয়লেট অপরিষ্কার। এতেই প্রতীয়মান হয় যে, ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কোনভাবেই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মানের কাছাকাছি হতে পারে না। বিষয়টি বা সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে অনুরোধ জানাচ্ছি। মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী ফরিদাবাদ, ঢাকা। গণতন্ত্র রক্ষা দিবস প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতা, বিচক্ষণতা এবং সাহসী ভূমিকার কারণে ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচন হওয়াতে এই দেশ, দেশের জনগণ এবং গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য সরকারের মেয়াদ শেষে নির্বাচন ছিল জরুরী। তাই নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে। কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াত এবং তাদের দোসর বিএনপি সংবিধানবিরোধী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে সারা দেশে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে। বাস ট্রেনে পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে যাত্রী পুড়িয়ে মারে। ট্রেন লাইন খুলে ফেলে, মহাসড়ক খুঁড়ে সারাদেশের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের হত্যা করে সেনাবাহিনীকে উসকে দেয়ার চেষ্টা করে। সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়, তাদের উপাসনালয় ভাঙচুর করে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশের অবস্থা জটিল করে তোলে। আর এই অরাজকতাকে সমর্থন ও সহযোগিতা করে এই দেশের কিছু বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী নামধারী স্বার্থবাজ ব্যক্তিবর্গ। সাংবাদিক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারী-বেসরকারী কর্মকর্তা, পত্রিকার সম্পাদক, লেখক, কিছু কিছু ইলেকট্রনিক প্রিন্ট মিডিয়া, এনজিও এবং কয়েকটি বিদেশী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতগণ। এরা সকলে মিলে নির্বাচন ভ-ুল এবং সরকারকে ফেলে দেয়ার জন্য গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। কিন্তু শেখ হাসিনার সাহসী ভূমিকা এবং দেশের ৪০ পারসেন্ট সাধারণ জনগণের সমর্থন এবং সহযোগিতায় ৫ জানুয়ারি নির্বাচন সম্পন্ন হলে দেশ ও জাতি অশুভ শক্তির হাত থেকে রক্ষা পায়। মাঃ ওসমান গনি কেরানিগঞ্জ, ঢাকা প্রত্যাশা দুঃখজনক হলেও সত্য এই যে, যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামকে সমর্থন দিয়ে আসছে বিএনপি এবং সেই বিএনপির পক্ষ সমর্থন করছেন মুক্তিযোদ্ধাদের একটি মিনি অংশ। কতিপয় মুক্তিযোদ্ধার একটি অংশ বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে প্রকারান্তরে যুদ্ধাপরাধীদের সমর্থন করছে। কারণ বিএনপি সমর্থন করে যুদ্ধাপরাধী ও রাজাকার আলবদর বাহিনীদের। বিএনপির সঙ্গে যেসব মুক্তিযোদ্ধা জড়িত সেসব মুক্তিযোদ্ধাদের প্রকাশ্যে ঘোষণা দিতে হবে যে, তারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা এবং তিনি স্বাধীনতার ঘোষক। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সপক্ষে সমর্থন জানিয়ে ঘোষণা দিতে হবে। জাতির পিতার মাজার জিয়ারত করতে হবে। জনগণ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানায়। মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করতে হবে বঙ্গবন্ধু ও জাতির পিতার স্বাধীন বাংলাদেশের এক পতাকাতলে একসঙ্গে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধারা দ্বিখ-িত হতে পারে না। কোন্ যুক্তিতে কিসের কারণে বিএনপির সঙ্গে থাকবে তা জানাতে হবে না। জানাতে বাধ্য থাকবে ওই শ্রেণীভুক্ত মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে সমুন্নত রাখতে জাতির পিতাকে মেনে নিয়ে যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলবদরকে ঘৃণা জানাতে হবে। মেছের আলী শ্রীনগর।
×