ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে লেনদেন বাড়ল ৪৬ শতাংশ

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

পুঁজিবাজারে লেনদেন  বাড়ল ৪৬ শতাংশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রধান বাজার ঢাকা স্টক একচেঞ্জের নতুন সফটওয়ার চালুর দ্বিতীয় দিনেও সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে বেশিরভাগ কোম্পানির দর কমার কারণে সূচকের পতন হলেও ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। ঢাকার বাজারের মতো অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকেরই পতন ঘটেছে। রবিবারে ঢাকা স্টক একচেঞ্জের বেশ কিছু ব্রোকার হাউস ঘুরে দেখা গেছে। নতুন সফটওয়ারের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে অনুমোদিত প্রতিনিধিদেরও কিছুটা হিমশিম খেতে হচ্ছে। দ্বিতীয় দিনেও বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিন ধরে অটলটের কারণে আটকে থাকা শেয়ার বিক্রি বা কিনতে বেশি দেখা গেছে। তবে এর বাইরে গত কিছুদিন ধরে অব্যাহতভাবে চাহিদায় থাকা কোম্পানিগুলোরও প্রাধান্য দেখা গেছে। তবে প্রযুক্তি খাতের অগ্নি সিস্টেম নামের কোম্পানিতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহী বেশি দেখা গেছে। বাজার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ডিএসইতে ২০০ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ১৩৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ লেনদেন বেড়েছে ৬৩ কোটি টাকার। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন চালু করা অত্যাধুনিক সফটওয়ারে লেনদেনে বিনিয়োগকারীদের অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে। আর বিনিয়োগকারীরা নতুন পদ্ধতি ভালোভাবে বুঝলেই লেনদেনও বেড়ে যাবে। ডিএসই প্রধান মূল্য সূচক বা ডিএসই এক্স সূচক ৪০ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৮৯২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে এক হাজার ১৫০ পয়েন্টে। আর ডিএস৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮০৮ পয়েন্টে। ডিএসইতে মোট লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩০৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১০৩টি কোম্পানির। আর দর কমেছে ১৭০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৩টির। ডিএসইতে খাতভিত্তিক লেনদেনের সেরা স্থান দখল করেছে বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলো। সারাদিনে খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩০ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১৫ দশমিক ২৫ ভাগ। দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল ওষুধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানিগুলো। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২৫ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১২ দশমিক ৩৮ ভাগ। সার্বিক লেনদেনের তৃতীয় অবস্থানে ছিল জ্বালানি এবং শক্তি খাতের কোম্পানিগুলো। খাতটির মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২২ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ১১ দশমিক ২০ ভাগ। এছাড়া ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে অগ্নি সিস্টেমসের শেয়ার। এরপরে রয়েছে - আরএন স্পিনিং, সামিট পোর্ট অ্যালায়েন্স, গ্রামীণফোন, বেক্সিমকো ফার্মা, কেয়া কসমেটিকস, বেক্সিমকো, তুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম এবং স্কয়ার ফার্মা। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : মিরাকল ইন্ড্রাস্টিজ, ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ, সুহৃদ ইন্ড্রাস্টিজ, অগ্নি সিস্টেম, হামিদ ফেব্রিক্স, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, বিআইএফসি, কেয়া কসমেটিকস ও জিএসপি ফাইনান্স। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : যমুনা ওয়েল, শাহজিবাজার পাওয়ার, প্রাইম লাইফ, বিকন ফার্মা, প্রিমিয়ার ব্যাংক, কোহিনূর কেমিক্যাল, অ্যাপেক্স ফুটওয়ার, পদ্মা লাইফ, বিডি ফাইনান্স ও আজিজ পাইপস। রবিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ২৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এদিন সিএসই সার্বিক সূচক ১২৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১৫ হাজার ৫৪ পয়েন্টে। সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৬০টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬০টির, কমেছে ১৭৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির।
×