ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

খালেদা ফের যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চাইলেন

প্রকাশিত: ০৫:১১, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪

খালেদা ফের যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ চাইলেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডব্লিউ মজেনা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তাঁর গুলশানের বাসভবনে সাক্ষাত করতে গেলে তিনি তাঁর মাধ্যমে বাংলাদেশের নির্বাচনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বলে জানা গেছে। বুধবার বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাত করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজেনা। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়। তবে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়া মার্কিন রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে দেশে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচন দাবি করেন। এ সময় তিনি মার্কিন দূতকে বলেন, ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। গুম, খুন, অত্যাচার, নির্যাতনের মাধ্যমে আজ জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থার অবসানে সকল দলের অংশগ্রহণে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দরকার। এ জন্য আপনার মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। জানা গেছে, খালেদা জিয়ার এসব কথার জবাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান আগেও যা ছিল এখনও তাই রয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কথা আগেই জানানো হয়েছে। অবস্থানের কোন পরিবর্তন হয়নি। তবে সরকারের সঙ্গে সংলাপের মধ্য দিয়ে সমস্যার সমাধানের আহ্বান জানান মজেনা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। রওশন এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাত ॥ এর আগে বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। বুধবার বিকেল চারটার দিকে রওশন এরশাদের বাসভবনে যান সাক্ষাত করতে। সেখানে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক চলে। বৈঠকের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ তাজুল ইসলাম বলেন, জিএসপি, গার্মেন্টস খাতসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বৈঠকে রওশন এরশাদকে জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে দৃঢ়। তাজুল ইসলাম উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মার্কিন রাষ্ট্রদূত একটি লাইনও উচ্চারণ করেননি বৈঠকে। রওশন এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাত শেষে ড্যান মজেনা সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক এখন সবচেয়ে দৃঢ়। এটি কোন কূটনৈতিক ভাষ্য নয়, একেবারে সত্যি কথা। এর অংশীদার হতে পেরে তিনি নিজেও গর্বিত বলে উল্লেখ করেন। বৈঠক শেষে বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের বলেন, তিনি বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় ঘুরেছেন। সেখানে তাঁর অভিজ্ঞতা বিরোধীদলীয় নেতার কাছে বর্ণনা করেন। দু’জনের মধ্যে ভাল আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশ স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা খাতে উন্নতি করছে। এসব প্রসঙ্গও আলোচনায় উঠে এসেছে।
×