ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৩:৫১, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৪

সম্পাদক সমীপে

মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নয় [email protected] শ্রদ্ধাঞ্জলি বাংলা চলচ্চিত্রের উজ্জ্বল নক্ষত্র খলিল উল্লাহ খান (খলিল) আর আমাদের মাঝে নেই। গত ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। ভারতের মোদিনীপুরে জন্মগ্রহণকারী খলিল উল্লাহ খান বাবার চাকরির সুবাদে ১৯৫০ সালে সপরিবারে সিলেটে আসেন। বাংলা ও উর্দু মিলিয়ে প্রায় ৮০০ ছবিতে নিপুণভাবে অভিনয় করেন। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতিতে শোকের ছায়া নেমে আসে। তাঁর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ও মহামান্য রাষ্ট্রপতি গভীর শোক প্রকাশ করেন। তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হন। তাঁর মৃত্যুতে জাতি হারাল এক অকুতভয় বিরল সুনিপুণ এক গুণী চলচ্চিত্র শিল্পীকে, যা কোনদিন পূরণ হবার নয়। গত ৮ ডিসেম্বর তাঁর জানাজা শেষে সলিম উল্লাহ খান রোডে তাকে সমাহিত করা হবে। আমরা তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানাই এবং তার বিদেহী আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করি। রণজিত মজুমদার সোনাগাজী, ফেনী। সীমান্তের মানুষের বেদনা-কাব্য কিছুদিন আগে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার কোচল সীমান্তে কুলিক নদীর পাড়ে ‘পাথর কালীর মেলা’ হয়ে গেল। এবারও প্রতিবছরের মতো দুই বাংলার স্বজনরা মেতেছিল ভিন্ন মাত্রায়। উপমহাদেশ ভাগাভাগির পর মেলাটি বাংলাদেশ অংশে পড়লেও ভারতীয়রাও এতে অংশ নিয়ে আসছে। মেলার সময় কাঁটাতারের দুই পাশ থেকে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বঙ্গের নাগরিকরা স্বজনদের কাছে পেয়ে বড্ড আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে। কেউ বা দীর্ঘদিন পরে দেখা হওয়ার আবেগে কান্নায় ভেঙেও পড়েন। অথচ এরা সবাই যে বাঙালী। এই দেখা করার সুযোগটুকু তারা পান বছরে একবারই দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মেলা চলাকালীন সময়ের মধ্যে। হরিপুর এলাকা ভ্রমণ করে এক বৃদ্ধের মুখে এ-ও শুনলাম, ‘প্রায় ৪০ বছর আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে পশ্চিম বাংলার রায়গঞ্জ জেলায়। আমরা গরিব মানুষ পাসপোর্ট ভিসা করতে পারি না। তাই মেয়ের দেখা পাইনি প্রায় ৪০ বছর ধরে। এবার কুলিক নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা পেলাম মেয়ে, জামাই, নাতিদের। দুঃখ কী জানেন, ওদের হাতটুকু পর্যন্ত ঠিকমতো স্পর্শ করতে পারিনি। কাঁটাতারের ফাঁকফোকর দিয়ে নাতিদের মিষ্টি ও জামা-কাপড় দিয়েছি। এ দুঃখ শুধু আমার নয়, দুই বাংলার সীমান্তের ৯৫ ভাগ লোকেরই। অনুশোচনাসহকারে বৃদ্ধ আরও জানালেন, আমাদের দুঃখ কে বুঝবে- ব্যথিতের ব্যথা বোঝার যে কেউ নেই এই পৃথিবীতে। বাংলা ভাগের খেসারত যে দিচ্ছি আমরা। পা রয়ে গেল ওপারে হাত চলে এলো এদিকে- এটাতো সাধারণ মানুষ কখনও চায়নি। বড় বড় নেতারা তাদের স্বার্থেই সেদিন বাংলা ভাগ করে নিজেদের ষোল আনা বুঝে নিয়েছিল। এপার বাংলা থেকে ওপার বাংলার আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সহজ ব্যবস্থা কী তারা করে দিতে পারেন না? লিয়াকত হোসেন খোকন রূপনগর, ঢাকা।
×