ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নানিয়ারচরে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ পরিবার খোলা মাঠে

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

নানিয়ারচরে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৪ পরিবার খোলা মাঠে

নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঙ্গামাটি, ১৮ ডিসেম্বর ॥ রাঙ্গামাটি জেলার নানিয়ারচরের তিন পাহাড়ি পল্লীতে ঘর পুড়ে যাওয়া ৫৪ পরিবারের সদস্যরা কনকনে শীতের মধ্যে তিন দিন ধরে খোলা আকাশের নিচে রাত যাপন করছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও পাহাড়িরা ক্ষোভে ও আতঙ্কে দিনাতিপাত করছে। বাঙালীরা তাদের সোনালি ফসল আনারস ঘরে তোলার সময় একবারে ধ্বংস হওয়ায় অনেকেই মাথায় হাত। আগামীতে কি করবে তা চিন্তা করে দিন গুজরান করছে। এদিকে পাহাড়িরা তাদের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি নির্মাণ ও তাদের জীবনের নিরাত্তার দাবি করে স্থানীয় প্রশাসনের দেয়া ত্রাণসামগ্রী গ্রহণ করনি। এর ফলে বিষয়টি আরও জটিল হয়ে পড়েছে। এ ব্যাপারে সরকারীভাবে গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও নানিয়ারচর উপজেলা চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এলাকার পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসছে বলে জানান। আজ ভৈরব মুক্ত দিবস নিজস্ব সংবাদদাতা, ভৈরব, ১৮ ডিসেম্বর ॥ ১৯ ডিসেম্বর ভৈরব মুক্ত দিবস। স্বাধীনতার রক্ত সূর্য উদয় ও বিজয় দিবস ১৬ ডিসেম্বর হলেও ভৈরব শহর শত্রুমুক্ত হয়েছিল ১৯ ডিসেম্বর। ’৭১-এর এই দিন পাক সেনারা তাদের হাইকমান্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা আত্মসমর্পণ করে। এর আগে ভৈরবে অবস্থানরত পাকসেনারা বিশ্বাস করতে পারছিল না, তারা পরাজিত হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর রেডিওতে ঘোষণার তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও তারা ১৯ ডিসেম্বর মিত্রবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট আত্মসমর্পণ করে। ১৪ এপ্রিল ’৭১ পাকসেনাদের হাতে বন্দরনগরী ভৈরব শহরের পতন ঘটেছিল। শহরটি দখল করার আগে হানাদাররা ভৈরবে হিংস্র তাণ্ডবলীলার মাধ্যমে অসংখ্য নারী-পুরুষ, শিশু, যুবক ও বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে। শহরটি দখল করার আগ মুহূর্তে স্থানীয় আলগড়া নামক খেয়া ঘাটে প্রাণ ভয়ে পলায়নরত অপেক্ষমাণ নিরস্ত্র, নিরপরাধ প্রায় ৫০০ মানুষকে গুলি করে হত্যা করে। ১৪ ডিসেম্বর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ভৈরব শহরকে ঘিরে রাখে। তখন হানাদার বাহিনী ও আলবদর রাজাকাররা শহরের উপকণ্ঠে বন্দী জীবনযাপন করতে থাকে। তারা খাদ্যের অভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়ে। তারপরও পাকসেনারা ১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণ করেনি।
×