ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

গান্ধীর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি হামিদের শ্রদ্ধা

প্রকাশিত: ০৫:৫৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

গান্ধীর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি হামিদের শ্রদ্ধা

বিডিনিউজ ॥ প্রায় তিন দশকের মধ্যে প্রথম বাংলাদেশী রাষ্ট্রপতি হিসেবে ভারত সফরে গিয়ে বিমানবন্দরে উষ্ণ অভ্যর্থনা পেলেন মোঃ আবদুল হামিদ। বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে নয়াদিল্লীর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান রাষ্ট্রপতি। বিমানবন্দরে আবদুল হামিদকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ভিকে সিং, বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন। পরে আবদুল হামিদকে মোটর শোভযাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হয় নয়াদিল্লীর রাষ্ট্রপতি ভবনে। নয়াদিল্লীতে রাষ্ট্রপতি সেখানেই অবস্থান করবেন। ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জীর আমন্ত্রণে এমন এক সময়ে আবদুল হামিদ প্রতিবেশী এই দেশে সফরে গেলেন, যখন স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে একটি বিল ভারতীয় পার্লামেন্টে প্রক্রিয়াধীন। ছয় দিনের এই সফরে দিল্লী ছাড়াও আগ্রা, জয়পুর ও কলকাতায় যাবেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি। তার স্ত্রী রাশিদা খানমও সঙ্গে রয়েছেন। রাষ্ট্রপতির সফরসঙ্গীদের মধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও রয়েছেন। গত মে মাসে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান সেদেশের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, রাষ্ট্রপতি তার ভারত সফরে প্রণব মুখার্জি ছাড়াও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, উপরাষ্ট্রপতি হামিদ আনসারি, লোকসভার স্পীকার সুমিত্রা মহাজন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ, রাজ্যসভায় বিরোধীদলীয় নেতা গোলাম নবী আজাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে আবদুল হামিদের বৈঠক হবে শুক্রবার। সেদিন ভারতের রাষ্ট্রপতির দেয়া নৈশভোজেও তিনি অংশ নেবেন। সফর শেষে ২৩ ডিসেম্বর দেশে ফেরার কথা রয়েছে আবদুল হামিদের। সর্বশেষ ১৯৮৬ সালের জুলাই মাসে তখনকার রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভারত সফর করেন। এরপর দীর্ঘ সময়ে বাংলাদেশের আর কোন রাষ্ট্রপতি প্রতিবেশী দেশটিতে সফরে যাননি। গান্ধীর সমাধিতে ফুলেল শ্রদ্ধা ॥ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে নয়া দিল্লীর রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর ‘সমাধি’তে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি। আবদুল হামিদ এ সময় মহাত্মা গান্ধীর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। রাষ্ট্রপতি রাজঘাটে পৌঁছলে ‘রাজঘাট সমাধি কমিটির সেক্রেটারি রাজনিশ কুমার তাকে স্বাগত জানান। পরে রাষ্ট্রপতি সমাধি পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন। রাষ্ট্রপতি সেখানে লেখেন, ‘বাপুজি মহাত্মা গান্ধী শুধু ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা নন। তিনি বহুজাতি ও দেশের মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে শোষণের বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রামও গান্ধীজির কাছ থেকে প্রেরণা পেয়েছে। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি আততায়ীর গুলিতে নিহত হন মোহন দাস করমচাঁদ গান্ধী, যিনি মহাত্মা গান্ধী নামেই বিশ্বব্যাপী পরিচিত। রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
×