ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইসরাইলের প্রতি ইউরোপীয় জনমত বদলানোর ইঙ্গিত !

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র্রের পক্ষে এবার ফরাসী ও আইরিশ পার্লামেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:০২, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪

ফিলিস্তিন রাষ্ট্র্রের পক্ষে এবার ফরাসী ও আইরিশ পার্লামেন্ট

সুইডেনের পর এবার ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ফরাসী ও আইরিশ পার্লামেন্ট নিজ নিজ দেশের সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে। বিষয়টি ইসরাইলের জন্য একটি আতঙ্কজনক প্রবণতা হিসেবে দেখা হচ্ছে। এতে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, ইউরোপ জুড়ে ইসরাইলের প্রতি জনমত বদলাতে শুরু করেছে। খবর গার্ডিয়ান অনলাইনের। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ফরাসী সিনেট বৃহস্পতিবার ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলিতে ইতোপূর্বে গৃহীত একটি সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। অন্যদিকে ডেনমার্কের পার্লামেন্ট সদস্যরা এদিন ১৯৬৭ সালের সীমান্তের ভিত্তিতে ইসরাইলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব পর্যালোচনা শুরু করেছেন। এর একদিন আগে বুধবার আয়ারল্যান্ডের পার্লামেন্ট সদস্যরা ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে ভোট দেয়। আইরিশ এমপিদের এই কাজে ক্ষুব্ধ হয় ইসরাইল। ইসরাইলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইরিশ পার্লামেন্টকে অভিযুক্ত করে বলেছে, ইসরাইল রাষ্ট্রকে লক্ষ্য করে আয়ারল্যান্ড পার্লামেন্টের এ ধরনের নিন্দামূলক তৎপরতা আমরা আগে কোনদিন দেখিনি। এর আগে অক্টোবর মাসে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ইস্যুতে ইসরাইল স্টকহোম থেকে রাষ্ট্রদূত প্রত্যাহার করেছিল। কারণ তখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রথম পশ্চিমা সদস্য হিসেবে সুইডেন ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে সমর্থন করেছিল। ইইউর পূর্বাঞ্চলীয় সদস্যরা ২০০৪ সালে জোটে যোগ দেয়ার আগেই ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতির পক্ষে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও স্পেনের নাম পরপর উঠে এসেছে। এর মধ্যে প্রথম দুটো জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য। আইনী বাধ্যতা না থাকায় এসব স্বীকৃতি দেশগুলোর কূটনীতিতে খুব দ্রুত কোন বড় পরিবর্তন আনবে না ঠিকই তবে নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে বিষয়টি প্রভাব ফেলতে পারে। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার পক্ষে ইউরোপীয় দেশেগুর এমপিরা এমন এক সময়ে আহ্বান জানাল যখন পশ্চিম তীরে ইসরাইলী নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় এক ফিলিস্তিনী মন্ত্রী হত্যার ঘটনায় সেখানে টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার পশ্চিমতীরে শোক জানাতে হাজার হাজার ফিলিস্তিনী সমবেত হয়েছিল।
×