ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বাশারকে অনিচ্ছাকৃত সহায়তা বন্ধ লক্ষ্য সিরিয়ায় মার্কিন মিত্রদের বিমান হামল

প্রকাশিত: ০৫:১৬, ২০ ডিসেম্বর ২০১৪

বাশারকে অনিচ্ছাকৃত সহায়তা বন্ধ লক্ষ্য সিরিয়ায় মার্কিন  মিত্রদের বিমান  হামল

মার্কিন জঙ্গী বিমানগুলো সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গীদের লক্ষ্যবস্তুগুলোতে বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছে। কিন্তু ওয়াশিংটনের জোট মিত্রদের এ বিমান অভিযান থেকে দৃশ্যত ক্রমেই দূরে থাকতে দেখা যাচ্ছে। খবর ওয়েবসাইটের। মার্কিন সামরিক উপাত্তে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তিন মাস আগে সিরিয়ায় ওয়াশিংটন ও আরব মিত্রদের যৌথ বিমান অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেন। ডিসেম্বরে প্রায় ৯৭ শতাংশ বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। উপাত্যে দেখা যায়, মার্কিন মিত্ররা সিরিয়ায় ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে বিমান হামলা চালিয়েছে মাত্র দু’বার এবং যুক্তরাষ্ট্র চালিয়েছে ৬২ বার। সেপ্টেম্বরে এ অভিযান শুরু হওয়ার অল্প কয়েকদিন পর থেকেই বিমান হামলার সংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। মার্কিন মিত্ররা সেপ্টেম্বরে বিমান হামলা চালিয়েছে ৩৮ শতাংশ। এ শতাংশ অক্টোবরে দ্রুত প্রায় ৮ শতাংশে নেমে আসে এবং নবেম্বরে নেমে আসে ৯ শতাংশে। বিমান হামলার সংখ্যা হ্রাসে জোটের উদ্যোগ রোধে উৎসাহী মার্কিন কর্মকর্তারা। কয়েকটি জোট মিত্রের অনেক দিন ধরেই উদ্বেগে রয়েছে যে, এ বিমান হামলার মাধ্যমে একটি অভিন্ন শত্রুকে আঘাত করে সিরীয় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে অনিচ্ছাকৃতভাবে সহায়তা করা হচ্ছে হয়ত। সূত্র জানায়, এ অঞ্চলে অন্যান্য দেশের পক্ষ থেকেও গোপনে বলা হচ্ছে, সুন্নি চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানের প্রয়োজন সুন্নি মুসলিমদের সহায়তার জন্য আরও কিছু করা। তারপরও, যুক্তরাষ্ট্র ও এ অঞ্চলের কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলছেন, জোটের মধ্যে উত্তেজনার কারণে জোটের হামলা রোধে কোন উদ্যোগ নেয়া সম্ভব নয়। জোটে উপসাগরীয় কৌশলের সঙ্গে পরিচিত এক সূত্র জানায়, এটা হচ্ছে, লক্ষ্যবস্তুর প্রশ্ন। সামরিক অবস্থানগত দিক থেকে সহযোগিতা রয়েছে ব্যাপক ও গভীর। মার্কিন কর্মকর্তা ও উপসাগরীয় সূত্র জানায়, বোমা হামলা শুরুর তিন মাস পর এখানে দুটো বিষয় কাজ করছে। একটি হচ্ছে, সামগ্রিকভাবে বিমান হামলার গতির হ্রাস এবং অন্যটি হচ্ছে, নির্দিষ্ট আইএস জঙ্গীদের লক্ষ্যবস্তুতে সহজে হামলা চালানোর সংখ্যা কিছুটা হ্রাস। এ ধরনের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে অভিযানের প্রথম দিকে বোমা হামলা চালিয়েছিল বাহরাইন, জর্দান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, আক্রমণের নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তু রয়েছে বেশ কম সংখ্যক।
×