ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ;###;শনিবার ফাইনাল

রিয়ালের প্রতিপক্ষ লরেঞ্জো

প্রকাশিত: ০৬:১৮, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

রিয়ালের প্রতিপক্ষ লরেঞ্জো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম সেমিফাইনালে ক্রুজ আজুলকে হারিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ফাইনালের টিকেট নিশ্চিত করে রেখেছিল আগেই। বুধবার প্রতিপক্ষও পেয়ে গেল তারা। ক্লাব বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে এদিন রাতে নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটিকে হারিয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে উঠে সান লরেঞ্জো। এদিন তারা ২-১ গোলে হারায় অকল্যান্ড সিটিকে। এর ফলে শনিবার মারাকেশ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে এই দুই দল। দ্বিতীয় দল হিসেবে ফাইনালে উঠার লড়াইয়ে বুধবার রাতে অকল্যান্ড সিটির মুখোমুখি হয়েছিল সান লরেঞ্জো। গ্যালারিতে উপস্থিত হয়েছিলেন প্রায় সাড়ে একুশ হাজার সমর্থক। তবে প্রথমে সান লরেঞ্জোই গোলের দেখা পায়। ৪৬ মিনিটে প্রথম গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সান লরেঞ্জোর পাবলো বারিয়েনটোস। তবে তাদের এগিয়ে থাকার উচ্ছ্বাস বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৭ মিনিটে অকল্যান্ডকে সমতায় ফেরান এ্যাঞ্জেল বারলেঙ্গা। তারপর দুই দলই গোল করতে মরিয়া হয়ে উঠে। কিন্তু কোন দলই গোলের দেখা পায়নি। নির্ধারিত নব্বই মিনিট শেষ হয় ১-১ ব্যবধানে সমতায়। তবে অতিরিক্ত সময়ের ৯৩ মিনিটেই জয়সূচক গোলের দেখা পায় লরেঞ্জো। অকল্যান্ড সিটির বিপক্ষে দুর্দান্ত এক গোল করে আর অসাধারণ এই মুহূর্তটি লরেঞ্জোকে এনে দেন মাওরো মাটোস। এর আগে ক্লাব বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে বড় ব্যবধানে জয় পায় রিয়াল মাদ্রিদ। মঙ্গলবার ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা ৪-০ গোলে উড়িয়ে দেয় ক্রুজ আজুলকে। কিন্তু সেই ম্যাচে গোলের দেখা পাননি দলের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। তবে সেমিতে গোল না পেলেও ফাইনালে ঠিকই সেই কাজটা করতে চান তিনি। ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে তার কোচ কার্লো আনচেলত্তিই তা বলে দিয়েছেন। মঙ্গলবার মরক্কোর মারাকেশ স্টেডিয়ামে দুই অর্ধে দুবার করে মেক্সিকোর দল ক্রুজ আজুলের জালে বল পাঠায় রিয়াল। বড় ব্যবধানে জেতা সেই ম্যাচে একটি করে গোল করেন গ্যারেথ বেল, ইসকো, সার্জিও রামোস ও করিম বেনজেমা। সি আর সেভেন গোল না করলেও বেল আর ইসকোর গোলে অবদান রেখেছেন। তাই কার্লো আনচেলত্তি তার প্রশংসা করেছেন। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ক্রিশ্চিয়ানো খুব ভাল খেলেছে। সে আমাদের অনেক সহায়তা করেছে। গোল না পেলেও ম্যাচে খুব কার্যকরী ছিল। সে অবশ্যই একটি গোল ফাইনালের জন্য জমিয়ে রেখেছে। আজুলের বিপক্ষে একটি পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদের জন্য কাজটা অনেক সহজ করে দেন অভিজ্ঞ কোচ ইকার ক্যাসিয়াস। যে কারণে স্পেনের এই অভিজ্ঞ গোলরক্ষকেরও ভূয়সী প্রশংসা করেন সাবেক প্যারিস সেইন্ট জার্মেইর কোচ কার্লো আনচেলত্তি। ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো কিংবা গ্যারেথ বেলের পাশাপাশি বর্তমান রিয়ালের সেরা তারকা জেমস রড্রিগুয়েজও। ব্রাজিল বিশ্বকাপে চমক দেখিয়েই স্প্যানিশ ক্লাবে জায়গা করে নেন সাবেক পিএসজির এই তারকা। বিশ্বকাপের ২০তম আসরে পাঁচ ম্যাচ খেলেই প্রতিপক্ষের জালে ছয়বার বল জড়ান তিনি। শুধু তাই নয়, সতীর্থদের দিয়ে দুটি গোল করাতেও রাখেন বড় ভূমিকা। কিন্তু চোটের কারণে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলতে পারেননি তিনি। তবে শনিবারের ফাইনালে জেমস রড্রিগুয়েজ খেলবেন বলে আশা করছেন কোচ আনচেলত্তি।’ নেমে গেল ওল্ড ডিওএইচএস স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এক এক করে টানা ১২ ম্যাচে হেরে প্রিমিয়ার ডিভিশন থেকে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে নেমে গেছে ওল্ড ডিওএইচএস। দলটি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগের রেলিগেশন লীগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছে। অসাধারণ নৈপুণ্য দেখিয়েছেন স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। একাই ৫ উইকেট নিয়েছেন। তার এ বোলিং দ্যুতিতে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রও বড় জয় পেয়েছে। ম্যাচটি হয় বিকেএসপিতে। আগে ব্যাট করে ওল্ড ডিওএইচএস। কুয়াশার জন্য ৩০ ওভার করে খেলা হয়। ২৯.১ ওভারে ১১৫ রান করতেই অলআউট হয়ে যায় ওল্ড ডিওএইচএস। নেহাদুজ্জামান সর্বোচ্চ ৩০ রান করতে সক্ষম হন। রাজ্জাক ৫টি ও পেসার শাহাদাত হোসেন ৩টি উইকেট নিয়ে ওল্ড ডিওএইচএসের ইনিংস ধসে দেন। এই রান তুলে নিতে ২৩.১ ওভার খেলতে হয় কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে। ২ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করেই জিতে যায় দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪৬ রান করেন ওপেনার নাসিরুদ্দিন ফারুক। শামসুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। স্কোর ॥ কলাবাগান ক্রীড়া চক্র-ওল্ড ডিওএইচএস ম্যাচ ওল্ড ডিওএইচএস ইনিংস ১১৫/১০; ২৯.১ ওভার (নেহাদুজ্জামান ৩০, সিদ্দিক ২৭; রাজ্জাক ৫/২০, শাহাদাত ৩/২১)। কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ইনিংস ১১৬/২; ২৩.১ ওভার (ফারুক ৪৬*, শামসুর ২২, জুপিটার ১৯, চিগুম্বুরা ১৬*)। ফল ॥ কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচসেরা ॥ আব্দুর রাজ্জাক (কলাবাগান ক্রীড়া চক্র)।
×