ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁচপুরের জনসভায় খালেদা জিয়া ॥ মাঠ দখল নিয়ে দুই গ্রুপের মারামারি

‘হাসিনা হত্যার দরকার নেই, আল্লাহর গজবেই শেষ হবেন’

প্রকাশিত: ০৫:৩৩, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪

‘হাসিনা হত্যার দরকার নেই, আল্লাহর গজবেই শেষ হবেন’

নারায়ণগঞ্জ থেকে ফিরে শরীফুল ইসলাম ও রুমন রেজা ॥ বর্তমান সরকার লুটপাট ও দুর্নীতির মাধ্যমে পুরো দেশ গিলে ফেলতে চায় বলে অভিযোগ করে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেছেন, যেদিন তেল, গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়াবে তার পরদিন থেকে আমরা আন্দোলন কর্মসূচী নিয়ে রাজপথে নামব। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের জন্য এ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যতদিন প্রয়োজন হয় রাস্তায় থাকব। পুলিশ গুলি চালালে তা রাজপথেই মোকাবেলা করব। মৃত্যু একদিন হবেই। তাই আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না, দেখি পুলিশ কিভাবে গুলি করে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে আমাদের মারার প্রয়োজন নেই। তবে তাঁর ওপর আল্লার গজব নেমে আসবে। আর আল্লার গজবেই তিনি নিঃশেষ হয়ে যাবেন। শনিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর বালুর মাঠে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০ দলীয় জোট আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খালেদা জিয়া বলেন, দেশে বিচার বিভাগ বলতে কিছু নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিচারকরা আওয়ামী লীগ হলে খালাস দেয় আর বিএনপি বা জামায়াত হলে জেলে ভরে। তাই বিচারকদের বলব আপনারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নয়, আল্লাহকে ভয় করেন। আপনারা যে অন্যায়ভাবে ফাঁসি দিচ্ছেন, জুলুম করছেন তার জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। দুনিয়া মাত্র কয়েক দিনের তাই জন্ম-মৃত্যু কেউ ঠিক করে দিতে পারে না। জন্ম-মৃত্যু কেবল ঠিক করতে পারে আল্লাহ। তাই বিচারপতিদের দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যা করছে এর জন্য একদিন কঠিন পরিণতি হবে। জনসভা শুরুর আগে মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আজহারুল ইসলাম মান্নানের অনুসারীদের সঙ্গে কাঁচপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুল হকের অনুসারীদের প্রথমে হাতাহাতি ও পরে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন, সুন্দরবনের দুর্ঘটনা পরিকল্পিত। সুন্দরবনে এখন আর পশুপাখি থাকবে না, প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে যাবে। আর যে ট্যাঙ্কারে তেল বহন করা হয়েছে ওটা ওয়েল ট্যাঙ্কার ছিল না, ছিল বালুর ট্যাঙ্কার। তিনি বলেন, পরিবেশ দূষণের এ ঘটনায় সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হবে। তিনি বলেন, এ সরকার শুধু মানুষখেকো নয়, পশুপাখি খেকোও। ওরা সারাদেশ খেয়ে ফেলতে চায়। এই খুনী সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না। যখনই ডাক দেয়া হবে মা-বোন-ভাইসহ সবাই রাস্তায় নেমে আসবেন। আন্দোলন করেই এ সরকারকে হটাতে হবে। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে কর্মসূচী দিয়ে রাজপথে থেকেই তা আদায় করা হবে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া সরকারকে উদ্দেশ করে বলেন, ১২ মাস সময় দিয়েছি, আলোচনা করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করার। কিন্তু আপনারা আমাদের দাবির প্রতি কর্ণপাত করেনি। এই অবস্থায় আমদের আর বসে থাকার সময় নেই। দেশবাসী, মা-বোনদের বলব, আমি যখন আহ্বান জানাব, তখন সবাইকে এবার রাস্তায় নেমে আসতে হবে। যেখানে যে অবস্থায় থাকেন, যার যা কিছু আছে, তা নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। যতদিন প্রয়োজন রাস্তায় থেকে দাবি আদায় করে ছাড়ব। বিএনপি মুক্তিযোদ্ধার দল উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, জিয়াউর রহমান দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন। তার ডাকে দেশের ছাত্র-জনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। একে খন্দকার তার বইয়ে লিখেছেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। আমরা হলাম আসল মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের দল নয়। এদেশের স্বাধীনতার পেছনে আওয়ামী লীগের কোন ভূমিকা নেই। খালেদা জিয়া বলেন, ২০০৮ সালে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দীনের সঙ্গে আঁতাত করে ক্ষমতায় এসছিল আওয়ামী লীগ। সে ষড়যন্ত্র এখনও বহাল রয়েছে। এরই ধারাবাহিতায় চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি কারও অংশগ্রহণ ছাড়া নির্বাচন দিয়ে জোর করে