ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বর্ণ রাশিয়ার, তবে ইতিহাস হতে দেননি ওয়াগনার

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

স্বর্ণ রাশিয়ার, তবে ইতিহাস হতে দেননি ওয়াগনার

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আগের দিন প্রায় নিশ্চিত ছিল রাশিয়ার মহিলা ফিগার স্কেটারদের আইএসইউ গ্রাঁ প্রিতে নিরঙ্কুশ বিজয় হতে যাচ্ছে। কারণ আগের দিন ফ্রি স্কেটের শর্ট প্রোগ্রামে রাশিয়ান মেয়েদেরই ছিল আধিপত্য। এর আগে কোন দেশের নারী স্কেটাররা কোন গ্রাঁ প্রি আসরে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করতে পারেনি। তাই নিশ্চিতভাবে নতুন ইতিহাস গড়ার পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল রাশিয়ার মেয়েরা। প্রথম চারটি অবস্থানই ধরে রেখেছিল বেশ ব্যবধান রেখে। আর ৬ নম্বরে ছিলেন বিশ্ব স্কেটিংয়ের ‘দাদীমা’ হিসেবে পরিচিত মার্কিন ফিগার স্কেটার এ্যাশলে ওয়াগনার। কিন্তু তিনিই ইতিহাস হতে দিলেন না। শেষদিনে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে তৃতীয় চূড়ান্ত ফলাফলে তৃতীয় স্থান দখল করে জিতলেন ব্রোঞ্জ। তবে রাশিয়ান সপ্তদশী এলিজাবেতা তুকতামাইশেভা স্বর্ণ জিতেছেন। কিন্তু দারুণ ব্যর্থতা দেখিয়ে ষোড়শী জুলিয়া লিপনিটস্কায়া কোন পদকই জিততে পারেননি আগের দিন দুইয়ে থাকার পরও। তবে তিন নম্বরে থাকা ১৫ বছর বয়সী কিশোরী এলেনা রেডিওনোভা আগের দিনের চেয়ে আরেকটু ভাল করার পুরস্কার হিসেবে জিতেছেন রৌপ্য। ৬ জনের প্রতিযোগিতায় শর্ট প্রোগ্রামে সবার নিচে থাকা কারও পক্ষে আর পদক জয় অসম্ভব হয়ে পড়ে। অতি নিখুঁত না হলে কিংবা ওপরে থাকাদের নৈপুণ্য একেবারে বাজে রকম না হলে শেষে থাকা কারও পক্ষে সেরা তিনে চলে আসা কঠিনতম কাজ। কিন্তু সেই কঠিন কাজটাই করে দেখিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী ওয়াগনার। তাঁর বয়সী অনেকেই ইতোমধ্যে বিশ্ব আসর আর অলিম্পিকে অংশগ্রহণের চিন্তা বাদ দিলেও এখনও ওয়াগনার আগামী অলিম্পিকে নিজের জায়গা নিশ্চিতের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও এবার সোচি অলিম্পিকে সপ্তম স্থান নিয়ে শেষ করেছিলেন এ মার্কিন তরুণী। এ বিষয়ে ওয়াগনার বলেন, ‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া অনেক মেয়েই চলতি মৌসুমে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু আমি এখন পর্যন্ত সেই অবস্থানে যাইনি। বিশ্রাম নেয়ার সময় নেই আমার। আমার মধ্যে এখনও প্রচুর জীবনীশক্তি বিদ্যমান। আমি আর পারফর্মেন্সে ব্যক্তিগত জীবন ও ভালবাসার বিষয়টিকে টেনে আনি। আর সেটাই স্কোরে প্রতিফলন ঘটায়। এখন সবেমাত্র যারা এ লড়াইয়ে নেমেছেন তাঁদের আগেই আমাকে কৌশলি কোন পন্থা বের করে ফেলতে হবে। ২৩ বছর বয়সে এখন এটাই আমার একমাত্র স্বপ্ন যে অলিম্পিকে পুরস্কারের মঞ্চে দাঁড়াব।’ চূড়ান্ত দিনশেষে ফ্রি স্কেটের প্রতিযোগিতায় সবমিলিয়ে ২০৪.৫৮ পয়েন্ট স্কোর করে স্বর্ণ জিতেছেন তুকতামাইশেভা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রেডিওনোভা সবমিলিয়ে ১৯৮.৭৪ পয়েন্ট স্কোর করেন। শেষদিনে ওয়াগনার আরও ১২৯.২৬ পয়েন্ট স্কোর করে সবমিলিয়ে ১৮৯.৫০ পয়েন্ট নিয়ে ব্রোঞ্জ জেতেন। চার মহাদেশেরই চ্যাম্পিয়ন ছিলেন ওয়াগনার। এনিয়ে তিনি তৃতীয় গ্রাঁ প্রি পদক জিতলেন। গত বছরও তিনি এখানে ব্রোঞ্জ এবং ২০১২ সালে রৌপ্য জিতেছিলেন।
×