ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবল, এ্যাটলেটিকোকে রুখে দিয়ে শেষ ষোলোতে জুভেন্টাস, আর্সেনালের বড় জয়, গ্রুপসেরা বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, লিভারপুল ১-১ এফসি বাসেল, জুভেন্টাস - এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ, আর্সেনাল ৪-১ গালাতাসারে, বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ১-১ আন্ডারলেচট

লিভারপুলকে কাঁদিয়ে নকআউট পর্বে বাসেল

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১১ ডিসেম্বর ২০১৪

লিভারপুলকে কাঁদিয়ে নকআউট পর্বে বাসেল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নির্লজ্জ ব্যর্থতার প্রদর্শনী করে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে লিভারপুল। মঙ্গলবার ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে সুইস ক্লাব এফসি বাসেলের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে হতাশায় নিমজ্জিত হতে হয় ইংলিশ ক্লাবটিকে। ম্যাচটিতে জয় পেলেই নকআউট পর্বে ওঠে যেত দ্য রেডসরা। কিন্তু ব্রেন্ডন রজার্সের শিষ্যরা কোনরকমে হার এড়িয়ে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিয়েছে। আর রিয়ালের সঙ্গে এই গ্রুপ থেকে সেরা ষোলোর ছাড়পত্র পেয়েছে বাসেল। ‘এ’ গ্রুপ থেকে এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গী হয়ে নকআউট পর্বে নাম লিখিয়েছে জুভেন্টাস। পরশু নিজেদের মাঠ টুরিনের জুভেন্টাস স্টেডিয়ামে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নরা গোলশূন্য ড্র করে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন এ্যাটলেটিকোর সঙ্গে। ফলে এই গ্রুপ থেকে এ্যাটলেটিকো গ্রুপসেরা ও জুভেন্টাস দ্বিতীয় হয়ে নকআউট পর্বে উঠেছে। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে আগেই পরবর্তী পর্বে ওঠা নিশ্চিত করেছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ও আর্সেনাল। শেষ ম্যাচে গ্রুপসেরা হওয়ার লড়াই ছিল তাদের। এতে বেলজিয়ামের আন্ডারচেলটের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে গ্রুপসেরা হয়েছে জার্মান রানার্সআপ বরুসিয়া। আর তুরস্কের গালাতাসারেকে ৪-১ গোলে হারিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়েছে ইংল্যান্ডের আর্সেনাল। সময় খুব একটা ভাল না গেলেও ঘরের মাঠ এ্যানফিল্ডে বাসেলকে হারিয়ে সেরা ষোলোতে খেলতে আত্মবিশ্বাসী ছিল লিভারপুল। কিন্তু হারতে হারতে ড্র করে কান্নাভেজা বিদায় হয়েছে ইংলিশ ক্লাবটির। এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো লিভারপুলকে বধ করল সুইস চ্যাম্পিয়নরা। এর আগে ২০০২ সালে তারা টুর্নামেন্ট থেকে লিভারপুলকে বিদায় করেছিল। ম্যাচের ২৫ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিক লিভারপুল। লুকা জুফির সঙ্গে পাস দেয়া-নেয়া করে দ্য রেডসদের বক্সের কাছাকাছি এসে দুর্দান্ত কোনাকুনি শটে বল জালে পাঠান ফ্যাবিয়ান ফ্রেই। পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া আক্রমণ শাণাতে থাকে স্বাগতিকরা। কিন্তু বার বার আক্রমণ করেও বাসেলের রক্ষণব্যূহে তেমন ফাটল ধরাতে পারেনি তারা। উল্টো বাসেলের পাল্টা আক্রমণ কাঁপিয়ে দিচ্ছিল স্বাগতিকদের রক্ষণভাগ। বিরতির পর ৬০ মিনিটে বড়সড় ধাক্কা খায় লিভারপুল। লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্ট্রাইকার লাজার মার্কোভিচ। বল নিয়ে ছোটার সময় বাসেলের সাফারির মুখে অযথাই আঘাত করে লাল কার্ড দেখেন মার্কোভিচ। দশজনের দলে পরিণত হওয়ার পরও প্রাণান্ত প্রচেষ্টা চালাতে থাকে রজার্সের দল। এর ফসল হিসেবে ৮১ মিনিটে গোল করে দলকে সমতায় ফেরান অধিনায়ক স্টিভেন জেরার্ড। অসাধারণ ফ্রি কিক থেকে গোল করে তিনি শুধু আপসোসই বাড়িয়েছেন! শেষ পর্যন্ত আর গোল না পেলে ১-১ সমতাবস্থায় শেষ হয় ম্যাচ। বিদায়ও নিশ্চিত হয় লিভারপুলের। ম্যাচ শেষে হতাশ জেরার্ড বলেন, চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শেষ ষোলোতে ওঠার মতো দল লিভারপুল নয়। পরের পর্বে যাওয়া এই দলের সাজে না। ছয়টা ম্যাচ খেলে শেষ ষোলোতে যেতে না পারাটা লিভারপুলের জন্য বিরাট ব্যর্থতা। তবে এই ম্যাচের কারণেই যে আমরা বিদায় নিয়েছি, এটা বলা ঠিক হবে না। আমরা বিদায় নিয়েছি বাসেলের মাঠে ইনজুরি সময়ে একটা বাজে গোল খেয়ে। এ্যাওয়ে ম্যাচে ওই গোলটাই আমাদের সর্বনাশ করে দিয়েছে। জুভেন্টাস ঘরের মাঠ টুরিনে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়ন এ্যাটলেটিকোর বিরুদ্ধে শুরু থেকেই বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখে। পুরো ম্যাচেই পিরলো-তেভেজরা এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখেন। তবে কোন গোলের দেখা পায়নি ম্যাসিমিলিয়ানো এ্যালেগ্রির শিষ্যরা। এ্যাটলেটিকো ম্যাচটিতে বলতে গেলে তাদের স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারেনি। পুরো ম্যাচে মাত্র ২৮ শতাংশ বল দখলে রাখতে সক্ষম হন দিয়াগো সিমিওনের শিষ্যরা। স্বাগতিক তুরস্কের ক্লাব গালাতাসারের বিরুদ্ধে সহজ জয় পায় আর্সেনাল। গানার্সদের হয়ে দুটি করে গোল করেন জার্মান মিডফিল্ডার লুকাস পোডলস্কি ও এ্যারন রামসে। তুর্কী ক্লাবটির হয়ে একটি গোল পরিশোধ করেন ডাচ তারকা ওয়েসলি স্নেইডার।
×