ক্ষমতায় বসেছে। ২০০৮ সালে আমাকে দেশের বাইরে যেতে বলেছিলেন মইনুদ্দিন ফখরুদ্দীন সরকার। কিন্তু আমি দেশের বাইরে যাইনি। দেশের মানুষকে ভালবাসি। দেশের বাইরে না যাওয়ায় আমার দুটি ছেলেকে কিভাবে নির্যাতন করা হয়েছে আপনারা দেখেছেন। খালেদা জিয়া বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জোর করে ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা ১৫টি মামলা খারিজ করেছেন। এছাড়াও আর দলীয় নেতাকর্মীদের নামে ১৮ হাজার মামলাও খারিজ করা হয়েছে। কিন্তু আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা একটিও খারিজ হয়নি। আমাকে প্রতিনিয়ত হয়রানি করা হচ্ছে। এভাবে মামলা দিয়ে হয়রানি বন্ধ করতে হবে। বিএনপি চেয়ারপার্সন বলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ দেশের জনগণের জন্য বোঝা। সরকার জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। প্রতিনিয়ত গুম খুন করছে। এ সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। দেশের জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীন অবিলম্বে নির্বাচন দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, তা নাহলে আন্দোলন করেই সরকার হটানো হবে। র‌্যাব মানুষ হত্যায় জড়িত নয় উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, নারায়ণগঞ্জে ৭ জন নয়, ১১ জন খুন হয়েছে। এ খুনের সঙ্গে জড়িত সরকার ও সরকারের লোকজন। এ খুনের হোতা কর্নেল জিয়াকে কেন ধরা হচ্ছে না। তাকে ধরলেই নারায়ণগঞ্জের খুনের রহস্য বেরিয়ে আসবে। তিনি বলেন, জিয়াকে কেন এখন চাকরিতে বহাল রাখা হয়েছে। অবিলম্বে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে হবে। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের খুনের আসল হোতা অধরা রয়ে গেছেন। সরকার তাকে ধরে না। সাহসও পায় না। যাদের ধরা হয়েছে জেলখানায় তাদের জামাই আদরে রাখা হয়েছে। আসল হোতা জিয়াকে ধরা হয়নি কারণ, তাকে ধরলেই সব কিছুই বের হয়ে আসবে। বেগম জিয়া বলেন, গ্যাস-বিদ্যুত ও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলে কঠোর আন্দোলন শুরু করা হবে। গ্যাস-বিদ্যুত আর জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো যাবে না। জ্বালানি তেল, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ালে, এরপর দিন থেকেই কঠোর আন্দোলন শুরু হবে। গ্যাসের অভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় দৈনন্দিন কাজকর্ম থেকে শুরু করে বিভিন্ন কল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের আমলে নতুন কোন শিল্প-কারখানা হয়নি। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বলে বেড়ায় তারা দেশে বিদ্যুত পরিস্থিতির উন্নতি করেছে। বিদ্যুতের উৎপাদন বৃদ্ধি করেছে। বিদ্যুতের যদি এত উন্নতি ঘটে থাকে তাহলে গরমের সময় এত লোডশেডিং কেন। এদেশের মানুষ দেখেছে গরমের সময় ঘণ্টায় কয়বার লোডশেডিং হয়েছে। গ্রামের মানুষ লোডশেডিংয়ের কারণে রাতে ঘুমাতেই পারছে না। খালেদা জিয়া অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ভালবাসে না। মইন-ফখরুদ্দীনের সঙ্গে হাসিনার আঁতাত করে ক্ষমতায় এসেছে। আমার সঙ্গেও তাদের কথা হয়েছিল। কিন্তু আমি দেশের বাইরে যাইনি। এ কারণে আমার বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। এই দেশ আমার একমাত্র ঠিকানা। এছাড়া আর কিছু নেই। তিনি বলেন, একটি বিশেষ জেলা ও ছাত্রলীগের লোকজনকে পুলিশে ঢুকিয়ে পুলিশের সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে। পুলিশের পোশাক পরে জনগণের ওপর ছাত্রলীগ অত্যাচার করছে। একটি বিশেষ জেলার পুলিশ সরকারের হয়ে অত্যাচার করছে। মানুষের চোখের সামনে পেটানো হচ্ছে। অত্যাচার করা হয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশ দিয়ে এভাবে মানুষের অত্যাচার বন্ধ না করলে ভবিষ্যতের বিচারের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। কেননা দেশের মানুষ কাউকে অতীতে ক্ষমা করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। খালেদা জিয়া বলেন, শেখ হাসিনা তাঁর দলের লোকজনের বিরুদ্ধে থাকা ১৮ হাজার মামলা প্রত্যাহার করেছে। কিন্তু বিএনপির একটি মামলাও উঠিয়ে নেয়া হয়নি। মিগ-২৯ মামলাও প্রত্যাহার হয়ে গেছে। বিচার বিভাগের সমালোচনা করে বলেন, আজ বিচার বিভাগের কোন স্বাধীনতা নেই। আওয়ামী লীগ হলেই খালাস দেয়া হচ্ছে। আর বিএনপি হলেই জেলে ভরো, মিথ্যা মামলা দাও। তারা যা করছে এর পরিণতি খুবই খারাপ ও ভয়াবহ হবে। দেশের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে বেগম জিয়া বলেন, শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য হলো এদেশের যুবসমাজকে ধ্বংস করা। বেকার করে রাখা। এ কারণে জিপিএ-৫ এর নামে ঢালাওভাবে পাস করিয়ে দেয়া হচ্ছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে