ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

পুনঃঅর্থায়নের দ্বিতীয় কিস্তির ৩শ’ কোটি টাকা ছাড়

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

পুনঃঅর্থায়নের দ্বিতীয় কিস্তির ৩শ’ কোটি টাকা ছাড়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের সহায়তায় পুনঃ অর্থায়নের আওতায় ৯শ’ কোটি টাকা তহবিলের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। আগের ঘোষণা অনুসারে এ কিস্তিতে ৩শ’ কোটি টাকা ছাড় করা হবে। রবিবার অর্থ মন্ত্রণালয় দ্বিতীয় কিস্তির টাকা ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আজ সোমবারের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এ বিষয়ে চিঠি দেবে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাড় করবে। অর্র্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। পুঁজিবাজারে ২০১০ সালের ধসের পরিপ্রেক্ষিতে ৯শ’ কোটি টাকার প্রণোদনা তহবিল গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তিন কিস্তিতে এ তহবিলের অর্থ ছাড় করার কথা। প্রতি কিস্তিতে ছাড় করার কথা ৩শ’ কোটি টাকা। গত বছরের আগস্ট মাসে প্রথম কিস্তির ৩শ’ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছিল। এর আগে সম্প্রতি পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুনঃ অর্থায়ন তহবিলের প্রথম কিস্তির ৩শ’ কোটি টাকা বণ্টন শেষ হয়েছে। গত ৩০ জুন পর্যন্ত আইসিবি ওই তহবিল থেকে ১৫টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসকে ২৯৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ১১টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ৪টি ব্রোকারেজ হাউস। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট ১০ হাজার ৫৬৮ ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারী রয়েছেন। আইসিবির সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, পুনঃ অর্থায়ন তহবিল থেকে ১৫টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসকে ২৯৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে দেয়া হয়েছে ২৪৩ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে দেয়া হয়েছে ৫৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এখনও ৬০ কোটি ৭১ লাখ টাকার বণ্টন প্রক্রিয়াধীন । এ ছাড়া আরও ৪১৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দের জন্য আবেদন ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউস ১০৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা নেয়ার জন্য আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছে। বরাদ্দ দেয়া ১৫ প্রতিষ্ঠান ও বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ হলো - গ্রীনল্যান্ড ইক্যুইটিকে ১.১১ কোটি টাকা, আইসিবি ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টকে ৮৪.৯৮ কোটি, বিএসএমএল ইনভেস্টমেন্টকে ৮.০৪ কোটি, আইআইডিএফসি সিকিউরিটিজকে ২০.১৫ কোটি, বাঙ্কো ফাইন্যান্সকে ২.৯৩ কোটি, আইআইডিএফসি ক্যাপিটালকে ৪.৭০ কোটি, ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটিজকে ১৫.৯৯ কোটি, জনতা ক্যাপিটালকে ৪০.৭৮ কোটি, ফারইস্ট স্টক এ্যান্ড বন্ডকে ১৮.৭০ কোটি, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টকে ৭.৪১ কোটি, লঙ্কা-বাংলা ইনভেস্টমেন্টকে ১০.৯০ কোটি, সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটালকে ৭.৭৭ কোটি, প্রাইম ফাইন্যান্স ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্টকে ১৬.৫৫ কোটি, আইসিবিকে ৫৬.৬৭ কোটি ও জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানিকে ৩.৬৫ কোটি টাকা।
×