ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অসহায় শিশুদের জন্য ভাতা চালুর কথা ভাবছে সরকার

প্রকাশিত: ০৪:৫৯, ২০ ডিসেম্বর ২০১৪

অসহায় শিশুদের জন্য ভাতা চালুর কথা ভাবছে  সরকার

অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান বলেন, অসহায় শিশুদের জন্য ভাতা চালু করা যায় কিনা বিষয়টি চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করা হবে। একই সঙ্গে যাঁরা শিশুদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন তাঁদের পরামর্শ ও সুপারিশ গ্রহণ করা হবে। অর্থ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শিশুবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। অসহায় শিশুদের ভাতা চালু করার বিষয়টি যদিও কঠিন, তবে একেবারে অসম্ভব নয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থাগুলোকে কাজে লাগানো যায় কিনা তা বিবেচনা করা হবে। আগামী বাজেটে বিষয়টি চালু করার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। এএসডির নির্বাহী পরিচালক জামিল এইচ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন সংস্থার উপ-নির্বাহী পরিচালক মোজাম্মেল হক। বক্তব্য রাখেন বিল্সর সহকারী নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দীন আহমেদ, শিশু সুরক্ষা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ শরফুদ্দিন খান, শিশু অধিকার ফোরামের পরিচালক আব্দুস শহীদ মাহমুদ প্রমুখ। উল্লেখ্য, ব্রেড ফর দি ওয়ার্ল্ড- জার্মানীর আর্থিক সহযোগিতায় এএসডি গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুদের সুরক্ষা ও পথশিশুদের নিরাপদ আশ্রয় প্রদানের লক্ষ্যে রাজধানীতে ‘ডেভেলপমেন্ট অব চিলড্রেন এ্যাট হাই রিস্ক’ নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। অনুষ্ঠানে আরও বলা হয়, দেশে চার লক্ষাধিক শিশু গৃহকর্মে নিয়োজিত। এদের ৮৩ শতাংশই মেয়ে শিশু। এই শিশুদের বয়স ৫-১৮ বছর।। গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুরা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে দৈনিক গড়ে ১৫ ঘণ্টা কাজ করে থাকে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বেসরকারী সংস্থা এসিস্ট্যান্স ফর স্লাম ডুয়েলার্স (এএসডি) আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানে এএসডি, আইএলও, ইউনিসেফ, বিল্্স ও বিএসএএফ কর্তৃক পরিচালিত গবেষণা প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জানানো হয়, অধিকাংশ গৃহকর্মী তিন বেলা খাবার পেলেও খাবারের পুষ্টিমান অত্যন্ত নি¤œ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তারা পচা-বাসি খাবার পেয়ে থাকে এবং সময়মতো খেতেও পারে না। শিশুদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা খুবই কম। বর্তমানে এদের গড় মাসিক মজুরি ৫০৯ টাকা। অনুষ্ঠানে গৃহকর্মে শিশুরা নিয়োজিত হওয়ার পেছনে অর্থনৈতিক অসহায়ত্ব, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য, গ্রাম ও শহরের মধ্যে অর্থনৈতিক কর্মসূচীর ব্যাপক ফারাক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বৈষম্য, পিতা-মাতার শিক্ষা ও সচেতনতার অভাবকে দায়ি করা হয়। অনুষ্ঠানে গৃহকর্মকে আনুষ্ঠানিক সেক্টর হিসেবে স্বীকৃতি, গৃহকর্মে নিয়োজিত শিশুশ্রমকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা, খসড়া গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি জরুরীভিত্তিতে চূড়ান্ত করা, পথশিশুদের স্থায়ী পুনর্বাসনের লক্ষ্যে সাধারণ ও কারিগরি শিক্ষার ব্যবস্থা করা, পথশিশুদের জন্য রাত্রিকালীন আবাসনের ব্যবস্থাসহ নয়টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়। -বিজ্ঞপ্তি
×