শতকরা মাত্র দু’জনের বেশি চান্স পায় না। খালেদা জিয়া বলেন, ডিসেম্বর মাস বিজয়ের মাস। কিন্তু বিজয়ের মাসে মানুষের মুখে হাসি নেই। আনন্দ নেই। কারণ মানুষ প্রতিনিয়ত গুম-খুন ও অপহরণের শিকার হচ্ছে। এ সবই করছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, এই সরকার জনগণের জন্য বোঝায় পরিণত হয়েছে। এ বোঝা সরাতে হবে। এজন্য আন্দোলনের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, এমনিতেই বিদ্যুত-গ্যাস থাকে না। আবার নাকি বিদ্যুত-গ্যাসের দাম বাড়ান হবে। গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ান হলে আমরা কিন্তু বসে থাকব না। যদি বাড়ান হয় তবে পরদিন থেকেই আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। তিনি বলেন, এ সরকার সব প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করে ধ্বংস করছে। সিভিল প্রশাসনকেও দলীয়করণ করছে। মিথ্যা অভিযোগে ভাল ভাল কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠাচ্ছে। আমার সঙ্গে দেখা করলে চাকরি যায়। সম্প্রতি এমন একজন মেধাবী কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে সরানো হয়েছে। সরকারকে হুঁশিয়ার করে খালেদা জিয়া বলেন, আবারও বলছি এখনও সময় আছে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিয়ে সরে পড়ুন। নইলে আপনাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্ববেহায়া ও স্বঘোষিত বেইমান। এই বেহায়া ও বেইমানদের কাছ থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে। জনগণের অধিকার আদায় ও দেশ বাঁচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নামতে হবে। তিনি বলেন, বিনাভোটে নির্বাচিত এ সরকার অবৈধ। যে সরকার অবৈধ সে সরকারের পাস করা আইনও অবৈধ। এ সরকার কুইক রেন্টাল বিদ্যুত উৎপাদনের নামে ১৭ হাজার কোটি টাকা চুরি করেছে বলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের হাতে দেশ নিরাপদ নয়, এ সরকার থাকলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, যে পুলিশ দেশের মানুষের ওপর গুলি চালায় তাদের একদিন জবাবদিহি করতে হবে। ভবিষ্যতে বিচার হবে। খালেদা জিয়া বলেন, শেখ মুজিব স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। ঘোষণা দিয়েছেন জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, তাজউদ্দিন সাহেব স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার জন্য শেখ মুজিবের বাসায় ২৫ মার্চ গিয়েছিলেন টেপরেকর্ডার নিয়ে। শেখ মুজিব বলেছিলেন, আমি স্বাধীনতার ঘোষণা দিলে আমাকে রাষ্ট্রদ্রোহী বানাবে, ফাঁসি দেবে। শেখ মুজিব সেদিন তাজউদ্দিনকে বলেছিলেন, ২৭ তারিখ হরতাল ডেকেছি, যাও নাকে তেল দিয়ে ঘুমাও। এইচএম এরশাদ জিয়া হত্যায় জড়িত অভিযোগ করে খালেদা জিয়া তার বিচার দাবি করেন। বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ঢাকার গুলশানের বাসা থেকে বেলা ২টা ২০ মিনিটে রওনা হয়ে বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে কাঁচপুর বালুর মাঠে জনসভা মঞ্চে গিয়ে পৌঁছান। খালেদা জিয়া সেখানে পৌঁছলে নেতাকর্মীরা সেøাগানে সেøাগানে তাঁকে স্বাগত জানান। তিনিও হাত উঁচিয়ে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। জনসভা মাঠে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া, তারেক রহমান, যুদ্ধাপরাধী কারাবন্দী জামায়াত নেতা নিজামী, সাঈদী ও মুজাহিদের ছবি খচিত কয়েকটি বেলুনও ওড়ানো হয়। এর আগে ২০১৩ সালের ১ মে কাঁচপুরের বালুর মাঠে শ্রমিক সমাবেশে বক্তব্য রেখেছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকারের সভাপতিত্বে জনসভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহ আমান, জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান, বিজেপি চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী মনিরুজ্জামান, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা, ছাত্রদল সভাপতি রাজিব আহসান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, এনডিপির চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তজা, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল মবিন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ ন্যাপের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি, ডেমোক্র্যাটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সাঈদ আহমেদ প্রমুখ। জনসভা শেষে খেলাফত মজলিশের সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক সরকারের পতন ও ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীদের আন্দোলনে শরিক হওয়ার জন্য দোয়া করেন। জামায়াতের নায়েবে আমির অধ্যাপক মজিবুর রহমান বলেন, জালিম সরকারের বিচারকরা জামায়াত নেতাদের নামে কলঙ্কজনক রায় দিয়েছে।
×