ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪

শীতজনিত রোগে আক্রান্তের  সংখ্যা বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আরেক দফা বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শুক্রবার কুয়াশা হ্রাস পেলেও অনুভূত হয় কনকনে শীত। বইতে থাকে শীতল বাতাস। কনকনে শীতে কাঁপছে সারাদেশ। শীতের তীব্রতায় জমে উঠেছে শীতবস্ত্রের কেনাবেচা। হঠাৎ করে তীব্র শীত অনুভূত হওযায় শুক্রবার রাজধানীর নামীদামী মার্কেট থেকে শুরু করে ফুটপাথের গরম কাপড় দোকানগুলোতেও ছিল ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। এ সুযোগে শীতবস্ত্রের দামও বেড়ে যায় কয়েকগুণ। শীত ও শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। সর্দি-কাশি-জ্বর, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শিশু ও বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। হঠাৎ করে শুক্রবার রাজধানীতে অনুভূত হয় তীব্র শীত। নগরবাসীর পা থেকে মাথা পর্যন্ত ঢাকা ছিল গরম কাপড়ে। তীব্র শীতে অনেকেই কাঁপতে থাকে। ফ্যাশন করে হালকা কাপড় পরার সুযোগ পায়নি কেউ। গরম সোয়েটার বা জ্যাকেটও অনেকে ব্যবহার করতে বাধ্য হয়েছেন। শাহবাগ মোড়ে জাতীয় জাদুঘরের বিপরীত পার্শ্বে হাতে-পায়ে মোজা লাগিয়ে চা বিক্রি করছেন তাজুল ইসলাম। তিনি জানান, মৌসুমের প্রথম এভাবে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। শীতের কারণে ক্রেতার সংখ্যাও কমেছে। রাজধানীতে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। সর্দি-কাশি-জ্বর, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ। শিশু ও বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডীন অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ জনকণ্ঠকে জানান, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর আগমন তিনগুণ বেড়েছে। রোগীরা হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস ও নিউমোনিয়া, সাধারণ সর্দি জ্বর, সাইনোসাইটি (প্রচ- মাথাব্যথা), রাইনাইটিস (নাক দিয়ে অনরবত পানি পড়া)-এ আক্রান্ত হচ্ছে। আর ঠা-ায় শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক কমে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছে হাইপোথারমিয়ায়। বয়স্কদের বাতজনিত সমস্যা বেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত গরম কাপড় ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, শরীর গরম রাখার পাশাপাশি বাসাবাড়িগুলোও গরম রাখতে হবে। সহনীয় মাত্রার গরম পানি পান করা উচিত। গোসল করার সময়ও গরম পানি ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন অধ্যাপক ডাঃ এবিএম আব্দুল্লাহ। শীতল বাতাস ও কনকনে শীত মোকাবেলায় তেমন প্রস্তুতি ছিল না রাজধানীবাসীর। আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাসেও ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এত তীব্র শীতের কথা উল্লেখ ছিল না। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহের পর মৃদু শৈত্যপ্রবাহের বিষয়টি জানিয়ে রেখেছে আবহাওয়া অফিস। কিন্তু শুক্রবার হঠাৎ করেই রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ স্থানে তীব্র শীত অনুভূত হয়। তাই শুক্রবার সকাল থেকেই শীতবস্ত্র বিক্রির হিড়িক পড়ে নগরীতে। সরকারী ছুটির দিন হওয়ায় শীতবস্ত্র কেনার বাড়তি সুযোগ ঘটে নগরবাসীর। অনেকেই সপরিবারে ছুটে যায় নিজেদের পছন্দের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে। গত কয়েকদিন ধরে রাজধানীসহ সারাদেশে অনুভূত হচ্ছে তীব্র শীত। বইতে থাকে ঠা-া বাতাস। লোকজনকে দিনভর গরম কাপড় ব্যবহার করতে দেখা গেছে। শুক্রবার সকাল দশটার মধ্যেই শেষ হয় ওই এলাকার ফুটপাথের দোকানগুলোতে সাজানো শীতবস্ত্রের পসরা। অন্যদিনের মতো ক্রেতাদের ডাকাডাকি নেই।
×