ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কেইপিজেডের ব্যাখ্যা

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ২২ ডিসেম্বর ২০১৪

কেইপিজেডের ব্যাখ্যা

গত ১৭ ডিসেম্বর দৈনিক জনকণ্ঠে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ব্যাপারে কোরিয়ান ইপিজেড কর্তৃপক্ষ একটি ব্যাখ্যা দিয়েছে। ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, ১৯৮২ সালের ভূমি অধিগ্রহণের আইনের আওতায় কেইপিজেডের জন্য যে জমি অধিগ্রহণ করা হয় তা ছিল শুষ্ক বালুর ঢিবি। এর কোন অর্থনৈতিক ব্যবহার ছিল না। ওই সময় ওই এলাকায় কোন জমি কেনা-বেচা হতো না। কেইপিজেডের জমির মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী এলাকার অধিক মূল্যবান কৃষি জমির দাম গ্রহণ করা হয়। ফলে ওই এলাকার জমির প্রকৃত মূল্যের চেয়ে কেইপিজেডের জমির মূল্য বেশি নির্ধারিত হয়। এখানে উল্লেখ্য, জেলা প্রশাসক আইনানুসারে নির্ধারিত সম্পূর্ণ জমির মূল্য বুঝে পাওয়ার পরই কেইপিজেডকে সম্পূর্ণ জমির দখল হস্তান্তর করে। কাজেই কেইপিজেডকে বিনামূল্যে জমি দেয়া হয়েছে অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ জোনে বিভিন্ন বিনিয়োগকারী কর্তৃক ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগসহ বাৎসরিক ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করে জোন উন্নয়নের কাজ করে চলেছে। তাছাড়া সম্পূর্ণ জোনের কাজ সমাপ্ত হলে এখানে ১ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিকের প্রত্যক্ষভাবে কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাই প্রতিবেদনে উল্লেখিত সাড়ে ১৩ লাখ কর্মসংস্থানের তথ্য সঠিক নয়। কেইপিজেডের কর্তৃপক্ষ পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক ইস্যুকৃত ছাড়পত্রের শর্তানুযায়ী জোনের উন্নয়ন কার্যক্রম করে চলেছে। এক্ষেত্রে কোন সময়ই শর্তের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি বা কেইপিজেডকে কোন প্রকার জরিমানাও করা হয়নি। বরং কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণ অঞ্চলকে সবুজায়নের পদক্ষেপ হিসেবে ১৭ লাখ বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষরোপণসহ ১৭টি কৃত্রিম জলাধার তৈরি করেছে, যা ৩৬০ মিলিঃ গ্যালন বৃষ্টির পানি ধারণ করতে সক্ষম। এর ফলে কেইপিজেডকে প্রধানমন্ত্রী কর্র্র্তৃক পুরস্কারও প্রদান করা হয়। কাজেই পরিবেশ রক্ষার্থে এতকিছু করার পরও পরিবেশ ভঙ্গের অভিযোগ বোধগম্য নয়। দীর্ঘ ১৫ বৎসর অতিক্রান্ত হলেও শুধু হস্তান্তর দলিল কেইপিজেডের নামে সম্পাদন না করার কারণেই দেশী ও বিদেশী কোন বিনিয়োগকারীকেই জোনে বিনিয়োগের জন্য আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হচ্ছে না। বোর্ড অব গবর্নরসের ১৬তম সভার সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্বাহী সেল কর্তৃক জেলা প্রশাসক চট্টগ্রামকে কেইপিজেডের অনুকূলে অধিগ্রহণকৃত সম্পূর্ণ জমির হস্তান্তর দলিল সম্পন্ন করার নির্দেশ প্রদান করা সত্ত্বেও তা অদ্যাবধি সম্পন্ন করা হয়নি। এত বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও কেইপিজেড এখন পর্যন্ত (ডিসেম্বর ২০১৪) ১০০০ একর ভূমির সফল উন্নয়নসহ ২০টি ফ্যাক্টরি বিল্ডিং (যার ফ্লোর স্পেস ২৫ লাখ বর্গফুট) নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। ২০১৬ সাল নাগাদ যা ৪৫ লাখ বর্গফুটে পৌঁছাবে। এছাড়াও ২৫ কিমি দীর্ঘ রাস্তাসহ ৫ কিমি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কাজেই কোন প্রকার কাজ হয়নি কেইপিজেডে মর্মে যে রিপোর্টটি প্রকাশ করা হয়েছে, তা সত্যি নয়।
×