ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

গোলটেবিল বৈঠক বিনিয়োগ বাড়াতে ঋণের বিপরীতে সুদ হার কমানোর তাগিদ

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪

গোলটেবিল বৈঠক বিনিয়োগ বাড়াতে ঋণের বিপরীতে সুদ হার কমানোর তাগিদ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ব্যাংকিং খাত সংস্কারসহ বিনিয়োগ বাড়াতে ঋণের বিপরীতে সুদ হার কমাতে হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে সুদের হার ২ থেকে ৪ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশে আমানত এবং ঋণের সুদ হারের ব্যবধানই (স্প্রেড) ৫ শতাংশের ওপরে। বর্তমানে ব্যাংকগুলো শিল্পঋণে যে হারে সুদ নিচ্ছে, তাতে খুব কম উদ্যোক্তাই নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়তে পারে। এ কারণে উচ্চসুদের হার বিনিয়োগে বড় বাধা। রবিবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিনিয়োগ বোর্ড আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. এসএ সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল (লোটাস কামাল)। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবলিক এ্যাকাউন্টসংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দৈনিক অর্থনীতির সম্পাদক জাহিদুজ্জামান ফারুক এবং সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সদস্য আরিফ খান প্রমুখ। লোটাস কামাল বলেন, দেশে সুদের হার অত্যন্ত বেশি। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে সুদের হার ২ থেকে ৪ শতাংশ। কিন্তু বাংলাদেশে স্প্রেডই ৫ শতাংশের ওপরে। তিনি বলেন, সরকার এ বছর ব্যাংক থেকে ১ টাকাও ঋণ নেয়নি। এরপর ব্যাংকগুলো কেন সুদের হার কমাবে না। এর বড় কারণ হলো একদিকে আমরা ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমাতে বলছি। অপরদিকে সঞ্চয়পত্রের সুদের হার বাড়িয়ে দিচ্ছি। এটি সাংঘর্ষিক। সুদের হার কমাতে হলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যেও সমন্বয় জরুরী। লোটাস কামাল আরও বলেন, বাংলাদেশ একটি আজব দেশ। কারণ সরকার রফতানি উন্নয়নে প্রণোদনা দিচ্ছে আবার প্রণোদনার টাকায় কর বসানো হচ্ছে। এটি হতে পারে না। তারমতে, সময়মতো সিদ্ধান্ত না নেয়া এবং অপচয়, দুর্নীতির চেয়ে বড় অপরাধ। তিনি বলেন, আমরা ফিলিপিন্সকে অনুসরণ করব আর যারা কর ফাঁকি দেয় তাদের জেলে পাঠানো হবে। ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীদের কোন ধরনের ছাড় দেয়া হবে না। তবে ভাল ব্যবসায়ীদের সহায়তা দেয়া হবে। ষষ্ঠ পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় উৎপাদনে বেশি জোর দেয়া হয়েছিল। কিন্তু সপ্তম পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনায় ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নীতিমালায় সংস্কার আনা হবে। বিশেষ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কার্যক্রমে সংস্কার আনা হবে। আরও বেশি মানুষকে করের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। কোনভাবেই কর ফাঁকিবাজদের ছাড় দেয়া হবে না।
×