ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পোশাক শিল্প রক্ষায়-

প্রকাশিত: ০৬:১২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৪

পোশাক শিল্প রক্ষায়-

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের পোশাক শিল্পকে ধ্বংসের চেষ্টায় লিপ্ত দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ঢাকা এ্যাপারেল সামিট’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান বিজেএমইএ দেশে প্রথমবারের মতো এই সামিট ও এক্সপোর আয়োজন করেছে। দেশে পোশাক শিল্পের উন্নয়ন ও রফতানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে এই সামিট বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। কারণ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এখন এই শিল্পের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। বেশ কিছুকাল ধরে বাংলাদেশে পোশাক শিল্প খাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বর্তমানে দেশের মোট রফতানি আয়ের সিংহভাগ আসে পোশাক শিল্প থেকে। বিশ্বে তৈরি পোশাক রফতানিতে বর্তমানে চীনের পরেই বাংলাদেশের স্থান। ৪০ লাখেরও বেশি শ্রমিক এই শিল্পে সরাসরি নিয়োজিত এবং তাদের মধ্যে ৬০ শতাংশই নারী। অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য যেমন পোশাক শিল্প গুরুত্বপূর্ণ ঠিক একইভাবে তা এখানে নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়নকে অনেকখানি এগিয়ে নিয়ে গেছে। তিন দশক আগেও এমনটা ভাবা যেত না। পোশাক শিল্পের জন্য নারীদের অনেকেই এখন স্বাবলম্বী। অনেকে মনে করেন দেশের উন্নয়ন ও নারীর উন্নয়ন দুটিই বর্তমানে সম্ভব হয়েছে পোশাক শিল্পের জন্য। তবে দেশে-বিদেশে বাংলাদেশের যে শত্রুরা রয়েছে, তারা হয়ত এখানে পোশাক শিল্পের এই চমকপ্রদ উন্নয়নকে সুনজরে দেখছে না। তা না হলে গত কয়েক বছর ধরে এখানকার গার্মেন্টস শিল্পে এত অস্থিরতার কারণ কী? এ ধরনের কিছু ঘটনায় নাশকতার সন্ধান পেয়েছিল তদন্তকারীরা। অনেকেই আন্দোলনের নামে পোশাক শিল্পে বিশৃঙ্খলা ও অশান্তি সৃষ্টি করছে। কিছু কিছু কারখানায় কাজের পরিবেশ নষ্টের জন্য এরাই দায়ী। বাংলাদেশে সরকার ও মালিকপক্ষের চেষ্টায় কারখানার পরিবেশ এখন আগের তুলনায় যথেষ্ট উন্নত হয়েছে। শ্রমিকদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সবই করা দরকার। এই শিল্পে সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে মালিকদের পাশাপাশি ক্রেতাদেরও উদ্যোগী হতে হবে। পণ্যের দাম বাড়াতে হবে। সংশ্লিষ্ট সবাই সচেতন হলে বাংলাদেশ অবশ্যই ২০২১ সাল নাগাদ ৫ হাজার কোটি ডলার মূূল্যের গার্মেন্টস রফতানির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে।
×