ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বান্ধব ॥ ইকবাল সোবহান

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪

সরকার সাংবাদিক ও সংবাদপত্র বান্ধব ॥ ইকবাল সোবহান

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেছেন, বর্তমান সরকার সাংবাদিক ও সংবাদপত্রবান্ধব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময়ই সাংবাদিক ও শিল্পী সাহিত্যিকদের কল্যাণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে থাকেন। সাংবাদিকদের মর্যাদা রক্ষায় ও মিডিয়ার বিকাশে বর্তমান সরকার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, দেশবিরোধী একটি চক্র সব সময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। এই শক্তি চায় দেশ পিছিয়ে থাকুক। কিন্তু গণমাধ্যম ও গণমানুষের সোচ্চার এবং শক্তিশালী ভূমিকার কারণে অপশক্তি আলোর মুখ দেখে না। আগামীতেও গণমাধ্যমের অগ্রণী ভূমিকায় এগিয়ে যাবে দেশ ও দেশের মানুষ। দেশকে এগিয়ে নিতে গণমাধ্যমের ভূমিকার কোন বিকল্প নেই। শনিবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইকবাল সোবহান চৌধুরী উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এ সময় তিনি বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামসহ সকল ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম এগিয়ে। ১৯৭১ সালে এই চট্টগ্রাম থেকেই আমরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার কথা জানতে পারি। মুক্তিযুদ্ধকালে চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা অসামান্য অবদান রেখেছেন। আর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নানাভাবে আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার। ভবিষ্যতেও প্রেসক্লাব সে ভূমিকা পালন করে যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সাংবাদিক সমাজের প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আধুনিক ‘বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হল’ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী সহযোগিতার হাত প্রসারিত করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বর্ণিল আনন্দ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশে সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সুবর্ণজয়ন্তী। শনিবার বেলা ১১টায় শুরু হয়ে সুবর্ণজয়ন্তীর বর্ণাঢ্য উৎসব চলে রাত অবধি। পরিণত হয় প্রেসক্লাবের প্রবীণ-নবীন সদস্য ও তাদের পরিবার এবং চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকদের মিলনমেলায়। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ৫২ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ‘প্রতিষ্ঠার ৫২ বছর’ শীর্ষক উৎসবে নগরীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে প্রেসক্লাবের সভাপতি আলহাজ আলী আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরী, বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এজাজ ইউসুফী। বিভিন্ন পর্বে ভাগ করা সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ছিল কৃতি সাংবাদিক, গুণীজন ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, সেরা রিপোর্টার ও সেরা আলোকচিত্র পুরস্কার, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সম্মাননা। উৎসবে সাবেক সভাপতিগণের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ আবদুল মালেক, ওবায়দুল হক, আতাউল হাকিম, আবু সুফিয়ান, আলী আব্বাস, জামাল উদ্দিন আহমদ। সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে ছিলেন সৈয়দ শফিক উদ্দিন আহমদ, ওসমান গণি মনসুর, নিজাম উদ্দিন আহমদ, হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, ফারুক ইকবাল, কলিম সরওয়ার, এজাজ ইউসুফী ও রাশেদ রউফ। তাদের ৫২ বছর পূর্তিতে সম্মাননা দেয়া হয়। এছাড়া সভাপতি হিসেবে মরণোত্তর সম্মাননা দেয়া হয় এম নুরুল ইসলাম, বিএ আজাদ ইসলামাবাদী, আবদুল্লাহ্ আল সগীর, মুহাম্মদ ইদ্রিস, আখতার উন নবী এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নুর সাঈদ চৌধুরীকে। চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এবার গুণীজন হিসেবে সংবর্ধিত হয়েছেন একাত্তরে বীরাঙ্গনা সাহিত্যিক রমা চৌধুরী। কৃতি সাংবাদিক হিসেবে সংবর্ধিত হন মোঃ ইসকান্দর আলী চৌধুরী, সিদ্দিক আহমেদ ও পংকজ কুমার দস্তিদার। এ ছাড়াও প্রেসক্লাব সদস্যের ২০ জন কৃতি সন্তানকে মেধাবী শিক্ষার্থী হিসেবে সম্মাননা দেয়া হয়। সেরা রিপোর্ট ও আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে যুগ্মভাবে প্রথম হন প্রিন্ট ও অনলাইন বিভাগে ফাইনেন্সিয়াল এক্সপ্রেসের পংকজ কুমার দস্তিদার ও প্রথম আলোর মাসুদ পারভেজ মিলাদ। এছাড়া যুগ্মভাবে দ্বিতীয় সেরা নির্বাচিত হন প্রথম আলোর আশরাফ উল্লাহ রুবেল ও কালের কণ্ঠের নূপুর কান্তি দেব। ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া বিভাগে সেরা রিপোর্টারের পুরস্কার পান ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের চট্টগ্রাম আবাসিক প্রধান মামুন আবদুল্লাহ।
×