ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বাংলাদেশের সাফজয়ী অস্ট্রিয়ান কোচ জর্জ কোটান

‘আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করাতে এসেছি’

প্রকাশিত: ০৫:২৭, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪

‘আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করাতে এসেছি’

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘বাংলাদেশে আবার এসেছি, কারণ এখানে আমার অনেক পুরনো বন্ধু আছে। এটা আমার দ্বিতীয় বাড়ির মতোই। আর আবাহনী এই অঞ্চলের একটা নামকরা ক্লাব। রুপুর ফোন পেয়ে ভেবে দেখলাম ২৯ নবেম্বরের পর আমি ফ্রি-ই আছি। আর এখানকার ফুটবলটা দেখারও ইচ্ছা ছিল আবার। আমার মনে হয়েছে আবাহনীকে আমি সাহায্য করতে পারব। আমার লক্ষ্যÑ আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করা। দলটা এখন তৈরি হচ্ছে। যতদূর জেনেছি কয়েকটি পজিশনে ভালমানের বিদেশী যোগ করলেই এটা আরও শক্তিশালী হবে’Ñ ৬৮ বছর বয়সী জর্জ কোটানের মন্তব্য এটি। নতুন মৌসুমে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের প্রধান কোচের দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন অস্ট্রিয়ান এই কোচ। শনিবার আসার কথা থাকলেও আসেননি। তবে সোমবার ভোরে স্ত্রীসহ হাঙ্গেরী থেকে তুর্কি এয়ারলাইন্সে বাংলাদেশে আসেন ২০০৩ সাফ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের এই কোচ। গত মৌসুমে ইরানী কোচ আলী আকবর পোরমুসলেমির জায়াগায় জর্জকে নতুন নিয়োগ দেয়া হলো। বাংলাদেশে অবস্থানকালে কোটান স্ত্রীসহ ধানম-িতে আবাহনীর ভাড়া করা একটি এ্যাপার্টমেন্টে থাকবেন বলে জানা গেছে। হাঙ্গেরিয়ান-অস্ট্রিয়ান জর্জ ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের কোচ ছিলেন। এরপর তিনি স্থানীয় ক্লাব মুক্তিযোদ্ধার কোচ ছিলেন। ২০০৫ সালে মুক্তিকে ফেডারেশন কাপও জিতিয়েছিলেন। আবাহনী ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু মনে করেন, বয়স বেশি হলেও কোটান তাঁর অভিজ্ঞতা দিয়ে দলের ভাল করার সাহায্য করবেন। এ বছরের জুলাই থেকে নবেম্বর পর্যন্ত জার্মানির তৃতীয় বিভাগের দল কুটেনগ্রুনের হয়ে কাজ করেন কোটান। ওই ক্লাবের মালিক ছিলেন কোটানের ভাল বন্ধু, তাঁর আগ্রহেই মূলত সময়টা দেন ওখানে। কোটান আরও বলেন, ‘আমি বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে আবারও কাজ করতে আগ্রহী। কারণ বাংলাদেশকে আমি সাহায্য করতে চাই। যদিও আমি যে এ দেশে আবারও এসেছি, তা মনে হয় বাফুফে জানেই না!’ আবাহনীতে তিন কারণে এসেছেন বলে জানান কোটানÑ ‘রুপুর সঙ্গে দারুণ বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, আবাহনী একটি প্রতিষ্ঠিত ক্লাব এবং এ দেশের প্রতি আমার আলাদা টান।’ হাঙ্গেরীর তিন ফরোয়ার্ডকে আবাহনীতে খেলাবেন বলে ঠিক করে রেখেছেন কোটানÑ ‘ওদের আমি ফেডারেশন কাপেই খেলাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সেটা আপাতত পিছিয়ে গেছে ফেডারেশন কাপ পিছিয়ে যাওয়ায়। ফেডারেশন কাপে খেললে ওখানেই ওদের ট্রায়াল হয়ে যেত। তখন আমার সুবিধা হতো লীগে ওদের আবাহনীর হয়ে রেজিস্ট্রেশন করাতে।’ আবাহনীর ম্যানেজার রুপু বলেন, ‘যদিও তিনি আমাদের ডাকে সাড়া দিয়ে আবাহনীর কোচ হয়ে এসেছেন, কিন্তু যদি কোটান বাংলাদেশ জাতীয় দলের কোচ হিসেবে ডাক পান, তাতে আমাদের কোন আপত্তি থাকবে না।’ কোটানের হৃদয় থেকে এখনও পুরোপুরি মুছে যায়নি বাংলাদেশ, সেটা তাঁর কথাতেই পরিষ্কার, ‘ভারত উন্নতি করেছে, পাকিস্তানও... তবে বাংলাদেশের ফুটবল নিয়ে খুব বেশি জানি না। ইন্টারনেটেও খুব বেশি জানা যায় না, মাঝে মাঝে হার বা ড্রয়ের খবর পাই।’
×