ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আইপিওতে বিদেশীরাও আবেদন করতে পারবেন

প্রকাশিত: ০৫:৫৫, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪

আইপিওতে বিদেশীরাও আবেদন করতে পারবেন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কোন কোম্পানির প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে (আইপিও) বিদেশী বিনিয়োগকারীরা আবেদন করতে পারবেন। স্থানীয় ও অনিবাসী বাংলাদেশীদের পাশাপাশি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিওর একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ শেয়ার কোটা হিসেবে রাখা হচ্ছে। এক মাসের মধ্যে ‘পাবলিক ইস্যু বিধিমালা ২০০৬’ সংশোধনের মাধ্যমে আইপিওর কোটা পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। কমিশন সূত্রটি আরও জানায়, চলতি মাসের মধ্যে অথবা আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথমার্ধে পাবলিক ইস্যু বিধিমালা সংশোধনের খসড়া চূড়ান্ত করা হবে। এর পর জনগণের মতামতসাপেক্ষে প্রয়োজনে আরও সংশোধনের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। ওই সংশোধনীতে প্রাইমারি শেয়ারবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে প্রতিটি আইপিওতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য কোটা রাখা হচ্ছে। বর্তমানে কোন আইপিও সাইজের ২০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের, ১০ শতাংশ অনিবাসী বাংলাদেশী, ১০ শতাংশ মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও অবশিষ্ট ৬০ শতাংশ সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখার বিধান রয়েছে। বিদ্যমান ব্যবস্থার পরিবর্তন এনে আইপিও সাইজের ১০ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য কোটা রাখা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ শেয়ারের পরিমাণ কমতে পারে। অথবা ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ শেয়ার একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর কোটা বাতিল করা হতে পারে। প্রাইমারি বাজারে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ বাড়ানোর অংশ হিসেবে কমিশন আইপিওর বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি ঢেলে সাজাতে চায়। এক্ষেত্রে মিউচ্যুয়াল ফান্ড, বিদেশী বিনিয়োগকারীসহ বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের একটি আইপিওর সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বরাদ্দের জন্য পাবলিক ইস্যু বিধিমালার সংশোধনীতে প্রস্তাব দেয়া হতে পারে। এদিকে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ (পাবলিক ইস্যু) বিধিমালা, ২০০৬ সংশোধনীতে যে কোন আইপিও অনুমোদনের ক্ষেত্রে স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাথমিক অনুমোদন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। অর্থাৎ স্টক এক্সচেঞ্জের সম্মতি ছাড়া কোন কোম্পানি বিএসইসিতে আইপিও আবেদন করতে পারবে না। তবে বিধানটি চূড়ান্ত হওয়ার আগে দক্ষ জনবলের সমন্বয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সক্ষমতা বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে মনে করেন বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তারা। এজন্য স্টক এক্সচেঞ্জকে আরও ক্ষমতা দেয়া হবে, যাতে আইপিওর প্রাথমিক আবেদন পাওয়ার পর আবেদনকারী কোম্পানির কার্যালয় ও কারখানা সরেজমিনে পরিদর্শন এবং তার আর্থিক হিসাবের যথার্থতা ও আনুষঙ্গিক ঘোষণা বিষয়ে অনুসন্ধান করতে পারে। স্টক এক্সচেঞ্জ সংশ্লিষ্ট কোম্পানিকে ‘তালিকাভুক্ত করার যোগ্য’ ঘোষণা না করা পর্যন্ত আইপিও আবেদন বিবেচনা করা থেকে কমিশন বিরত থাকবে। একই সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জের তালিকাভুক্তি বিধিমালায়ও সংশোধন আনা হবে বলে জানা গেছে। প্রসঙ্গত, কমিশন কর্তৃক আইপিও অনুমোদনের পর বিভিন্ন সময়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চলতি বছর ফার কেমিক্যাল কোম্পানির তালিকাভুক্তির অনুমোদন পাওয়ার পরও সেকেন্ডারি শেয়ারবাজারে লেনদেন বিলম্বে শুরু হয়।
×